এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > জেরা থেকে বেরোলেন, তবে জেলযাত্রা নিশ্চিত ভাইপোর! দিকভ্রষ্ট তৃনমূল!

জেরা থেকে বেরোলেন, তবে জেলযাত্রা নিশ্চিত ভাইপোর! দিকভ্রষ্ট তৃনমূল!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠকের দিনেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ডাকে জেলার মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেই সমন্বয় কমিটির প্রতিনিধি হওয়া সত্ত্বেও, সেখানে তিনি উপস্থিত হননি। যে কারণে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেয়ার ফাঁকা রেখে বিরোধী জোট বার্তা দিতে চেয়েছে যে, এভাবেই তাদের এজেন্সি দিয়ে প্রতিহিংসা পরায়ন আচরণ করা হচ্ছে। এদিকে দীর্ঘ সময় পর কেন্দ্রীয় সংস্থার জেলার মুখোমুখি থেকে বাইরে বেরিয়ে এলেও, ভাইপোর জেল যাত্রা কি নিশ্চিত?

ইতিমধ্যেই সেই ব্যাপারে জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি দাবি করেছেন, ইন্ডিয়া জোটে যে চেয়ারটি ফাঁকা রাখা হয়েছে, সেই চেয়ারটি আগামী দিনের সরিয়ে দিতে হবে। তা না হলে জেল থেকে এসে কেউ বৈঠকে যোগ দিতে পারবে না।প্রসঙ্গত, এদিন এই ব্যাপারে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “ইন্ডিয়া জোটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য যে চেয়ারটি ফাঁকা রেখেছে, ওই চেয়ারটি আগামী দিনে ফাঁকাই থাকবে। তা না হলে ওই চেয়ারটি সরিয়ে দিতে হবে। কারণ জেল থেকে কেউ এসে মিটিংয়ে যোগ দেবে না।”

আর এখানেই অনেকের প্রশ্ন, তাহলে কি সুকান্তবাবু এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে কোনো একজন হেভিওয়েট ব্যক্তির আগামী দিনের শোচনীয় দশা হতে পারে! সেই সম্ভাবনার কথা বোঝাতে চাইলেন!বিরোধীদের মতে, দুর্নীতি যে হয়েছে, তা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বারবার কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করছে বলে অভিযোগ করছে। কিন্তু সব বিরোধী নেতাকে তো ইডি, সিবিআই ডাকছে না। যাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ রয়েছে, তাদেরকেই ডাকা হচ্ছে। আর দুর্নীতির ঘটনায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি যে কাউকে ছেড়ে কথা বলে না, তা কিছুদিন আগে এক রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গ্রেফতারিতে আরও একবার স্পষ্ট হয়েছে। হয়তো সময় লাগছে। কিন্তু হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। আগামী দিনে ইন্ডিয়া জোট তাদের একজন বড় নেতার সংকটজনক পরিস্থিতি দেখতে পাবে বলেই দাবি পদ্ম শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হয়েছেন, তখন গোটা দেশকে বার্তা দিয়ে তার চেয়ার ফাঁকা রেখেছে বিরোধী জোট। তারা বোঝাতে চাইছে যে, কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিহিংসা বশত এই সমস্ত আচরণ করছে। কিন্তু সুকান্ত মজুমদার যে বক্তব্য রাখলেন, তা অত্যন্ত মারাত্মক এবং তাৎপর্যপূর্ণ। নাম না করে তিনি বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে, আগামী দিনে চেয়ার ফাঁকাই থাকবে। কারণ আইনের জালে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে হেভিওয়েটের। ফলে জেরা থেকে দীর্ঘ সময় পর বেরিয়ে এলেও আগামী দিন কি বড় কোনো বিপদ অপেক্ষা করছে ভাইপোর জন্য? অশনি সংকেত কি দরজায় কড়া নাড়ছে? ইতিমধ্যেই সেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!