এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলের “সৎ” আর “স্বচ্ছ” নেতার কি সত্যিই অভাব? পিকের নয়া পদক্ষেপ নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে বাড়ছে ক্ষোভ!

তৃণমূলের “সৎ” আর “স্বচ্ছ” নেতার কি সত্যিই অভাব? পিকের নয়া পদক্ষেপ নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে বাড়ছে ক্ষোভ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এককালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলা হত সততার প্রতীক। কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস নানা জায়গায় পরাজিত হওয়ার পর থেকেই দলের নানা নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে শুরু করে। তৃণমূলের অনেক জেলা স্তরের নেতা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হওয়ার কারণেই দলের অনেক জায়গায় খারাপ ফলাফল হয়েছে বলে পর্যালোচনায় উঠে আসে। যার ফলে দলের ভরাডুবি হওয়ার পর প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের দায়িত্ব নেওয়ার সাথে সাথেই দলের দুর্নীতি ছাটতে শুরু করেন।

একাধিক নেতাকে চিহ্নিত করে যারা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বা মানুষের সাথে তাদের যোগাযোগ নেই, তাদেরকে পদ থেকে সরানোর উদ্যোগ নিতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এর পেছনে যে প্রশান্ত কিশোরের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে তৃণমূলে কি সত্যি সত্যি সৎ নেতার সংখ্যা কমে আসছে? আর তাই কি এবার প্রশান্ত কিশোরের টিমের নজর বিরোধীদের দিকে?

জানা গেছে, সম্প্রতি প্রশান্ত কিশোরের টিমের বেশকিছু প্রতিনিধি পশ্চিম মেদিনীপুরে পা রেখেছেন। যেখানে তারা বাম, কংগ্রেস থেকে বিজেপি প্রতিটি দলের সঙ্গে কথাবার্তা চালাতে শুরু করেছেন। শুধু তাই নয়, বিরোধী দলকে ভাঙিয়ে সেখান থেকে হেভিওয়েট নেতাদের যাতে নিজেদের দিকে আনা যায়, তার জন্য স্থানীয় স্তরে তৃণমূল নেতাদের ওপর চাপ দিতেও দেখা যাচ্ছে এই টিমের প্রতিনিধিদের।

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, যেখানে তৃণমূল শাসকদলে রয়েছে, যেখানে তাদের এত কর্মী সমর্থক বলে দাবি করেন তৃণমূলের সমস্ত স্তরের নেতারা, সেখানে কেন বিরোধীদের ঘর ভাঙতে উদ্যত হচ্ছে তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতার বাহিনী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় সত্যি সত্যি সব এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। আর তাই এখন বিরোধীদের দল থেকে ভালো নেতাদের নিজেদের দিকে নিয়ে এসে তৃণমূল মানুষের কাছে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তৈরি করার চেষ্টা করছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে বিরোধী দলের এক নেতা বলেন, “কয়েকদিন আগে ফোনে আমার সঙ্গে একজন যোগাযোগ করেন। তিনি বলেন, প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা থেকে বলছেন। পরে একাধিকবার ফোন করে জানিয়ে ছিলেন দেখা করতে। এতই জোরাজুরি করেছিলেন যে না করতে পারিনি। দিন কয়েক আগে ওই সংস্থার দুজন আমার কাছে এসেছিলেন। কথা শুনে মনে হল ওদের কাছে জেলার অনেক খোঁজ খবর রয়েছে। তৃণমূল এখন স্বচ্ছ ভাবমূর্তির লোকেদের দায়িত্ব দিতে চাইছে।”

আর এখানেই প্রশ্ন, তাহলে কি প্রশান্ত কিশোরের তৃণমূল কংগ্রেস দলের প্রকৃত নেতা এবং কর্মীদের উপর ভরসা নেই! তিনি কি ধরতে পেরেছেন আসল অসুখটা? তিনি কি বুঝে গিয়েছেন যে, তৃণমূল দলটা সত্যিই দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে! আর তাই এখন বিরোধী দল থেকে স্বচ্ছ নেতা কর্মীদের নিয়ে এসে বিধানসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার করতে উদ্যত হয়েছেন তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা? এদিন এই প্রসঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “পিকের টিম নিয়ে কিছু বলার নেই। ওরা ওদের মত কাজ করছে। এটুকু বলতে পারি, বিরোধী দল থেকে অনেক নেতা-কর্মী তৃণমূলে যোগ দিতে চেয়েছেন। কথাবার্তা চলছে।”

তবে তৃণমূল এই দল ভাঙানোর চেষ্টা করলেও, তাতে তারা কোনমতেই সফল হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপি থেকে কংগ্রেস প্রতিটি দলের নেতারাই। তাদের বক্তব্য, তৃণমূল এতদিন নিজেদের সৎ বলে দাবি করত। কিন্তু যদি তারা এতই সৎ হবে, তাহলে কেন তারা বিরোধী দলের দিকে নজর দিচ্ছে? সব মিলিয়ে প্রশান্ত কিশোর এখন বিরোধীদের ভাঙ্গিয়ে নিজেদের দিকে আনার চেষ্টা করলেও, তা কতটা ফলপ্রসূ হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!