প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ৭ ই জানুয়ারির দিনে নন্দীগ্রামে শহীদ দিবস পালন করে থাকে শাসকদল তৃণমূল প্রতিবছরেই। এবছর ৭ ই জানুয়ারির দিনে নন্দীগ্রামে সভা করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর বিধায়ক অখিল গিরি অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে মুখ্যমন্ত্রীর সভা স্থগিত করা হয়। এরপর, আগামী ১৮ ই জানুয়ারি নন্দীগ্রামের তেখালি বাজারে মুখ্যমন্ত্রী জনসভা করতে পারেন, বলে জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর এই প্রথম নন্দীগ্রামে সভা করতে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের পর থেকে নন্দীগ্রামে প্রতিবছর ৭ ই জানুয়ারি শহীদ দিবস পালন করে থাকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। যার প্রধান উদ্যোগ নিয়ে থাকেন শুভেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। তাই এবার স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে শহীদ দিবস পালন করার কথা জানিয়েছিলেন। সেদিন মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা করা হবে বলে শাসক দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়। শুরু হয় মুখ্যমন্ত্রীর সভার প্রস্তুতি।

কিন্তু, এরপর গত সপ্তাহে এক বিশেষ ঘোষণায় হঠাৎ নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর এই কর্মসূচি স্থগিত করে দেয়া হয়। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, শহীদ দিবসে নন্দীগ্রামে যাবেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর জনসভার পরিবর্তে সেদিন নন্দীগ্রামে কর্মীসভার আয়োজন করবে শাসকদল তৃণমূল। যে সভায় অংশগ্রহণ করবেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

সে সময় তিনি বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর মতো একজন গুরুত্বপূর্ণ সংগঠক করোনা আক্রান্ত হবার কারণে মুখ্যমন্ত্রীর সভা পিছিয়ে দেওয়া হয়। কারণ, তাঁকে ছাড়া এ সভার আয়োজন করা কিছুতেই সম্ভব নয় বলে জানানো হয়েছিল। সেই সঙ্গে জানানো হয়েছিল যে, তিনি সুস্থ হলেই নন্দীগ্রামে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর আগামী ১৮ ই জানুয়ারি নন্দীগ্রামের তেখালি বাজারে মুখ্যমন্ত্রী সভা করতে পারেন, বলে জানা যাচ্ছে তৃণমূল সূত্রে।

প্রথমত, শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর সভার পরদিন অর্থাৎ ৮ ই জানুয়ারি নন্দীগ্রামে পাল্টা সভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর সভা স্থগিত করা হলেও, শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামে সভা করতে চলেছেন ৮ ই জানুয়ারি। শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার চেয়ে অধিক লোক সমাগম হবে তাঁর সভাতে।