এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > দিল্লির আন্দোলন ভেস্তে গেল! শেষমেষ সব চেষ্টা ব্যার্থ অভিষেকের?

দিল্লির আন্দোলন ভেস্তে গেল! শেষমেষ সব চেষ্টা ব্যার্থ অভিষেকের?


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বাংলার প্রতি বঞ্চনার অভিযোগে দিল্লিতে গিয়ে ধর্না কর্মসূচি করার পরিকল্পনা নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই বাসে করে কর্মীদের নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি নেতারা ফ্লাইটে করে দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন। কিন্তু বিজেপি প্রথম থেকেই দাবি করেছে যে, টাকা কোনোমতেই আটকে দেওয়া হয়নি। বরঞ্চ পশ্চিমবঙ্গে মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য যে টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দেয়, তা তৃণমূল নেতাদের পকেটে ঢুকেছে। সেই কারণে চুরি আটকাতে সেই টাকা আটকে দিয়েছে কেন্দ্র। অর্থাৎ স্বচ্ছতা আনতেই কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপ। যদি চুরি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে কেন্দ্র আবার সেই টাকা প্রদান করবে। তবে তৃণমূল ভাবছে, দিল্লির বুকে আন্দোলন করে, কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে তারা এই টাকা আনতে সক্ষম হবে। কিন্তু তৃণমূলের সেই সব চেষ্টা কার্যত জলে যেতে চলেছে। ব্যার্থ হতে চলেছে তাদের আন্দোলন। শুভেন্দু অধিকারীর বিস্ফোরক মন্তব্যের পর এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত, এদিন তৃণমূল যখন দিল্লি যাওয়া নিয়ে ব্যস্ত, ঠিক তখনই একটি কর্মসূচিতে গিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “যতই দিল্লী যান, আর যেখানে খুশি যান, চুরি করলে টাকা আটকানো হবে। চুরি বন্ধ করুন, টাকা ঢুকে যাবে। হিসাব দিন, টাকা নিন।” সেদিক থেকে দেখতে গেলে শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু যুক্তির কথাই বলেছেন। তৃণমূলের এত ভয় কিসের? হিসাব দিতে তারা যখন স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছে, তখন তা দিয়ে দিলেই তো কেন্দ্রীয় সরকার তাদের টাকা দিয়ে দেয়। কিন্তু সেই কাজ না করে দিল্লির বুকে কেন ধর্না দিতে হবে তৃণমূল কংগ্রেসকে? শুধুমাত্র রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার জন্য তৃণমূল যদি এই আন্দোলন করে ভাবে যে, কেন্দ্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করে টাকা আনতে সক্ষম হবে, তাহলে তারা ভুল ভাবছে বলেই মনে করছেন একাংশ।

গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে যখন অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল, তখন মুখ্যমন্ত্রী অনেক বড় বড় কথা বলেছিলেন। তার মুখ থেকে এটাও শোনা গিয়েছিল যে, টাকা যখন তারাই দেন, তখন তাদের কথা অনুযায়ীই চলবে বিশ্ববিদ্যালয়। আর কেন্দ্রীয় সরকার যখন একশো দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে আবাস যোজনা টাকা দিচ্ছে, তখন তার হিসেব চাইলেই দোষ! তখনই অভিযোগ করা হবে যে, কেন্দ্র প্রতিহিংসা পরায়ন আচরণ করছে। তাহলে রাজ্যের এই দ্বৈত নীতি কি করে মানুষ গ্রহণ করবে? তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে তৃণমূল দিল্লি গিয়ে যতই হম্বিতম্বি করার চেষ্টা করুক, তাদের এই আন্দোলন মিডিয়া হাইপ পেতে পারে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হবে না। রাজ্য সরকার স্বচ্ছতার সহকারে হিসাব না দিলে এবং দুর্নীতি বন্ধ না হলে কেন্দ্রীয় সরকার সেই টাকা দেবে না বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলের অনেকেই আশার আলো দেখছেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার তাদের আন্দোলনের কাছে শেষ পর্যন্ত মাথা নত করবে। কিন্তু তাদের সেই ভাবনাতে আগেভাগেই জল ঢেলে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দুর্নীতির কথাকে তুলে ধরে কেন্দ্রের দরবারে তথ্য নিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, রাজ্যে মানুষ পরিষেবা পাচ্ছে না। তাই কেন্দ্র দুর্নীতি বন্ধ করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। তার কথাতেই কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারকে কার্যত টাইট দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে, দুর্নীতি হলে তা বরদাস্ত করা হবে না। আর সেই কারণেই চাপে পড়ে গিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। তাই আন্দোলন করে এখন সেই টাকা ফেরত আনার যে স্বপ্ন তারা দেখছেন, তাও বৃথা হতে চলেছে। দিল্লিতে তাদের আন্দোলন হয়ত হবে। কিন্তু তার ফল যে শূন্য হতে চলেছে, শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!