এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুর পেছনে কোটি কোটি অর্থব্যায় রাজ্যের, চরম দেউলিয়া মমতা সরকার!

শুভেন্দুর পেছনে কোটি কোটি অর্থব্যায় রাজ্যের, চরম দেউলিয়া মমতা সরকার!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-অতীতে কখনও এইরকম জিনিস রাজ্য রাজনীতিতে হয়েছে কিনা, তা সত্যিই মনে করা যাচ্ছে না। কিন্তু যে ঘটনা রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সঙ্গে ঘটে চলেছে, তা দেখে রীতিমতো তাজ্জব বিশেষজ্ঞরা। শুভেন্দু অধিকারীর দাবি অনুযায়ী, তাকে মামলা দিয়ে ফাঁসাতে আইনজীবীর পেছনে রাজ্যের সরকারি কোষাগার থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খরচ করেছেন 295 কোটি টাকা। অর্থাৎ যে রাজ্যে অর্থনৈতিক বঞ্চনা চলছে বলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তার সরকার বিরোধী দলনেতাকে জব্দ করতে কোটি কোটি টাকা খরচ করেই চলেছেন। আর এই নির্লজ্জ এবং ভয়ংকর তথ্য ফাঁস করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দুবাবু।

প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা রাজ্য সরকারের তাকে কাবু করতে যে নির্লজ্জ প্রয়াস চালানো হচ্ছে, তার পর্দাফাঁস করে দিয়েছেন। কোটি কোটি টাকা যেভাবে সরকারি কোষাগার থেকে নষ্ট করা হচ্ছে, তা তথ্য সহকারে তুলে ধরেছেন তিনি। বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই আদালতে শুভেন্দু অধিকারীকে জব্দ করতে পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে বিভিন্ন চেষ্টা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কিন্তু বারবার সেখানে জয়লাভ করে শুভেন্দু অধিকারী বুঝিয়ে দিয়েছেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে কাবু করা যাবে না। তবে এই মিথ্যা মামলা এবং আইনজীবীর পেছনে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করেছে রাজ্য সরকার, তাতে একটা বড় মাপের উন্নয়ন হতে পারতো‌। কিন্তু শুভেন্দুবাবুকেই প্রধান টার্গেট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যে কারণে তাকে কাবু করতে পারলেই সব সমস্যার সমাধান বলে মনে করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। যে কারণে কোটি কোটি টাকার আর্থিক ছয়লাপ এভাবেই চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার বলে অভিযোগ।

বিরোধীদের মতে, যে পরিমাণ অর্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীকে জব্দ করতে খরচ করছেন, সেই অর্থ দিয়ে তিনি সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্য দিয়ে মেটাতে পারতেন। রাজ্যের অনেক জায়গাতেই উন্নয়নের আলো পৌঁছয়নি। সেই এলাকায় পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করতে পারতেন। শিক্ষা খাতে খরচ করতে পারতেন। কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না বলে যে অভিযোগ করেন, তার অনেকটা পুষিয়ে নিতে পারতেন। কিন্তু একদিকে টাকা নেই এবং অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীকে জব্দ করতে সেই টাকার অভাব নেই, এ যেন এক দ্বৈত নীতি গ্রহন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার বলে কটাক্ষ বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারী যখন তৃণমূলে ছিলেন, তখন তার দেহরক্ষীর মৃত্যু হয়েছে। তবে এখন তাকে চাপে রাখতে নতুন করে সেই মামলার তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। যা নিয়ে তারা আদালতে বিচারপতির কাছে কথাও শুনেছে। কিন্তু তারপরেও লজ্জা নেই রাজ্যের। আর এবার শুভেন্দু অধিকারী বুঝিয়ে দিলেন, কিভাবে রাজ্যের সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকা তাকে জব্দ করতে নষ্ট করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বভাবতই উন্নয়নে রাজ্যকে বঞ্চিত করে এ যেন বদলা নেওয়ার মরিয়া নেশায় মেতে উঠেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি সমালোচক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!