এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার বিদায় আসন্ন, বাম- কংগ্রেসর মতই দশা তৃণমূলের! বড় দাবি শুভেন্দুর!

মমতার বিদায় আসন্ন, বাম- কংগ্রেসর মতই দশা তৃণমূলের! বড় দাবি শুভেন্দুর!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তৃণমূল কংগ্রেস এবং তাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেবে নিয়েছেন যে, চিরজীবনের মত ক্ষমতায় থাকবে তৃণমূল কংগ্রেস। মানে ক্ষমতা ছাড়া এই দলটা এখন কিছু ভাবতেই পারছে না। ক্ষমতার নেশায় ডুবে গিয়ে তারা যে পরিমাণ ইনকাম করেছে, যে পরিমাণ চুরি করার স্বাদ পেয়েছে, তাতে তাদের মনে এই বিশ্বাস গেঁথে গিয়েছে যে, তাদেরকে সরানোর মত কেউ নেই। কিন্তু এই রাজ্য থেকে একদিন কংগ্রেসকেও সরে যেতে হয়েছে, 34 বছর ধরে ক্ষমতা ভোগ করা সিপিএমকেও বিদায় নিতে হয়েছে। তাই রাজ্যের মানুষ এখন তৃণমূলের বিকল্প খুঁজতে শুরু করেছেন।

স্বভাবতই এই পরিস্থিতিতে এবার যেভাবে একের পর এক চুরি সামনে আসছে, তাতে লোকসভা নির্বাচনে এই বাংলায় যদি বিজেপির পক্ষে ফলাফল যায়, তারপরেই এই রাজ্য থেকে তৃণমূলের বিদায় শুধু সময়ের অপেক্ষা। রাজ্যের সাধারণ মানুষ, যারা গণতন্ত্রের পক্ষে রয়েছেন, যারা রাষ্ট্রবাদের পক্ষে রয়েছেন, তারা সকলেই চাইছেন, এই দলটা এবার বিদায় নিক। একটা সামান্য ভোট এরা করতে দেয় না এই রাজ্যে। তাই গণতান্ত্রিক অধিকার যদি ঠিকমত লোকসভায় প্রয়োগ করতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ, তারপরেই তৃণমূলের বিদায় লিখন স্পষ্ট হয়ে যাবে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এদিন আবারও এই ফ্যাসিস্ট শাসকদলের বিদায় ঘন্টা বাজিয়ে দিলেন। যার ফলে প্রবল উৎসাহিত বিজেপির নেতা কর্মীরা।

প্রসঙ্গত, এদিন সমস্ত বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলকে কটাক্ষ করেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি স্পষ্ট করে দেন, কংগ্রেস এবং সিপিএমকে মানুষ দেখেছে এবং তারা সাধারণ মানুষের কাছে প্রত্যাখ্যাত। তৃণমূলকেও মানুষ পরখ করেছে। 13 বছর হয়ে গেল, তারা এই রাজ্যে শাসন করছে। মানুষ এদের উপর বিরক্ত। তাদেরকেও মানুষ প্রত্যাখ্যাত করবে। আর সেটা শুধু সময়ের অপেক্ষা। এখন তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হতেই পারে যে, শুভেন্দু অধিকারীকে কে গুরুত্ব দেয়! হ্যাঁ, তারা শুভেন্দুবাবুকে গুরুত্ব দিতেও পারেন, নাও দিতে পারেন। তাদের কাছে ক্ষমতা আছে, তাই তারা যা খুশি করতে পারেন।

কিন্তু ক্ষমতা চিরকাল সবার দিকে স্থায়ী হয় না। এটা তৃণমূলের নেতাদের ভালো করে মাথায় ঢুকিয়ে দিতে হবে। আজকে ক্ষমতার স্বাদ উপভোগ করতে গিয়ে তৃণমূল যেভাবে এই রাজ্যে চুরি করেছে, এই রাজ্যকে দুর্নীতির আঁতুড়ঘরে পরিণত করেছে, তাতে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার পরেও তাদের প্রতি মানুষের বিন্দুমাত্র সিমপ্যাথি থাকবে না। এরা এতটাই মানুষের প্রতি বিরক্ত বোধ নিজের দল সম্পর্কে তৈরি করেছে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই বাম এবং কংগ্রেসের প্রতি মানুষের কিছুটা হলেও আবেগ থাকলেও, তৃণমূল যদি একবার ক্ষমতা থেকে বিদায় নেয়, তাহলে এরা ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যাবে। কারণ মানুষ এদের ওপর চরম ভাবে বিরক্ত বলেই দাবি একাংশের।

বিজেপির দাবি, গোটা রাজ্যের মানুষ চাইছে, তৃণমূল সরকার বিদায় নিক। কিন্তু যেখানে ভোট হয় না, সেখানে সাধারন মানুষ নিজেদের মতামত দেবে কি করে? তাই সকলেই অপেক্ষা করছেন লোকসভা নির্বাচনের। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে যেন একটি শান্তিপূর্ণ অবাধ নির্বাচন হয়। আর একবার যদি ঠিকমতো ভোট হয় পশ্চিমবঙ্গে, তাহলেই বোঝা যাবে, তৃণমূলের বিপক্ষে ঠিক কত মানুষ রয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই বাম এবং কংগ্রেস যেভাবে রাজ্য রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক, খুব দ্রুত তৃণমূলকেও সেই জায়গায় পৌঁছে দেবেন পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রপ্রেমী সাধারন মানুষ। আর তখন এই দলের নাম নিশান কিছু থাকবে না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারী চরম সত্যগুলোকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন। তিনি বিগত বাম আমলে লড়াই করেছিলেন এই তৃণমূলের হয়েই। সেই সময় তিনি দেখেছেন যে, বামেদের প্রভাব এতটাই ছিল যে, সেই বামফ্রন্টকে রাজ্যের ক্ষমতা থেকে সরানো আদৌ সম্ভব হবে! এটাই একটা বড় প্রশ্ন ছিল সকলের মধ্যে। কিন্তু সাধারণ মানুষ সেটা প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, 34 বছরের জগদ্দল পাথরকে সরানো যায়। তবে যে তৃণমূলের ওপর এই রাজ্যের মানুষ ভরসা করেছিলেন, বহু আশা করেছিলেন, এবার সেই তৃণমূল যে পচন এই রাজ্যে ধরিয়েছে, তাতে বামেদের থেকেও তাদের ওপর মানুষের বেশি রাগ। তাই সেই দিন আর খুব বেশি একটা বেশি দূরে নেই, যখন তৃণমূলকে তল্পিতল্পা গুটিয়ে এই রাজ্যের ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হবে। আর যেভাবে বিরোধীরা আন্দোলন শুরু করেছে, যেভাবে প্রতি পদে পদে হতাশ হচ্ছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তাতে সেই বিদায়ের সময় তৃণমূলের দরজায় কড়া নাড়ছে। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!