এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ডিএ ধর্নামঞ্চ ভাঙতেও তৎপর পুলিশ? উন্মাদ শাসকের লক্ষণ, সোচ্চার বিজেপি!

ডিএ ধর্নামঞ্চ ভাঙতেও তৎপর পুলিশ? উন্মাদ শাসকের লক্ষণ, সোচ্চার বিজেপি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যে শুধুমাত্র সভা সমিতি করার অধিকার রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের নেতা কর্মীদের। তিনি রেড রোডে দিনের পর দিন বসে আন্দোলন করতে পারেন, তাও একটা মিথ্যা বিষয় নিয়ে। তখন তাকে কেউ কিছু বলতে পারবে না। কিন্তু সত্যকে সামনে রেখে যখন একের পর এক বঞ্চিত চাকরি প্রার্থী থেকে শুরু করে ডিএ আন্দোলনকারীরা আন্দোলন করছেন, তখন সেখানে তাকে ভেস্তে দিতে সব রকম চেষ্টা করছে এই প্রশাসন। তবে সবাইকে সব রকম ভাবে ম্যানেজ করে, কণ্ঠরোধ করে, পুলিশ কেস দিয়ে উঠিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। কিন্তু ডিএ নিয়ে আন্দোলন যারা করছেন, তাদেরকে উঠিয়ে দিতে পারেনি এই দলদাস পুলিশ। তাই এবার শেষ পর্যন্ত রেড রোডে যখন তৃণমূল অন্যায় ভাবে ধর্না করছে, ঠিক তখনই সাত সকালে সেই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ যেখানে অনশন করছেন, আন্দোলন করছেন, সেখানে বিন্দুমাত্র সহানুভূতি না দেখিয়ে ডেকোরেটার্স টিমকে দিয়ে তাদের প্যান্ডেল খুলিয়ে নেওয়া হলো। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে, কে বা কারা এর পেছনে রয়েছে?

প্রসঙ্গত, আজ সকালেই ডেকোরেটার্স টিমের পক্ষ থেকে সেই সংগ্রামী যৌথ মন্ত্রের প্যান্ডেল খুলে নেওয়া হয়েছে। তবে দিনের শেষে এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, এর পেছনে কারা রয়েছে! সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, এই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন ওপরতলার নির্দেশেই এই কাজ করেছে। কোনোভাবেই এই ডিএর দাবিতে আন্দোলন করা ব্যক্তিদের সহ্য করতে পারছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই শেষ পর্যন্ত দিকভ্রষ্ট হয়ে গিয়ে সমস্ত আইন কানুনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে আইনের রক্ষক হিসেবে তিনি আইনকে ভাঙ্গার রাস্তায় হেঁটেছেন। ডেকোরেটার্সকে চাপ দিয়ে তিনি এই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনকে বন্ধ করার জন্য এই ধরনের কাজকর্ম করলেন ঠিকই। কিন্তু যদি খোলা মাঠেই রাস্তায় থাকতে হয়, তাহলে সেটাও করতে রাজি এই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তবে এই সমস্ত ছোটখাট ভয় দেখিয়ে তাদের অনশন এবং আন্দোলনকে আটকে দিয়ে নিজেদের ফেস পাউডার মাখা মুখ এবং সততার প্রতীকের ভাবমূর্তি সামনে আনতে পারবে না এই রাজ্যের ফ্যাসিস্ট শাসক বলেই দাবি সেই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের।

বিজেপির দাবি, ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। তাই তারা এখন উন্মাদের মত আচরণ করছে। সব জায়গায় গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার রাস্তায় হাঁটছে। কার্যত দিকভ্রষ্ট হয়ে সেই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনকেও বাধা দান করতে তৎপর এই রাজ্যের প্রশাসন। তবে এসব করে তাদের আন্দোলনকে আটকাতে পারবে না তৃণমূল কংগ্রেস। যারা মদ এবং ডিয়ার লটারি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে, সেই টাকা নিজেদের পকেটে ঢোকায়, তাদের অন্তত লজ্জা থাকা উচিত। যে সরকার নিজের সরকারি কর্মচারীদের খুশি রাখতে পারে না, তারা আবার তাদের কণ্ঠরোধ করার সাহস দেখায় কোথা থেকে? তাই এই উন্মাদ শাসক এখন দিকভ্রষ্ট হয়ে যত এইসব কাজ করবে, ততই মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, আড়াল থেকে যে এই কাজ করেছেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান, তার নির্দেশই যে একেবারে সাত সকালে এই ধরনের ফ্যাসিস্ট আচরণ করা হয়েছে, সেটা বুঝতে বাকি নেই কারোরই। কিন্তু তিনি কেন এসব করছেন! বুঝেও কি না বোঝার ভান করছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী! তিনি কি বুঝতে পারছেন না যে, সরকারি কর্মচারীরা তার পক্ষে নেই! ডিএর দাবিতে যখন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ লড়াই করছে, তখন তাদের ক্ষেপিয়ে দিয়ে তিনি কোন শখ পূরণ করছেন!

এসব তিনি যত করবেন, ততই তো রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা ক্ষিপ্ত হবেন। যার প্রভাব পড়বে ভোটব্যাংকে। সামনে যখন লোকসভা ভোট, তখন তার এই ধরনের ভুল সিদ্ধান্তের খেসারত তো তার দলকেই দিতে হবে। তবে এই কাজ করে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের জেদটা আরও বাড়িয়ে দিল এই ফ্যাসিস্ট শাসক। এবার তারা যখন খোলা মাঠে আন্দোলন করবে, যখন তারা অনশন চালিয়ে যাবেন, তাতে যদি কারওর ক্ষতি হয়, তখন যে বৃহত্তর আন্দোলন তৈরি হবে, তাতে চরম সমস্যায় পড়বে নবান্ন। টলমল হয়ে যাবে এই রাজ্যের শাসকের গদি। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!