এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > এবার কি রাজবংশী ভোট নিয়ে তৃণমূলের উপর চাপ বাড়াএবার কি রাজবংশী ভোট নিয়ে তৃণমূলের উপর চাপ বাড়াতে শুরু করল দলীয় সংগঠন? তীব্র জল্পনা শাসকদলেতে শুরু করল দলীয় সংগঠন? তীব্র জল্পনা শাসকদলে

এবার কি রাজবংশী ভোট নিয়ে তৃণমূলের উপর চাপ বাড়াএবার কি রাজবংশী ভোট নিয়ে তৃণমূলের উপর চাপ বাড়াতে শুরু করল দলীয় সংগঠন? তীব্র জল্পনা শাসকদলেতে শুরু করল দলীয় সংগঠন? তীব্র জল্পনা শাসকদলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের তৃণমূল খুব একটা ভালো ফলাফল করতে পারেনি। তবে এবার বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এখন থেকেই দলীয় সংগঠনকে শক্তিশালী করে নিজেদের সংগঠনের ভাবমূর্তি ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে শাসক দল। আর এবার রাজবংশীদের মধ্যে থেকেই আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে কাউকে নিয়োগ করার দাবি জানাতে শুরু করল তৃণমূল সমর্থিত রাজবংশীদের সংগঠন।

জানা গেছে, ২১ শে সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরের আগে তার কাছে আলিপুরদুয়ারের রাজবংশী সম্প্রদায়ের এই সংগঠন সেই বার্তা পৌঁছে দিতে চাইছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত শুক্রবার আলিপুরদুয়ার 1 ব্লকের সালকুমারহাটের পুরনো চৌপথিতে মনীষী পঞ্চানন বর্মার মূর্তি বসানোর একটি শিলান্যাস অনুষ্ঠান হয়‌। যেখানে রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষজনের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্য করার মত।

আর সেখানেই আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে রাজবংশীদের মধ্যে থেকে কাউকে বসানোর দাবি জানানো হয়। এদিন এই প্রসঙ্গে পঞ্চানন বর্মা স্মারক সমিতির আলিপুরদুয়ার জেলা সম্পাদক সুরেশ চন্দ্র রায় বলেন, “রাজবংশী সম্প্রদায়ের দাবিতে মর্যাদা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আমাদের কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় উপহার দিয়েছেন। আমরা মনে করি আলিপুরদুয়ার জেলায় রাজবংশীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ‌।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি আরও বলেন, “তাহলে আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কেন রাজবংশীদের মধ্যে থেকে কাউকে করা হবে না! আমাদের দাবি আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে রাজবংশীদের মধ্যে থেকেই কাউকে নিয়োগ করতে হবে।” এদিকে সুরেশবাবুর বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি মনোরঞ্জন দে। এদিন তিনি বলেন, “বামেদের 34 বছরের রাজত্বে উত্তরবঙ্গের রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষকে নানাভাবে বঞ্চনা করা হয়েছে।”

তাঁর মতে, “কিন্তু রাজ্যে আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষের উন্নয়নে কাজ করছে। আমিও চাই, আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জেলার একজন ভূমিপুত্র রাজবংশীদের মধ্য থেকেই কাউকে নিয়োগ করতে হবে।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূলের রাজবংশী সমর্থিত দলীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে যখন আলিপুরদুয়ারের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে রাজবংশী সম্প্রদায়ের কাউকে নিয়োগ করার দাবি জানানো হচ্ছে, তখন শাসকদল কিছুটা হলেও চাপে পড়ল।

যদি এমতাবস্থায় রাজবংশীদের এই দাবি শাসক দলের পক্ষ থেকে না মানা হয়, তাহলে বিধানসভা ভোটের আগে সেই রাজবংশী সম্প্রদায়ের বেকায়দায় ফেলতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসকে। তাই এই সমস্ত সমীকরণের উপর ভিত্তি করে এখন রাজবংশী সম্প্রদায়ের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কি উদ্যোগ নেওয়া হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!