এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > পাপের ফল ভুগতেই হবে, দিল্লির কর্মসূচি নিয়ে আরও চাপে তৃনমূল ! উচ্ছাস শুভেন্দুর !

পাপের ফল ভুগতেই হবে, দিল্লির কর্মসূচি নিয়ে আরও চাপে তৃনমূল ! উচ্ছাস শুভেন্দুর !


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বাংলায় যেভাবে গণতন্ত্রকে কণ্ঠরোধ করার অভিযোগ ওঠে, বিরোধীরা প্রতিমুহূর্তে সরব হয় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে, সেইরকম অভিযোগ দেশের আর কোথাও থেকে পাওয়া যায় না। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে যারা দিনরাত গণতন্ত্রকে হত্যা করছেন, সেই তৃণমূলের নেতারা অবশ্য বড়াই করে এখন বড় বড় কথা বলছেন। তাদের বক্তব্য যে, দিল্লীতে তাদের কর্মসূচি নিয়ে নাকি কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিহিংসা পরায়ণ আচরণ করছে। তাদের অনুমতি দিচ্ছে না। তাদের ট্রেন, বিমান সব বাতিল করে দিচ্ছে। কিন্তু তৃণমূলের সেই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই প্রমাণ হচ্ছে সবক্ষেত্রে। আর এসবের মাঝেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একটি যুক্তিপূর্ণ প্রশ্ন তুলে দিলেন সকলের সামনে। তিনি মনে করিয়ে দিলেন যে, এযাবৎকালে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস পুলিশকে ব্যবহার করে তার কতগুলো সভায় বাংলার মাটিতে বাতিল করেছে। শেষ পর্যন্ত তাকে আদালতের দরজায় গিয়ে সেই সমস্ত সভা করার জন্য অনুমতি নিয়ে আসতে হয়েছে। তাই তর্কের খাতিরে যদি তৃণমূল দিল্লির মাটিতে সভা করতে বাধা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগও করে, তাহলে তারা তাদের পাপের ফল ভোগ করছে বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

প্রসঙ্গত, এদিন দিল্লির সভা নিয়ে তৃণমূলের যাবতীয় অভিযোগের জবাব দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “এদের খবর কেউ রাখে না। এরা এই সমস্ত কথা বলে বাজার গরম করার চেষ্টা করছে। বাংলায় আমার 70 টির বেশি সভা বাতিল করেছে। আমাকে শেষ পর্যন্ত আদালতে গিয়ে সেই সভার অনুমতি নিয়ে আসতে হয়েছে।” আর শুভেন্দু অধিকারীর এই কথা তো উড়িয়ে দেওয়ার মতো কথা নয়। সত্যিই তো, রাজ্যের মানুষ দেখেছে যে, কিভাবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে প্রতিমুহূর্তে পুলিশ দিয়ে সব জায়গায় আটকে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। শুধু সভা নয়, বিরোধী দলনেতা স্বাস্থ্য ভবনে কিছুদিন আগে গিয়েছিলেন ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে। তাকে সেখানে ঢুকতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এই তো রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থা! সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস কি করে আশা করছে যে, অন্য রাজ্যের মাটিতে তারা সভা করতে পারবে! তাই তৃণমূল যদি আইন ভেঙে অন্য রাজ্যের মাটিতে সভা করার চেষ্টা করে, তাহলে বাংলায় তারা যেভাবে বিরোধীদের আটকায়, সেভাবেই তাদের রাজনৈতিক ভাষায় জবাব দেওয়া হবে বলেই বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দুবাবু।

যদিও বা বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, তৃণমূলকে কোনোভাবেই দিল্লির মাটিতে সভা করতে বাধা দেয়নি পুলিশ। বাংলার পুলিশ যা করে, তা দিল্লির পুলিশ করে না। তারা স্বাধীন চেতা মনোভাব নিয়ে কাজ করে। তা না হলে যে সমস্ত বিজেপি শাসিত রাজ্য রয়েছে, সেখানে কোনো বিরোধীরা মাথা তুলে দাঁড়াতে পর্যন্ত পারত না। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিরোধীদের ওপর নির্যাতনের যে খবর প্রতিমুহূর্তে সামনে আসে, তা আর কোনো রাজ্য থেকে আসে না। আর এখানেই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে, তৃণমূলের তরফে দিল্লির সভা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে যে প্রতিহিংসা পরায়ণ আচরণের অভিযোগ করা হচ্ছে, তা শুধু খবরের হেডলাইন করার চেষ্টা মাত্র। তাই আঞ্চলিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতার এই ধরনের কথাবার্তা যে আদতে নাটক ছাড়া আর কিছু নয়, তা ধরে ফেলেছে বিরোধীরাও।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলা ভাষায় একটি কথা রয়েছে, কেউ কারও ক্ষতি করলে তার সঙ্গে সেই ক্ষতিই হয়। শুভেন্দু অধিকারীও বারবার পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে এই আপ্তবাক্যটি স্মরণ করান রাজ্যের শাসক দলকে। কিন্তু তারপরেও তাদের লজ্জা নেই। প্রতিমুহূর্তে পুলিশকে দিয়ে কি করে শুভেন্দু অধিকারীর সভা সমিতি, ব্যক্তিগতভাবে তাকে কেস দিয়ে আটকে দেওয়া যায়, তার চেষ্টা করতে শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন। কিন্তু সেখানেও তারা হেরে যাচ্ছে। আদালতের দরজায় গিয়ে বারবার কানমলা খাচ্ছে। তবে দিল্লিতে সভা করার ক্ষেত্রে হোঁচট খাওয়ার পর এবার যদি তৃণমূলের শিক্ষা হয়, তাহলে অন্তত বাংলার গণতন্ত্রের পক্ষে মঙ্গল। আর যদি না হয়, তাহলে আবার ভবিষ্যতে এই পাপের ফল প্রতিহিংসার ফল ভোগ করতে হবে রাজ্যের শাসক দলকে‌। কারণ, চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!