এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > জরাজীর্ণ দশা রাজ্যের, বেকার থেকে পরিযায়ী শ্রমিক! মমতার ঘুম ওড়ালেন শুভেন্দু!

জরাজীর্ণ দশা রাজ্যের, বেকার থেকে পরিযায়ী শ্রমিক! মমতার ঘুম ওড়ালেন শুভেন্দু!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- শুধুমাত্র চুরি করে কি করে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা যায়, সেই চেষ্টা করতে গিয়ে রাজ্যের বারোটা বাজিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীরা। আজকে রাজ্যের যেখানেই হাত দেওয়া যাচ্ছে, সেখানেই শুধুমাত্র দুর্নীতির গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। রাজ্যের মানুষ বিরক্ত এই তৃণমূল সরকারের ওপর। সকলেই অপেক্ষায় রয়েছেন, কখন এই ফ্যাসিস্ট শাসককে বিদায় দেওয়া যায়। আর এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে যে খবর আসছে, তাতে অনেকেরই চোখ কপালে উঠে যাবে। দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক তথ্য যেমন তৃণমূলকে তা চাপে রেখেছে, ঠিক তেমনই শুভেন্দু অধিকারী প্রতিনিয়ত এই রাজ্যের শাসক দলের ঘুম উড়িয়ে দিচ্ছেন। কিভাবে রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কিভাবে বাম আমলের থেকেও এই রাজ্যে আরও ভয়ানক পরিস্থিতি, এবার তার তথ্য তুলে ধরলেন তিনি। আর শুভেন্দু অধিকারীর সেই বক্তব্যে নতুন করে হাতিয়ার পেয়ে গিয়েছে বিরোধীরা। বোঝা যাচ্ছে যে, এই রাজ্যের এখন কতটা করুন পরিস্থিতি! কিন্তু কি এমন বলেছেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

প্রসঙ্গত, এদিন বেকার সমস্যা থেকে শুরু করে পরিযায়ী শ্রমিক নিয়ে রাজ্যকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তার দাবি, বাম সরকারের আমলে 1 কোটি বেকার থাকলেও, চোর মমতার আমলে সেটা বেড়ে হয়েছে 2 কোটি। পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা এই চোর মমতার আমলে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল এখন বিরোধী দলনেতার এই বক্তব্যকে অসত্য বলে নানা দাবি করবে। কিন্তু দিনের শেষে তো একটা জিনিস স্পষ্ট যে, এই রাজ্যে চাকরি বলতে কিছু নেই। আর যে চাকরি দেওয়া হয়েছে, তার সবটাই টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হয়েছে। আজকে এই তৃণমূল সরকারের ভ্রান্ত নীতির জন্য, চাকরি না থাকার জন্য, বেকার সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করার জন্য এই রাজ্যের শ্রমিকরা অন্য রাজ্যে কাজ করতে চলে যাচ্ছেন। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে, বেকার যুবক যুবতীদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সত্যিই এখন কতটা বিপদজনক। আর এর জন্য প্রধান ভাবে দায়ী যে এই সরকারের ভ্রান্ত নীতি এবং তাদের চুরি, দুর্নীতির মনোভাব, সেটা স্পষ্ট বলেই মনে করছেন একাংশ।

বিজেপির দাবি, যতক্ষণ না তৃণমূলকে সরানো যাচ্ছে, ততক্ষণ রাজ্যের বেকার শিক্ষিত যুবকদের কোনোদিন চাকরি হবে না। টাকার বিনিময়ে সবকিছু বিক্রি করা এই রাজ্যের শাসক দলের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তাই তারা এই রাজ্যের বিপদ ডেকে আনছে। তবে শেষের সেদিন আসন্ন। রাজ্যের মানুষ এই তৃণমূলের চালাকি ধরতে পেরেছেন। আগামী লোকসভায় এদের জামানত জব্দ হয়ে যাবে। একের পর এক ভবিষ্যৎ প্রজন্মের টুটি চেপে ধরে নিজেদের সর্বনাশের পথ ডেকে আনছে তৃণমূল বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনেক গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করেছিলেন যে, 34 বছর ধরে একটা জগদ্দল পাথরকে সরিয়ে অন্তত এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করলে রাজ্যে সুশাসন ফিরবে, ঘরে ঘরে ছেলে মেয়েরা চাকরি পাবে। কিন্তু চাকরি পাওয়া তো দূরের কথা, শিক্ষিত যুবক যুবতীরা রাস্তায় এখন বসে রয়েছে ন্যায্য চাকরি পাওয়ার দাবিতে‌। কারণ তাদের সেই পাওয়া চাকরি অন্য কাউকে বিক্রি করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের নেতা নেত্রীরা। স্বাভাবিকভাবেই নেতা কর্মীরা এখন জেলে যাচ্ছেন, তাদের দুর্নীতি ধরা পড়ছে, আর যত দুর্নীতির তথ্য সামনে আসছে, ততই বোঝা যাচ্ছে যে, এই রাজ্যে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে। বামেদের ছেড়ে যাওয়া চপ্পলেই পা গলিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যকে আরও সর্বনাশের মুখে ঠেলে দিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!