এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সাংসদ পদেও ইস্তফা দেবের? ঘটতে চলেছে বড়সড় অঘটন! ভয়ংকর ইঙ্গিত শুভেন্দুর!

সাংসদ পদেও ইস্তফা দেবের? ঘটতে চলেছে বড়সড় অঘটন! ভয়ংকর ইঙ্গিত শুভেন্দুর!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- যারা একটু টেলিভিশন মিডিয়ার দিকে নজর রাখেন, যারা রাজ্য রাজনীতির খবর নিয়ে চর্চা করেন, তাদের কাছে এখন মুখরোচক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেবের একটি পদক্ষেপ। তিনি হঠাৎ করেই তিনটি সরকারি কমিটির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছে। আর সেই বিষয় নিয়েই নানা আলোচনা আলাপ আলোচনা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন নেতাদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইছেন অনুপ্রাণিত মিডিয়াদের একাংশ। অনেকে আবার এটাও বলছেন যে, দেব কিছুটা হলেও মেরুদন্ড সোজা রেখেছেন। তিনি এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হতে চান না। যেভাবে তিনি ফেঁসে গিয়েছেন, তাতে ভবিষ্যতে তার দিকে বিপদ আসতে পারে।

তাই এখন আগেভাগেই তৃণমূলের সঙ্গে নিজের সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করার পথে তিনি হাঁটতে শুরু করেছেন। যার প্রাথমিক পদক্ষেপ এই সরকারি কমিটি থেকে ইস্তফা বলেই মনে করছেন একাংশ। আর এসবের মধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এমন একটি কথা বললেন, যার ফলে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। আশঙ্কা বাড়ছে, তাহলে কি এবার তৃণমূলের ঘরে ঘটতে চলেছে বড়সড় অঘটন! বিশিষ্ট অভিনেতা তথা তৃণমূল সাংসদ দেব নিতে চলেছেন তার দ্বিতীয় বড় স্টেপ। আর সেই স্টেপ এমন এক অশনি সংকেত বয়ে আনবে তৃণমূল কংগ্রেসে, যার ফলে লোকসভার আগেই ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়ে যেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কি এমন বলেছেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা! যা নিয়ে এত কথা হচ্ছে?

প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সাংবাদিকরা দেবের তিনটি সরকারি কমিটির থেকে ইস্তফা দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন করেন। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। তিনি বলেন, “সবে তো সকাল। এখনও দুপুর হয়নি। অপেক্ষা করুন। সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দেবে।” আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই এই সমস্ত কাজ করছেন দীপক অধিকারী ওরফে দেব! তাহলে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল একাংশের মধ্যে যে, দেব এবার তৃণমূলের টিকিট আর দাঁড়াবেন না, সেটাই কি সত্যি হতে চলেছে! কেননা শুভেন্দু অধিকারী তো এমনি এমনি এই সমস্ত কথা বলার লোক নন। আর তিনি দলবদল করার পর থেকে যে সমস্ত কথা তৃণমূলের বিরুদ্ধে বলেছেন, তা কিছুদিন পরেই বাস্তব রূপ নিয়েছে। তাহলে এক্ষেত্রেও যদি তেমনটা হয়, তাতে চরম সর্বনাশের মুখে পড়তে হতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে বলেই মনে করছেন একাংশ।

বিজেপির দাবি, যারা সততার সঙ্গে রাজনীতি করতে চান, তারা কেউ তৃণমূলে থাকতে পারবেন না। দেবের ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে। তাকে জোর করে ভোটে দাঁড় করাতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি দলীয় বৈঠক থেকেও সেই আভাস এসেছে। তবে দেব মেরুদন্ড রেখে এই দুর্নীতির সঙ্গে যারা যুক্ত, তাদের সঙ্গে হয়ত দূরত্ব তৈরি করতে চাইছেন। এমনিতেই তাকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা একবার ডেকেছিল। স্বাভাবিক ভাবেই চাপ আসতে পারে জেনেই এখন দুর্নীতিবাজদের সঙ্গ ত্যাগ করতে চাইছেন দীপক অধিকারী। আগামী দিনে এই দেবকে নিয়ে চরম যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে তৃণমূলকে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, দীপক অধিকারী কি করবেন, সেটা সময় বলবে। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ শুভেন্দুবাবু একেবারে তৃণমূলের ঘরের খবর জানেন জন্যেই বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রতি পদে ব্যাগরা দিচ্ছেন। তার একের পর এক রাজনৈতিক স্ট্র্যাটেজির কাছে কুপোকাত হচ্ছে এই রাজ্যের শাসক দল। এক্ষেত্রে দেবকে নিয়েও যে শুভেন্দু অধিকারী একটা ভয়ংকর প্ল্যান কষে রেখেছেন, সেটা তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়েও উঠে এলো। তিনি না জেনে অন্তত দেবের সম্পর্কে এই কথা বলবেন না। তাহলে নিশ্চয়ই তার কাছে এমন কোনো খবর রয়েছে। আর সেই খবর সম্পর্কে ইঙ্গিত দিয়ে তৃণমূল নেত্রীর মাথাব্যথাকে আরও বাড়িয়ে দিলেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!