এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বিশ্বভারতীর সরকারি জমি নিয়ে কি পরিকল্পনা ছিল তৃণমূল নেতা-বিধায়কদের? ‘ফাঁস’ করে দিলেন দিলীপ

বিশ্বভারতীর সরকারি জমি নিয়ে কি পরিকল্পনা ছিল তৃণমূল নেতা-বিধায়কদের? ‘ফাঁস’ করে দিলেন দিলীপ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিজের হাতে গড়া শিক্ষা মন্দির বিশ্বভারতীতে গতকাল সোমবার ঘটে গেল এক অভাবনীয় ঘটনা। বিশ্বভারতীর পৌষ মেলার মাঠকে প্রাচীর ঘিরে আবৃতকরনের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে বিশ্বভারতীর কিছু ছাত্র ও সেইসঙ্গে কিছু স্থানীয় মানুষের মিলিত বাহিনীর নজিরবিহীন বিক্ষোভ ঘটে গেল। প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার বিশ্বভারতীতে পৌষ মেলার মাঠের চারপাশে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে প্রাচীর নির্মাণের কাজ তদারক করছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ।

এই সময় বিশ্বভারতীর কিছু ছাত্র ও স্থানীয় কিছু মানুষের সম্মিলিত দল ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি করে। তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, মুক্ত প্রাঙ্গনকে প্রাচীন ঘেরার যৌক্তিকতা কি ? অভিযোগ উঠেছে এই দলের একটি অংশ এরপর পে লোডার নিয়ে ধুলিস্যাৎ করে দেয় এই নির্মীয়মান প্রাচীর। শুধু তাই নয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাড়ির সামনে তারা অবস্থান-বিক্ষোভ ও সংশ্লিষ্ট এলাকার পথ অবরোধ করে।

শেষ পর্যন্ত, আজ মঙ্গলবার সকালে তাদেরকে রণে ভঙ্গ দিতে দেখা যায়। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এই ঘটনার জন্য স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে দায়ী করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বীরভূম জেলার দুবরাজপুরের তৃণমূল বিধায়ক নরেশ বাউরি সহ বেশ কিছু তৃণমূল নেতৃত্বকে অভিযোগের কাটগড়ায় তুলেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিল নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিশ্বভারতীতে হয়ে ওঠা এই বেনোজির বিক্ষোভের কারণে গতকাল সোমবার থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন মহল উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল । আজ রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ রাজ্য সরকারকে এই গন্ডগোলের জন্যে সরকারকে অভিযোগের কাঠগড়ায় তুলে জানালেন, “পরিকল্পনা মাফিক তৃণমূল নেতা ও বিধায়ক একাজ করেছেন। কারণ, বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। তাছাড়া ওই জমিতে নজর ছিল তৃণমূল নেতা-বিধায়কের।”

বিশ্বভারতীর বিক্ষভে রাজ্য সরকারকে সরাসরি অভিযুক্ত করে তিনি জানালেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা, তাঁরা যা খুশি করতে পারেন। তাতে কারও আপত্তি করার কথা নয়।” এরপরেই রাজ্যসরকারকে চূড়ান্ত ভাবে কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, “ শাসকদল ইতিমধ্যেই রাজ্যের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পার্টি অফিস বানিয়ে ফেলেছে। বিশ্বভারতীকেও করতে চেয়েছিল। কিন্তু উপাচার্য তাতে সায় দেয়নি বলেই এই কাণ্ড। ” এখানেই শেষ নয় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তাঁকে আরও বলতে শোনা গেল, বাংলা শিক্ষাব্যবস্থার সমস্ত একেবারে রসাতলে চলে গিয়েছে। বাংলায় শিক্ষা ব্যবস্থায় পুরোপুরি রাজনীতি চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের এই আচরন কিছুতেই সমর্থন করা যায় না।

প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর এই চূড়ান্ত গন্ডগোলে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এ প্রসঙ্গে উপাচার্যকে সমর্থন করে তিনি বলেছেন, “বিদ্যুৎবাবু একদম ঠিক কাজ করেছেন।” অন্যদিকে উপাচার্য বিদ্যুৎ বাবু অভিযোগ করেছিলেন যে, এই ঘটনার বিষয়ে তিনি পুলিশকে অবগত করেছেন কিন্তু তাঁকে কোন সাহায্যই করেনি। নিজের আক্রমণের লক্ষ্য পুলিশকেও করলেন দিলীপ ঘোষ । পুলিসের প্রতি তাঁর বক্তব্য, “ পুলিশও রাজনীতির ঊর্ধ্বে নয়।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!