এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কি ঔদ্ধত্য! সবটাই কি মগের মুলুক? মোদীর ওপরেও কতৃত্ব ফলানোর চেষ্টা ভাইপোর!

কি ঔদ্ধত্য! সবটাই কি মগের মুলুক? মোদীর ওপরেও কতৃত্ব ফলানোর চেষ্টা ভাইপোর!


 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে বিরোধী দলকে ধমকে চমকে আটকে দিয়ে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করে তৃণমূল কংগ্রেস, সেই একই কায়দায় এবার দিল্লিতেও তারা কর্মসূচি করার চেষ্টা করছে। কিন্তু দিল্লির প্রশাসন আর পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসন এক নয়। সবটাই যদি তারা বাংলার মত পরিচালনা করতে চায় এবং তৃণমূলের নেতা ভেবে নেন যে, তাদের দলনেত্রী দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে গিয়েছেন, তাই তার কথা অনুযায়ীই সব চলবে, তাহলে তিনি ভুল করছেন। দিল্লিতে রাজনৈতিক কর্মসূচি করার গণতান্ত্রিক অধিকার সকলেরই রয়েছে। কিন্তু গায়ের জোরে যদি সেই অধিকার ফলানোর চেষ্টা হয়, তাহলে তার ফল হতে পারে মারাত্মক। তেমনটাই বলছেন বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহল। ইতিমধ্যেই কর্মীদের বাসে করে পাঠিয়ে দিয়ে ফ্লাইটে করে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তৃণমূলের হাই প্রোফাইল নেতারা। এদিন বিমানবন্দরে গিয়ে কার্যত হুংকার ছাড়লেন তৃণমূলের যুবরাজ। আর তার কথার মধ্যে দিয়ে যে বিষয়টি উঠে এলো, তাতে একাংশ বলছেন যে, এবার কি তাহলে প্রধানমন্ত্রীর ওপরেও কর্তৃত্ব ফলানোর চেষ্টা করছেন তৃণমূলের ভাইপো?

প্রসঙ্গত, এদিন দিল্লিতে রওনা হওয়ার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সামনে বড় বড় কথা বলতে দেখা গিয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কার্যত হুংকার ছেড়ে তিনি বলেন যে, বাংলার প্রচুর বঞ্চনা রয়েছে। আর এই টাকা আপনাকে দিতে হবেই। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করেই যে এই কথা বলেছেন বাংলার যুবরাজ, তা নতুন করে বলার অপেক্ষায় রাখে না। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার তাকেও কি মগের মুলক পেয়ে গিয়েছেন তৃণমূলের এই সর্বভারতীয় নেতা? তার কথা অনুযায়ী কি এবার কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত হবে নাকি! তিনি যা বলবেন, সেই মতো কেন্দ্রীয় সরকার কাজ করবে! তাই টাকা দিতে হবেই বলে যে জোর তিনি বাংলা থেকে প্রয়োগ করলেন, তাতে আর যাই হোক, বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব এবং কেন্দ্রীয় সরকার মোটেই বিচলিত নয়।

বলা বাহুল্য, বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, কেন্দ্রীয় সরকার এমনি এমনি একশো দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করেননি। দক্ষিণ দিনাজপুরের ভাটপাড়া থেকে শুরু করে জলপাইগুড়ির বানারহাট, সর্বত্র এই একশো দিনের কাজে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে এবং তৃণমূলের ছোট, মেজো নেতাদের পকেটে ঢুকেছে কারি কারি টাকা ছাত্রনেতা থেকে শুরু করে যুবনেতা, নিজেদের বাড়ি তৈরি, গাড়ি তৈরির জন্য মানুষের দেওয়া পরিষেবার টাকা নিজেদের পকেটে ঢুকিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ করে নিয়েছেন। তাই মানুষের টাকা যাতে মানুষ পান, তার জন্যই কেন্দ্রীয় সরকার দুর্নীতি বন্ধ করতে এই টাকা বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে এই পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি যাওয়ার আগে যে কথা বলে গেলেন, তা তার ঔদ্ধত্য ছাড়া আর কিছুই নয়। কেন তার কথামতো কেন্দ্রীয় সরকারকে টাকা দিতে হবে? তিনি রাজ্য সরকারের কে! তিনি তো শুধুমাত্র একজন সাংসদ। মুখ্যমন্ত্রী সরকারিভাবে কেন্দ্রের কাছে দাবিদাওয়া করতেই পারেন। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনের বক্তব্য এবং কেন্দ্রের ওপর চাপ সৃষ্টি বেমানান বলেই দাবি একাংশের।

বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃণমূলের যুবরাজ ভাবছেন, সবটাই তার পিসির পশ্চিমবঙ্গ। দিল্লিতে তিনি যাবেন, তার জন্য রাস্তা ফাঁকা করে দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তিনি গটগট করে গিয়ে মোদীকে চাপ দিয়ে বাংলার জন্য টাকা নিয়ে আসবেন, যে টাকা দিয়ে আরও বেশি করে দুর্নীতি করার রাস্তা প্রশস্ত করতে পারেন তৃণমূলের কেষ্ঠ, বিষ্টুরা। কিন্তু তার এই ভাবনা যে কার্যত দুঃস্বপ্ন হতে চলেছে, তা শুধু সময়ের অপেক্ষা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!