এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দের রেষ এবার শিক্ষক সংগঠনেও

শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দের রেষ এবার শিক্ষক সংগঠনেও

পুরুলিয়া জেলার শিক্ষক সংগঠনের মধ্যেও গোষ্ঠীদ্বন্দের ছাপ স্পষ্ট।তৃনমূলের একাংশের দাবি, এই জেলায় তৃনমূলের স্বীকৃত একটি সংগঠন আগে থেকেই ছিল। যার নাম ‘তৃনমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি’ । তবে গত বছর ওই সংগঠনের একাংশ ক্ষোভ ও অসন্তোষের কারণে সংগঠন থেকে বেরিয়ে একটি নতুন কমিটি ‘ পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক ও শিক্ষা বিষয়ক কর্মচারী সমিতি’ গঠন করেন।
সেই নতুন সংগঠনের দুইদিন ব্যাপী প্রথম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার পরই সাধারণের নজরে আসে বিষয়টি । এ বিষয়ে পুরোনো সংগঠন ‘ তৃনমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি সটিকিঙ্কর মাহাতো জানিয়েছেন, এই সংগঠনের সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। চার মন্ত্রীর উপস্থিতিতে আমাদের জেলা সম্মেলন ফেব্রুয়ারি মাসে। সেক্ষত্রে নতুন কমিটি গড়ে তোলা সম্পুর্ন ভিত্তিহীন ।

প্রসঙ্গত, নব্য গঠিত কমিটির সভা উপলক্ষ্যে প্রচারপত্র উল্লেখ রয়েছে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও নেতার নাম। তাহলে এই নতুন কমিটির অস্তিত্ব কি শীর্ষ নেতৃত্বের পরামর্শে? যদিও নাম উল্লেখ থাকলেও ওই সংগঠনের সভায় দেখা যায়নি কাউকে। এ বিষয়ে নব্য গঠিত সমিতির জেলা সভাপতি পার্থ সারথি দাসের বলেন, আমাদের সংগঠন গড়ায় কারও অনুমতি নেই ঠিকই ,তবে আমরা মুখ্যমন্ত্রীর মতাদর্শ মেনে চলি। সেকথা সংগঠনের প্যাডেও উল্লেখ রয়েছে। তাহলে প্রশ্ন ওঠে, আলাদা ভাবে এই সংগঠন তৈরির কারণ কি ? সে উত্তরে তিনি জানান, আগে বাম প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠন থেকে যাঁরা একসময়ে নানা সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন, দেখা যাচ্ছে তাঁদের একটা বড় অংশই প্রাধান্য পাচ্ছে। নানা সুযোগ নিচ্ছে। আমরা যাঁরা দীর্ঘদিন বামবিরোধী শিক্ষক সংগঠন করে এসেছি তারা পিছনের সারিতে চলে গেছি। তাই মুখ্যমন্ত্রীর মতাদর্শকে সামনে রেখেই এই নতুন কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত।

পাশাপাশি এই নব্য সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সুব্রত চক্রবর্তীর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর ছবি নিয়ে ব্যবসা নয়, মুখ্যমন্ত্রীর নীতি ও আদর্শ নিয়েই রাজ্যের ১৪টি জেলায় এই সংগঠন গড়ে তুলে জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এবিষয়ে জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধক্ষ ও বিধায়ককে প্রশ্ন করা হল সদুত্তর মেলেনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!