এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বাংলায় পা রাখতে নয়া পদক্ষেপ মমতার এই বন্ধুর, চিন্তার ভাঁজ তৃণমূলের কপালে! জেনে নিন

বাংলায় পা রাখতে নয়া পদক্ষেপ মমতার এই বন্ধুর, চিন্তার ভাঁজ তৃণমূলের কপালে! জেনে নিন


তৃতীয়বারের জন্য দিল্লির ক্ষমতা দখল করেছে আম আদমি পার্টি। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়া এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। বিজেপিকে পর্যুদস্ত করে আম আদমি পার্টি ব্যাপকভাবে দিল্লিতে সাফল্য পেয়ে এখন রীতিমত উজ্জীবিত। তবে শুধুমাত্র দিল্লিতেই সীমাবদ্ধ থাকতে চাইছে না অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। তৃতীয়বারের জন্য দিল্লির ক্ষমতা দখল করে এবার নিজেদের দলকে জাতীয় ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন আপের কর্মী-সমর্থকরা।

সূত্রের খবর, রবিবার আম আদমি পার্টির জাতীয় কর্মসমিতির একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। আর সেখানেই দিল্লির বাইরে দেশের অন্যান্য রাজ্যেও স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা শোনা যায় দিল্লির শাসক দলের নেতা গোপাল রাইয়ের গলায়। যে ঘটনা এখন তীব্র গুঞ্জন সৃষ্টি করেছে দেশের অন্যান্য রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অন্দরে।

এদিন গোপাল রাই বলেন, “পাঞ্জাব সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে আলাদা করে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। বিজেপির জাতীয়তাবাদী দল নেগেটিভ। কিন্তু আমরা পজেটিভ ন্যাশনালিজিমের জন্য লড়াই করবেন।” আর দিল্লিতে ক্ষমতা দখলের পর জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের দিল্লির বাইরে দলকে ছড়িয়ে দিতে গোপাল রাইয়ের এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেননা বর্তমানে অনেক রাজ্যে বিজেপি বিরোধী অনেক রাজনৈতিক দল রয়েছে। ফলে সেই সমস্ত রাজ্যে যদি এই আম আদমি পার্টি‌ লড়াই করে, তাহলে বিজেপি বিরোধী সেখানকার ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দলের সাথে আপের লড়াই তৈরি হবে। আর তখন সারাদেশে বিজেপি বিরোধী এককাট্টা মহাজোটে ধাক্কা আসবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। সেদিক থেকে অনেকেরই নজর রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের দিকে।

কেননা পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের ক্ষমতায় থাকা তৃনমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। কিন্তু এবার যদি অরবিন্দ কেজরিওয়াল পশ্চিমবঙ্গে লড়াইয়ের ব্যাপারে দলকে সবুজসংকেত দিয়ে দেন, তাহলে সেখানকার শাসন ক্ষমতায় থাকা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সম্পর্ক খারাপ হতে পারে বলে মনে করছে একাংশ।

আর তখন বিজেপির বিরোধিতা অপেক্ষা নিজেদের মধ্যে বিরোধিতা করতেই বেশি ব্যস্ত থাকতে পারেন এই বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। যার সুফল চলে যেতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টির ঝুলিতে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। এখন আম আদমি পার্টির অভ্যন্তরীণ বৈঠকে গোপাল রাই অন্যান্য রাজ্যে লড়াইয়ের ব্যাপারে মন্তব্য করলেও, অরবিন্দ কেজরিওয়াল এই ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!