কলকাতার সাতটি ভুঁইফোড় সংস্থার কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ও তার আত্মীয়ও? উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ জাতীয় রাজনীতি October 12, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ। যেখানে কলকাতার সাতটি ভুঁইফোড় সংস্থার কাছ থেকে গত 5 মাসে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর নাতি 5 কোটি টাকা পেয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেল। আর এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে এই রিপোর্ট প্রকাশিত হতে রীতিমতো শোরগোল তৈরি হয়েছে। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর বিএস ইয়েদদুরাপ্পার পদত্যাগ চেয়ে মাঠে নেমে পড়েছে কংগ্রেস। একজন মুখ্যমন্ত্রী এবং তার নাতির বিরুদ্ধে এই রকম অভিযোগ ওঠায় কিছুটা হলেও চাপে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু গোটা ঘটনা ঠিক কি হয়েছিল? কেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এবং তার নাতির বিরুদ্ধে এই রকম অভিযোগ উঠল? জানা গেছে, একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, প্রভাব খাটিয়ে বেলগ্রাভিয়া এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড এবং ভিএসএস এস্টেটং প্রাইভেট লিমিটেডের নামে সংস্থার অ্যাকাউন্টে কলকাতার সাতটি ভুঁইফোড় সংস্থার তরফ থেকে 5 কোটি টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে। আর এই দুটি সংস্থার ডিরেক্টর মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদদুরাপ্পার নাতি শশীধর মার্ডি। আর এই তথ্য সামনে আসতেই রীতিমত চাঞ্চল্য তৈরি হয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে মুখ্যমন্ত্রী এবং তার নাতির বিরুদ্ধে এই দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হলেও, তারা অন্য যুক্তি দিয়েছেন। বিএস ইয়েদুরাপ্পার নাতি শশীধর মার্ডি এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়ে দিয়েছেন যে, বেঙ্গালুরুতে আবাসন প্রকল্পের জন্য সেই টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছিল। তবে মুখ্যমন্ত্রীর নাতি এই যুক্তি দিলেও ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে ময়দানে নেমে পড়েছে বিরোধীরা। এদিন এই বিষয়ে গোটা বিষয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছে জাতীয় কংগ্রেস। গোটা ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী কেন নীরব, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গেছে কংগ্রেস নেতাদের। এদিন এই প্রসঙ্গে জাতীয় কংগ্রেসের মুখপাত্র সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী দুর্নীতির বিষয়ে চুপ কেন? অবিলম্বে এই দুর্নীতির তদন্ত করুন সুপ্রিম কোর্টের কোনো বিচারপতি। দুর্নীতি বিরোধী আইনে কেন এফআইআর দায়ের করছে না সরকার? কিসের ভয় মুখ্যমন্ত্রীর? বিন্দুমাত্র লজ্জা থাকলে উনি পদত্যাগ করুন। না হলে অপসারণ করা হোক।” অর্থাৎ কংগ্রেস এখন এই ঘটনাকে ইস্যু করে ময়দানে নেমে বিএস ইয়েদদুরাপ্পার অস্বস্তি যে অনেকটাই বাড়িয়ে দিতে সক্ষম হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -