এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বাংলায় তৃনমূলের দাসত্ব করছে পুলিশ? দীর্ঘ জেরার পরেই মমতার ঘুম কাড়লেন অভিষেক!

বাংলায় তৃনমূলের দাসত্ব করছে পুলিশ? দীর্ঘ জেরার পরেই মমতার ঘুম কাড়লেন অভিষেক!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-দীর্ঘক্ষণ ইডির মুখোমুখি জেরা পর্ব সম্পন্ন করে অবশেষে বাইরে বেরিয়ে আসলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবারের ন্যায় এবারেও তিনি সেই একই অভিযোগ করলেন। বোঝাতে চাইলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বশত তাকে হেনস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি এটাও অভিযোগ করলেন যে, রাজনৈতিক প্রভুদের খুশি করতেই নাকি ইডি এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। অর্থাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজনৈতিক প্রভু বলতে নাম না করে বিজেপিকেই আক্রমণ করেছেন। তবে বাংলার যুবরাজের এই মন্তব্য নিয়ে এই পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় খুব ভালো করেই জানেন, তার দল পশ্চিমবঙ্গে কিভাবে পুলিশকে ব্যবহার করে। তাই তিনি এবং তার দল যে কায়দায় রাজ্যে পুলিশকে ব্যবহার করছেন, অন্যেরাও ঠিক একই কায়দায় কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করেন, এটা তাদের মনে হয়তো গেঁথে গিয়েছে। সেই কারণেই এই ধরনের বিভ্রান্তিকর কথাবার্তা বলে দাবি একাংশের।

প্রসঙ্গত, এই বাংলায় তৃণমূল সম্পূর্ণরূপে পুলিশ প্রশাসনের ওপর নির্ভর হয়ে গিয়েছে। বিরোধী নেতাদের গ্রেপ্তার করা থেকে শুরু করে তাদের মামলা দেওয়া, রাজনৈতিক ভাবে পুলিশকে দিয়েই সব কাজ করতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল। এটা আজকে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। আজকে সেই কারণেই বিরোধী দলনেতাকে প্রতিটি ক্ষেত্রে আদালতের কাছে গিয়ে রক্ষাকবচ নিয়ে আসতে হচ্ছে। সেদিক থেকে বাংলার যুবরাজ হয়তো মনে করেছেন, তিনি এবং তার দলের নেত্রী যেভাবে বাংলায় পুলিশকে পরিচালনা করেন, কেন্দ্রও হয়তো সেই ভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে পরিচালনা করেন। কিন্তু তারা ভুলে গিয়েছেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাদের মত পক্ষপাত মূলক আচরণ করে না। বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকলে তাদের হেনস্থা করে না।

বিরোধীরা এটাও বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকার অর্থাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাদের রাজনৈতিক প্রভু বলে আক্রমণ করছেন, তারা কখনই কোনো এজেন্সিকে পরিচালনা করে না। যদি তাই হত, তাহলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, যিনি বিজেপির প্রতিনিধি, তিনি কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করতেন না। চাইলেই কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর মহলের কর্তাদের বলে তার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করতেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় এজেন্সি যে রাজ্য পুলিশের মত আচরণ করে না, তা আবার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তা না হলে বাংলার যুবরাজ বাইরে বেরিয়ে এসে এত বড় বড় কথা বলতে পারতেন না। তাই তারা যেভাবে বাংলা পরিচালনা করেন, পুলিশকে দিয়ে যেভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করেন, গোটা দেশে অন্তত তা হয় না। তাই যুবরাজের নিজেদের করা ভুলটাকে সবার উপর চাপিয়ে দিলে তা মানুষ মেনে নেবে না বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, আজকে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কোনো রাজনৈতিক দল নয়। তারা সম্পূর্ণরূপে পুলিশ নির্ভর হয়ে পড়েছে। পুলিশ শুধুমাত্র যদি তৃণমূলের ভরসার জায়গা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়, তাহলেই গোটা দল ভেঙে পড়বে। বিরোধীদের ভয় দেখানো থেকে শুরু করে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া, সব জায়গায় এই পুলিশকে ব্যবহার করে রাজ্যের শাসক দল। তা এই বড় বড় কথা বলার যুবরাজ খুব ভালো মতো জানেন। ফলে সেই কারণে তার মনে হয়তো গেঁথে রয়েছে যে, পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ যেভাবে পরিচালিত হয়, কেন্দ্রীয় এজেন্সি হয়তো সেই ভাবেই পরিচালিত হয়। কিন্তু তিনি মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। তাই এই ধরনের কথা বলে খবরের শিরোনামে থাকার চেষ্টা করলেও তা খুব সাময়িক। বেশিদিন টেকসই হবে না। তাই তার এই যুক্তি ধোপে টিকছে না। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি সমালোচক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!