এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রক্ষাকবচ নিয়ে বাঁচার চেষ্টা, করুন আর্তি যুবরাজের! দীর্ঘ জেরার পরেই বড়সড় তথ্য ফাঁস!

রক্ষাকবচ নিয়ে বাঁচার চেষ্টা, করুন আর্তি যুবরাজের! দীর্ঘ জেরার পরেই বড়সড় তথ্য ফাঁস!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হলেও কলকাতা হাইকোর্ট থেকে মৌখিক রক্ষাকবচ নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে প্রথম থেকে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এতই যখন বীর হবেন, তাহলে কেন রক্ষাকবচ প্রয়োজন হচ্ছে? যদিও বা তার সদুত্তর তৃণমূলের পক্ষ থেকে কেউ দিতে পারেনি। বরঞ্চ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাওয়ার পরে তিনি কত বড় বীর, তার প্রচার করতে শুরু করেছে তৃণমূলের সকল স্তরের নেতারা। তবে এবার সেই বীরত্ব ঘুচিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, এদিন ইডি দপ্তরে যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দীর্ঘ জেরা করা হচ্ছে, ঠিক তখনই সেই রক্ষাকবচ নিয়ে শুভেন্দু বাবুকে প্রশ্ন করা হয়। যে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, “লম্বা হয়ে শুয়ে পড়েছে। আর ওদের নেতাদের সকাল থেকে কাজ হচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার বিরুদ্ধে বলা। আমাকে নিয়ে কার্টুন, মিমিক্রি করা। কিন্তু এসব করে লাভ হবে না। এদের পরিণতি ভয়ঙ্কর।” অর্থাৎ “লম্বা হয়ে শুয়ে পড়েছে” বলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নাম না করে আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, এতই যখন বড় বড় কথা, তখন রক্ষাকবচের কি প্রয়োজন ছিল? কেন আদালতে গিয়ে এই করুণ আর্তি যুবরাজের?

বিরোধীদের মতে, যুবরাজ নিজেও ভালো করে জানেন, তিনি দুর্নীতিতে কার্যত ফেঁসে রয়েছেন‌। তাই শেষ পর্যন্ত রক্ষা কবজের আশ্রয় নিতে হয়েছে তাকে। তা না হলে যিনি বলেন, ফাঁসির-মঞ্চে ঝুলে যাবেন, তার এত ভয় কিসের! এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। আর সেই গোপন বিষয়টি শুভেন্দু অধিকারীও খুব ভালো মতো ধরে ফেলেছেন। যার জন্য আদালতে রক্ষাকবচ পাওয়ার জন্য শেষ মুহূর্তে মরিয়া চেষ্টা করতে হয়েছে বাংলার এই বীরকে। ফলে তার এই চালাকি যে শুভেন্দু অধিকারী খুব ভালো মতোই ধরতে পেরেছেন, তা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল এখন বলতেই পারে যে, যে কোনো সাধারণ ব্যক্তির আইনের শরণাপন্ন হওয়ার অধিকার রয়েছে। হ্যা, নিশ্চয়ই রয়েছে। এটার মধ্যে অন্যায় কিছু নেই। কিন্তু যার কথার মধ্যে দিয়ে এত বড় বড় সততার নজির পাওয়া যায়, তিনি হঠাৎ করে আইনের আশ্রয় নিতে গেলেন কেন? তাহলে কি তিনি ভয়ে রয়েছেন! তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হলে তিনি সঠিক বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন না? তার বিরুদ্ধে কড়া কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে? তাই শেষ মুহূর্তে নিজের মুখ বাঁচাতে এই রক্ষাকবচ নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে যেতে হলে তাকে? বারবার সেই প্রশ্নই ঘুরে ফিরে উঁকি দিতে শুরু করেছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!