এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > হেমন্তের জেলযাত্রায় আতঙ্কিত মমতা, ভয়ে কাঁপছে ঘাসফুল! হুশিয়ারি শুভেন্দুর!

হেমন্তের জেলযাত্রায় আতঙ্কিত মমতা, ভয়ে কাঁপছে ঘাসফুল! হুশিয়ারি শুভেন্দুর!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিজেপিকে আটকাতে তৈরি হওয়া ইন্ডি জোটের এখন পিন্ডি চটকে গিয়েছে। সকল জোট শরিকরা কার্যত বিভ্রান্ত। সকলেই নিজেদের রাজ্যের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে তৎপর। আর এসবের মধ্যেই এতদিন বিজেপির পক্ষ থেকে যে কথাটা বলা হয়েছিল যে, যারা এই বিরোধী জোটে রয়েছেন, তারা সকলেই দুর্নীতির বড় বড় মাথা। অবশেষে সেটাই প্রমাণিত হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন গ্রেপ্তার হয়েছেন। আর তারপর থেকেই আতঙ্ক ক্রমশ গ্রাস করছে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পাচ্ছেন! যেভাবে তার দলের একের পর এক নেতা শিক্ষা নিয়োগ থেকে শুরু করে রেশন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন, তাতে কি এবার মূল মাথার দিকে এগিয়ে যাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা! যেটা রাজ্যের মানুষ চাইছে, সেই প্রত্যাশা কি সকলের পূরণ হবে!

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ধর্না মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী যে কথা বলেছেন, তারপর তার উদ্দেশ্যে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী‌। আর শুভেন্দুবাবুর সেই বক্তব্য নিয়েই এখন তৎপরতা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। অনেকেরই প্রশ্ন, তাহলে কি বাংলার ক্ষেত্রে, বলা ভালো এই বাংলার শাসকের ক্ষেত্রে বড় বিপদ ধেয়ে আসছে? দুর্নীতি করে সে যত বড়ই নেতা হোক না কেন, এই বিজেপি সরকারের আমলে কেউ রেহাই পাচ্ছে না। স্বাভাবিক ভাবেই যে বাংলায় এত দুর্নীতির গন্ধ আসছে, নেতারা জেলে যাচ্ছে, সেখানে যিনি প্রধান আসনে বসে রয়েছেন, তার ইন্ধন ছাড়া যে এই সমস্ত দুর্নীতি হয়নি, এটা স্পষ্ট। তাহলে কি এবার তার বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কড়া স্টেপ?

প্রসঙ্গত, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর জেল ফুটো করে বেরিয়ে আসার মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “সংবিধান আক্রান্ত নয়, দেশে চোরেরা আক্রান্ত। তাই মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়ে এই ধরনের কথা বলছেন। তিনি বুঝতে পেরেছেন, ঝাড়খন্ড হয়ে রাঁচি হয়ে এবার কলকাতায় আসবে। তাই তিনি বলছেন, হেমন্তকে গ্রেফতার করেছে, এরপরে কি অরবিন্দ কেজরিওয়াল! তারপরে কি সবংশ আমি! চোরেরা আক্রান্ত হওয়ার কারণেই মুখ্যমন্ত্রী এই ধরনের কথা বলতে শুরু করেছেন। তিনি ভয় পাচ্ছেন।”

এখন তৃণমূল বলতেই পারে যে, কেন্দ্রীয় সংস্থাকে বিজেপি ব্যবহার করছে। কিন্তু এর সঙ্গে সেই ব্যবহার করার কোনো বিষয় নেই। যারা চুরি করেছে, যারা দুর্নীতি করেছে, তারা জেলে যাচ্ছে। আজকে হেমন্ত সরেন গ্রেপ্তার হওয়ার পর তিনি কিন্তু কারওর বিরুদ্ধে কোন কথা বলেননি। আর আদালতে গিয়েও তিনি নিজেকে মুক্ত করতে পারেননি। ফলে তার বিরুদ্ধে যে একটা ভয়ংকর অভিযোগ ছিল, এটা স্পষ্ট। স্বাভাবিকভাবেই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও বুঝতে পেরেছেন যে, কিভাবে আটঘাট বেঁধে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাই এখন বাধ্য হয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে কথা বলে নিজের ঘাড় থেকে দোষ ঝেড়ে ফেলার নাটক শুরু করেছেন বলেই দাবি একাংশের।

বিজেপির দাবি, তৃণমূল দল এবং প্রশাসনে শেষ কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তার অঙ্গুলিহেলন ছাড়া এত বড় দুর্নীতি হয়ে গেল, এটা কেউ বিশ্বাস করতে রাজি নয়। তাই গোটা রাজ্য জুড়ে আওয়াজ উঠছে যে, মূল মাথা কবে জেলে যাবে। এই রাজ্যের মানুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে একটা শেষ কিছু দেখতে চায়। যে ফ্যাসিস্ট সরকার চলছে, যে সরকারের মাথা হয়ে দুর্নীতির সবকিছু উপভোগ করছেন এক ব্যক্তি, তাকে আগে জেলে পাঠাতে হবে। দুর্নীতি করার পরেও তার এত বড় বড় কথা রাজ্যের মানুষ সহ্য করবে না। তাই আতঙ্কিত হয়েই মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এখন ভুলভাল কথা বের হচ্ছে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, আইনের শাসন পশ্চিমবঙ্গে নেই। এখন এখানে শাসকের আইন চলছে। আর এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শাসকের আইন চালান বলে তিনি ভুলে গিয়েছেন যে, কোর্টকে এইভাবে চ্যালেঞ্জ করা যায় না। হেমন্ত সোরেরের গ্রেপ্তার নিয়ে তিনি সোচ্চার হয়েছেন, ঠিক আছে। কিন্তু বলতে বলতে তিনি এমন কিছু বলছেন, যাতে সেই আদালতকেই তিনি চ্যালেঞ্জ করছেন। তাই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, যিনি দুর্নীতিকে এত প্রশ্রয় দিয়েছেন, রাজ্যকে শেষের কিনারায় নিয়ে চলে গিয়েছেন, এবার তার দিকেও ধেয়ে আসছে তদন্তকারী সংস্থা? আর সেটা বুঝতে পেরেই কি তিনি এখন “জেল ফুটো করে বের হব” বলে মন্তব্য করছেন! আসলে শেষের সময় তৈরি হয় আতঙ্ক। তাই সেই আতঙ্ক যখন গ্রাস করে, তখন বিভ্রান্তের মতই কথা বলে শাসক। হয়ত এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্যে দিয়েও সেই আশঙ্কাই ক্রমশ স্পষ্ট হিসেবে উঠে আসতে শুরু করেছে। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!