এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুকে এত জ্বালা? ইডি দপ্তর থেকে বেড়িয়ে সেই একই ভাষন অভিষেকের!

শুভেন্দুকে এত জ্বালা? ইডি দপ্তর থেকে বেড়িয়ে সেই একই ভাষন অভিষেকের!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নাকি প্রতিহিংসাপরায়ন আচরণ করছে! তৃনমূল নেতাদের মুখ থেকে এই কথা শুনতে শুনতে হাঁপিয়ে গিয়েছেন সাধারণ মানুষ। আর এবার দীর্ঘ জেরার পর ইডি দপ্তরের বাইরে বেরিয়ে সেই একই অভিযোগ করে রীতিমত সকলকে বোর করে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, বরাবর নারদার কথা তুলে ধরে যে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেন তিনি, সেই একই প্রসঙ্গ তুলে ধরলেন যুবরাজ। তার দাবি, কেন যাদের প্রকাশ্যে টিভি চ্যানেলে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, তাদেরকে জেরা করা হচ্ছে না?

তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই কথা বললেও, তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিরোধী শিবির। তাদের বক্তব্য, দলের ভেতরে শুভেন্দু অধিকারীর মত নেতাকে চাপে রাখার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কে ডি সিংকে দিয়ে তিনি এই কাজ করিয়েছিলেন বলে দাবি একাংশের। তাই এখন সেই ঘটনাকে হাতিয়ার করে বিজেপিতে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারীকে সব রকম ভাবে চাপে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আর যাই হোক, রাজ্য পুলিশ নয়। তারা যখন এই তদন্ত শুরু করবে, তখন সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। তবে যে দুর্নীতি রাজ্যে চলছে, তার জন্য যে তদন্ত হচ্ছে, তাকে যুবরাজের সহযোগিতা করা উচিত। অন্যের দিকে আঙুল না তুলে নিজেদের দোষ ত্রুটি নিয়ে সমালোচনা করা উচিত।

অনেকে কটাক্ষ করে এই প্রশ্নও করছেন, যে নারদা তদন্তের কথা উল্লেখ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সেখানে তৃণমূলের আরও অনেক একাধিক হেভিওয়েটকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। ফলে তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা হবে! সেই প্রশ্ন কেন তুলতে দেখা যাচ্ছে না বাংলার যুবরাজকে। কেন শুধুমাত্র শুভেন্দু অধিকারী তাদের একমাত্র টার্গেট? “আইনের চোখে সবাই সমান” বলা বাংলার এই বীরের মুখে কেন একতরফা আক্রমণ? বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীও স্পষ্ট করেছেন যে, ভাইপো এই নারদা কান্ডের সমস্ত ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেছেন। ফলে নিজের জালে নিজেই ফেঁসে যাচ্ছেন বাংলার যুবরাজ বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারীকে আর কতভাবে জব্দ করবে তৃণমূল কংগ্রেস? পুলিশ দিয়ে, মামলা দিয়ে সব রকম চেষ্টা করেছে তারা। কিন্তু বারবার আইনের চোখেও জয়লাভ করছেন শুভেন্দুবাবু। সত্যের জয় হচ্ছে আদালতে। কিন্তু তারপরেও শিক্ষা হচ্ছে না তৃণমূলের। দুর্নীতির ঘটনায় যখন তৃণমূল নেতাদের তলব করা হচ্ছে, তখন তাদের মুখে শোনা যাচ্ছে সেই শুভেন্দু অধিকারীর কথা। স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে, বিরোধী দলনেতাকে তাদের কতটা ভয়! তবে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে বারবার যত এই ধরনের আক্রমণ শানাতে দেখা যাবে বাংলার যুবরাজকে, ততই বোর ফিল করবেন সাধারণ মানুষ। আর রাজনৈতিকভাবে লাভবান হবেন শুভেন্দুবাবু। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!