কাজের থেকে নকশা বেশি ! দিল্লি পৌছেই নাটক শুরু তৃনমূলের ! মিডিয়া হাইপের চেষ্টা ! জাতীয় তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য October 1, 2023 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বাংলায় যারা একশো দিনের কাজ করেন, তারা নাকি বঞ্চিত! কেন্দ্রীয় সরকার নাকি তাদের টাকা দিচ্ছে না! তাই তাদের নিয়ে দিল্লির বুকে আন্দোলন করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই সেই সমস্ত কর্মী সমর্থকদের নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব দিল্লিতে পৌঁছে গিয়েছেন। কিন্তু তাদের সেই আন্দোলন রাজধানীর বুকে কতটা সফল হবে, তা একটা বড় প্রশ্নের বিষয়। আর এরই মাঝে তৃণমূলের যুবরাজ দিল্লি পৌঁছে গিয়ে ধর্না কর্মসূচি নিয়ে রণকৌশল বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। বাংলা থেকে যে সমস্ত শীর্ষ নেতৃত্ব গিয়েছে, যে সমস্ত সাংসদ এবং মন্ত্রীরা রয়েছেন, তাদের সকলকে নিয়ে যুবরাজ বৈঠক করবেন। যা দেখে বিরোধীরা বলছেন, ঢাল তলোয়ার কিছুই নেই, এ যেন নিধিরাম সর্দার। প্রসঙ্গত, এদিন সকাল বেলা বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর তিনি বিমানে চড়ে দিল্লি রওনা দিয়েছেন। এতক্ষণে হয়তো পৌঁছেও গিয়েছেন। কিন্তু বিশেষ সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে যে, যুবরাজ দিল্লি পৌঁছে প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়ের বাড়িতে সমস্ত বাংলার মন্ত্রী এবং সাংসদদের নিয়ে এই ধর্ণা কর্মসূচির আগে একটি রণকৌশল বৈঠক করবেন। কিন্তু এখানে এত রণকৌশলের কি প্রয়োজন? যেখানে বাংলার মানুষের দাবি-দাওয়া চাইতে আন্দোলনে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস, যেখানে আবার রণকৌশল করতে হয় নাকি? আসলে দিল্লির বুকে তৃণমূল যে আন্দোলন সংগঠিত করবে, সেখানে তারা কোনো প্রচার পাবে না। তাদের কর্মসূচি কার্যত ফ্লপ হয়ে যাবে। এটা তৃণমূল নেতৃত্ব নিজেও বুঝে গিয়েছে। তাই শেষ পর্যন্ত মিডিয়া হাইপ পাওয়ার জন্য ধর্ণা কর্মসূচির আগে এই বৈঠক, সেই বৈঠক করে প্রচারের আলোয় আসার চেষ্টা করছেন আঞ্চলিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতৃত্ব। বিরোধীদের দাবি, দিল্লিতে আইনের শাসন রয়েছে। সেখানে আইন ভাঙতে গেলে কড়া হাতে মোকাবিলা করবে প্রশাসন। তৃণমূল হয়ত বুঝে গিয়েছে যে, দিল্লিতে অশান্তি করলে তারা চাপে পড়বে। তাই রণকৌশল বৈঠকে কিভাবে প্রশাসনকে চাপে ফেলা যায়, কিভাবে পরিস্থিতিকে আরও অশান্ত করা যায়, তার হয়তো নিদান দিচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় নেতা। তবে এসব করতে গেলে দিল্লী পুলিশ চুপ করে থাকবে না বলেও হুশিয়ারি দিচ্ছে গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহল।পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল যদি আন্দোলনকেই সফল করতে চাইত, তাহলে তারা সেই কর্মসূচির দিকে মনোযোগী হত। কিন্তু কর্মসূচির আগের রাতে এই ধরনের রণকৌশল বৈঠকের কোনো মানে হয় না। যদিও বা তৃণমূল কি করবে, সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। সেই ব্যাপারে মতামত দেওয়ার কোনো বিষয় নেই। কারণ তারা অনেক বড় দল। তাদের অনেক বড় বড় ব্যাপার। যারা কর্মসূচিকে সাফল্যমণ্ডিত করতে পারবে না বলে মনে করে, তারাই আগে এই সমস্ত বৈঠক করে মিডিয়া হাইপ পাওয়ার চেষ্টা করে। আর দিল্লী পৌঁছে সেটাই করতে শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূলের নেতারা। যা দেখে সমালোচক মহল বলছে, কাজের থেকে নকশাটাই বেশি করছে শাসক দলের নেতারা। আপনার মতামত জানান -