এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বঞ্চিতদের নাকি টাকা দেবেন মমতা! আইন ভাঙছেন, ঘুম ওড়ালেন সুকান্ত!

বঞ্চিতদের নাকি টাকা দেবেন মমতা! আইন ভাঙছেন, ঘুম ওড়ালেন সুকান্ত!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কেন্দ্র যে একশো দিনের কাজ এবং আবাস যোজনায় টাকা দেবে না, সেটা খুব ভালো করেই বুঝতে পারছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবুও ভোট পাওয়ার জন্য কেন্দ্র বিরোধী কথা বলে আবার একটা ধর্নার নাটক করছেন তিনি। তবে এসব করে লাভের লাভ কিছু হবে না। আর সেটা বুঝতে পেরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই ধর্নার মঞ্চ থেকে আবার ঘোষণা করেছেন, আগামী 21 ফেব্রুয়ারি তিনি নাকি 21 লক্ষ মানুষ, যারা একশো দিনের কাজের টাকা পাননি, তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে দেবেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে, কি করে এই টাকা পৌঁছে দিতে পারেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী! তার এই টাকা দেওয়ার অধিকার আছে কি! আর যদিও বা তিনি দেন, তাহলে তিনি কোথা থেকে এই টাকা দেবেন?

কারন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তো বলেন যে, তার কোষাগারে টাকা নেই, কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। তাহলে এত লক্ষ মানুষের টাকা কি করে তাদের ব্যাংক একাউন্টে পৌঁছে দেবেন! সেটা নিয়েও একটা প্রশ্ন উঠছে। আর এসবের মাঝেই আইনগত বিষয় নিয়ে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ঘুম উড়িয়ে দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে গরিবদরদী বলে নিজের দয়ালু মনোভাবকে সামনে এনে যতই প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করুন না কেন যে, তিনি মানুষের পাশে আছেন, কিন্তু দিনের শেষে তিনি যে টাকা পৌঁছে দেবেন বলে বলছেন, সেই টাকা কাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যাবে, সেটাও নিয়েও একটা বড় পর্দা ফাঁস করলেন সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু কি এমন বলেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি, যা নিয়ে রীতিমত সাড়া পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে!

প্রসঙ্গত, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মানুষের চোখে ভালো সাজার জন্য ধর্না মঞ্চ থেকে একটি ঘোষণা করে দেন যে, আগামী 21 ফেব্রুয়ারি তিনি 21 লক্ষ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে দেবেন, যারা একশো দিনের কাজের টাকা পাননি। এখন এই বিষয় নিয়েই নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে। আর সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তার স্পষ্ট বক্তব্য যে, আইন অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী এই টাকা দিতে পারেন না। আর দ্বিতীয় কথা যে, তিনি যদি এই টাকা দেন, তাহলে সেটা তিনি কোথা থেকে দেবেন! হয়ত ডিয়ার লটারি বা মদের থেকে যে টাকা রাজ্যের কোষাগারে আসছে, সেই ঢাকা তিনি দেবেন। আর তা না হলে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো ফান্ডের অপব্যবহার করে তিনি এই সমস্ত টাকা পৌঁছে দেবেন।

আর সবথেকে বড় কথা যেটা বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেছেন, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি এটাও বলেছেন যে, যে টাকা মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছে দেবেন বলে বলছেন, সেই 21 লক্ষ মানুষের মধ্যে বেশিরভাগটাই তৃণমূলের ক্যাডার। যারা কাজ না করে এতদিন টাকা পেয়েছেন। নিজেদের পকেটে টাকা ঢুকিয়েছেন। তাই তাদেরকে খুশি রাখতেই মুখ্যমন্ত্রী ঘুরিয়ে ইনকাম করে এই সমস্ত টাকা নিজের ক্যাডারদের একাউন্টে পৌঁছে দেবেন। অর্থাৎ আরও একটা বড় দুর্নীতি, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আরো একটা বড় স্বেচ্ছাচারিতার আগাম আভাস দিয়ে রীতিমত শোরগোল ফেলে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

বিজেপির দাবি, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সব সময় মিথ্যে কথা বলতে ওস্তাদ। এক্ষেত্রেও তিনি মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। সাধারণ মানুষ, যারা প্রকৃত অর্থে একশো দিনের কাজ করেছেন, তাদেরকে টাকা না দিয়ে নিজের ক্যাডারদের তিনি টাকা পৌঁছে দেবেন। আর যার টাকা নেই বলে দিনরাত চিৎকার করেন, তিনি আবার এখন টাকা পাচ্ছেন কোথা থেকে? তাহলে এই ধর্না করার কি দরকার, যখন তার কাছে এত টাকা আছে! তাহলে কেন তিনি সকলকে এই টাকা পৌঁছে দিচ্ছেন না! আর কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দেবে না, এটা কখনও বলেনি। কেন্দ্র টাকা দিতে রাজি। কিন্তু এই রাজ্য সরকার চুরি করেছে জন্য তারা হিসাব দিতে পারছে না। আর শেষ পর্যন্ত নিজেদের চুরি ধরা পড়ে যাচ্ছে, আর বরফ গলবে না বুঝেই এখন মুখ্যমন্ত্রী সকলের মুখ বন্ধ করার জন্য এই টাকা দেওয়ার নতুন নাটক শুরু করেছেন বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার একদম সঠিক জায়গায় ঘা দিয়েছেন। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দোষারোপ করে রাজনীতি করার সুযোগ আর কতদিন নেবেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী? যদি সত্যিই তিনি টাকা প্রত্যেকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠান, তাহলে দিনের শেষে সেটা নিয়েও তদন্ত হওয়া উচিত। তদন্ত হওয়া উচিত যে, মুখ্যমন্ত্রী সেখানেও রং দেখে টাকা পাঠাচ্ছেন, নাকি সকলের ব্যাংক একাউন্টে যারা প্রকৃত একশো দিনের কাজ করেছেন, তাদের বাড়িতেও টাকা পাঠাচ্ছেন! বেছে বেছে যদি তৃণমূল নেতাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর চেষ্টা হয়, তাহলে কোথা থেকে সেই টাকা আসছে এবং কেন এইভাবে সেখানেও দ্বিচারিতা করছে এই রাজ্য সরকার! সেটা নিয়েও একটা বড় তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

সকাল বেলা ধর্না দেবেন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বঞ্চনার অভিযোগে তাদের নেত্রী, আবার বেলা শেষে ঘোষণা করবেন যে, তিনি এত জনদরদী যে, তিনি সকলের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে দেবেন, দুটো একসাথে হতে পারে না। তাই এই ধরনের দ্বিচারিতার মনোভাব, এই ধরনের স্বেচ্ছাচারীতার মনোভাব, এই ধরনের রাজ্যকে শেষ করে দেওয়ার যে ষড়যন্ত্র এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী করছেন, এবার তার পর্দাটাও ভয়ংকর ভাবে ফাঁস হয়ে গেল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!