এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > তৃনমূলের দিল্লিযাত্রাকে পাত্তাই দিচ্ছেন না মোদী! হতাশ ঘাসফুল!

তৃনমূলের দিল্লিযাত্রাকে পাত্তাই দিচ্ছেন না মোদী! হতাশ ঘাসফুল!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- একশো দিনের কাজে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। নেতারা যাচ্ছেন ফ্লাইট করে। আর কর্মীদের পাঠানো হচ্ছে বাস করে। যাই হোক, তৃণমূলের ওপর তলার নেতারা কর্মীদের ঠিক কোন চোখে দেখে, তা এই ছোট্ট ঘটনাতেই পরিষ্কার। তবে আজকের আলোচনার বিষয় অবশ্য এটা নয়। আলোচনার বিষয় যে, আঞ্চলিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতারা যখন দিল্লি যাচ্ছেন, তখন তাদের দিল্লির এই কর্মসূচি নিয়ে কি বিন্দুমাত্র হলেও চিন্তিত কেন্দ্রীয় বিজেপি? নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ তো অনেক দূরের বিষয়, দিল্লিতে বিজেপির যারা একদম বুথ লেভেলের নেতা, তৃণমূলের এই কর্মসূচি নিয়ে কি তারা আদৌ কোনো আলোচনা করছেন?

এই প্রশ্নের উত্তরে পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য যা বললেন, তাতে লজ্জা ঢাকার মতো জায়গা নেই তৃণমূল নেতাদের। তারা নাকি সর্বভারতীয় দল! তারা নাকি বিজেপিকে আগামী দিনে ক্ষমতাচ্যুত করে প্রধানমন্ত্রী বানাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে! আর সেই দলের এত বড় কর্মসূচি নিয়ে দিল্লির বিজেপি নেতারা যে সমস্ত ভাবনা চিন্তা করছেন, তা শুনলে হাসি পাবে আমার, আপনার সকলেরই। প্রসঙ্গত, এদিন দিল্লির কর্মসূচি নিয়ে সর্বভারতীয় বিজেপি নেতৃত্ব কতটা চিন্তিত, সেই ব্যাপারে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর তার উত্তর দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এমন এক কথা বলেন, যা শুনে হাসি থামাতে পারবেন না আপনারাও। কি বললেন শুভেন্দুবাবু? তিনি বললেন, “বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আমার দিল্লির সঙ্গে কথা হয়েছে‌ অনেকের সঙ্গেই আমি কথা বলেছি আজকে সারাদিন। কিন্তু কেউ একবারের জন্যও বলেনি, কারা আসছে, কেন আসছে, কিভাবে আন্দোলন হবে! সর্বভারতীয় বিজেপি বলুন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বলুন, কেন্দ্রীয় সরকার বলুন, কেউ এই কর্মসূচি নিয়ে চিন্তিত নয়।”

এখন সমালোচক মহল বলতেই পারে যে, শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্য কি করে বিশ্বাসযোগ্য? তিনি তো বিজেপির নেতা, তিনি তো এই ধরনের কথা বলবেনই। হ্যাঁ, শুভেন্দু অধিকারীর এই ধরনের কথা বলতেই পারেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে যদি বিজেপি কোনো কর্মসূচি হয়, তাহলে তাকে আটকাতে পুলিশ কতটা রনংদেহি ভূমিকা নেয়! একবার কি ভেবে দেখেছেন তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা? ফলে বাংলার শাসক দল দিল্লিতে যাচ্ছেন, তারা কর্মসূচি করছেন, কিন্তু তা নিয়ে দিল্লির প্রশাসন আদৌ চিন্তিত নন। তাদের কোনো তৎপরতা কিন্তু সামনে আসছে না। আর এতেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, শুভেন্দু অধিকারী যা বলছেন, তার পেছনে যথেষ্ট সত্যতা রয়েছে।

বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, বাংলায় তো বিজেপি বিরোধী দল। বিজেপি তো বহিরাগত কোনো শক্তি নয়। বাংলার মাটিতে পরিশ্রম করে বিজেপি বিরোধী আসন লাভ করেছে। কিন্তু তারা যখন কোথাও কোনো অভিযান করে, তখন তাকে আটকাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন কতটা সচেষ্ট হয়, তা গোটা বাংলার মানুষ দেখেছে। লাঠি, গুলি, জল কামান সব ব্যবহার করে রীতিমতো দশ ঘণ্টা আগে থেকে ময়দান সামলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ বাহিনী। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল যাদের দিল্লীতে কোনো নাম, গোত্র কিচ্ছু নেই, তারা রাজধানীতে যাচ্ছে কর্মসূচি করতে। আর তা নিয়ে দিল্লী পুলিশের মধ্যে কোনো সক্রিয়তা দেখা যাবে না? তাদের কোনো তৎপরতা চোখে পড়বে না? সত্যি সত্যিই কিন্তু দিল্লী পুলিশ তৃণমূলের এই কর্মসূচি নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবিত নয়। আর এতেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, দিল্লিতে যেমন গণতন্ত্র রয়েছে, ঠিক তেমনই বিজেপি অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সরকার তৃণমূলের এই কর্মসূচিকে রাজনৈতিকভাবে এক পয়সাও গুরুত্ব দিতে রাজি নয়।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলার রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যদি মুখের মত জবাব দিতে হয়, তাহলে তিনি একজনই। তিনি হচ্ছেন, বাপের ব্যাটা শুভেন্দু অধিকারী। আর এটা শুধু কোনো একটি নির্দিষ্ট মহলের কথা নয়। যে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে শূন্য ছিল, যাদের আতস কাঁচ দিয়ে খুজে পাওয়া যেত না‌। আজকে শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর পরিষদীয় গণতন্ত্রে সেই বিজেপির পাল্লা অনেকটাই ভারী হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে দিল্লিতে তৃণমূলের কর্মসূচি নিয়ে যে সর্বভারতীয় বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকার বিন্দুমাত্র ভাবিত নয়, তা বুঝিয়ে দিয়ে ঘাসফুল শিবিরের ঘুম কেড়ে নিলেন সেই শুভেন্দু অধিকারী। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!