এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > এবার কি বাংলার পালা! মাফলারের পর হাওয়াই চটির জেলা যাত্রা নিশ্চিত? বিস্ফোরক সুকান্ত!

এবার কি বাংলার পালা! মাফলারের পর হাওয়াই চটির জেলা যাত্রা নিশ্চিত? বিস্ফোরক সুকান্ত!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- লোকসভা নির্বাচনের দামামা ইতোমধ্যেই বেজে গিয়েছে। কিন্তু নির্বাচন আসছে বলে যারা দুর্নীতি করেছে, তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হবে, এমনটা কিন্তু নয়। এই দেশের যিনি প্রধানমন্ত্রী, তাকে দেখে সত্যিই আজকে গর্ব হয়। তিনি প্রথমদিনেই বলেছিলেন, না খাউজ্ঞা, না খানে দুঙ্গা। অর্থাৎ নিজেও দুর্নীতি করবেন না এবং কাউকে দুর্নীতি করতে দেবেন না, সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। ইতিমধ্যেই অনেক বড় বড় মাপের নেতারা এই দুর্নীতির দায়ে জেলে গিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে শুরু করে ঝাড়খন্ড, অনেক বড় বড় ডায়লগ দেওয়া নেতারা এখন কেউ তিহারের জেলে আবার কেউ বা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে রয়েছেন। আর তার মধ্যেই আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে নিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এখন বিরোধীরা এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলতেই পারে। কিন্তু তাদের সেই বক্তব্য নিয়ে কারও কিছু আসে যায় না। দেশের মানুষ খুশি যে, দুর্নীতি যারা করেছে, তারা অন্তত গ্রেফতার হচ্ছেন। পাশাপাশি তারা আরও বেশি করে খুশি, কারণ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কোনো রাজনৈতিক রঙ না দেখে যারা অপরাধ করেছে, তাদেরকে গ্রেফতার করছে। তবে দিল্লির এই ঘটনার পরে এই বাংলার অনেকে আবার মুখ খুলতে শুরু করেছেন। তাদের বক্তব্য, বাংলাতেও তো অনেক বড় মাপের দুর্নীতি হয়েছে। তাহলে মাফলার ম্যান তো গ্রেফতার হলেন! কিন্তু হাওয়াই চটির পালা আসবে কবে? ইতিমধ্যেই সেই বিষয়টি তুলে ধরে সুকান্ত মজুমদার একটি ভয়াবহ ইঙ্গিত দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই আবগারি দুর্নীতি মামলা নিয়ে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যেই দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ শিশোদিয়াকে তারা গ্রেফতার করেছে। আর তার মাঝেই গতকাল দীর্ঘ 2 ঘণ্টা জেরা করার পর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর তারপরেই গোটা দেশে হইচই পড়ে যায়। তবে বিজেপি বিরোধী দলগুলোর অন্যতম মুখ হিসেবে অরবিন্দ কেজরিওয়াল গ্রেপ্তার হওয়ার পর টেনশন বৃদ্ধি পেয়েছে বাংলার অনেক বড় বড় নেতা-নেত্রীদের মধ্যে। আর সেই বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “দুর্নীতি যারা করেছে, তাদেরকে শাস্তি পেতেই হবে। সেই অনুযায়ী গ্রেফতার হয়েছে। বাংলাতেও এমনটা হতে পারে। তাই বলছি, সাধু সাবধান। অনেকে তো বলছেন, যতই করো কান্নাকাটি, মাফলার ম্যানের পর হাওয়াই চটি।”

একাংশের মতে, বাংলায় দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে রেশন কেলেঙ্কারি, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করছে। তারা যে স্টেপ নেয়নি, এমনটা নয়। কিন্তু আঞ্চলিক স্তরে বা জেলা স্তরের নেতাদের বিরুদ্ধে হয়ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হয়েছে। তবে মানুষ এখন আর এসব দেখতে চাইছে না। তারা দেখতে চাইছে যে, কবে মূল মাথা গ্রেপ্তার হয়। কারণ পশ্চিমবঙ্গে যে শাসক দল রয়েছে, সেখানে এত বড় বড় দুর্নীতি সংগঠিত হয়েছে, অথচ মূল মাথা কিছুই জানে না, এমনটা হতে পারে না। তাই আসল মাথার গ্রেফতারির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই সরব হচ্ছেন বাংলার গণতন্ত্র প্রেমী সাধারণ মানুষরা। কিন্তু দিল্লির এই ঘটনা দেখার পর বাংলার মানুষের মনেও বিশ্বাস ফিরতে শুরু করেছে যে, সঠিক তদন্ত হলে এবার দিল্লির মতই প্রতিফলন ঘটতে পারে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলার মানুষ এই তৃণমূল সরকারের ওপর এতটাই বিরক্ত যে, এখন তাদের শাসন থেকে মুক্তি পেতে চাইছেন। কিন্তু এখানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি বড় ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ যারা অপরাধ করেছে, যারা মানুষের টাকা চুরি করেছে, তাদের অনেকেই হয়ত জেলে গিয়েছেন। কিন্তু আসল জায়গায় বা মূল পর্বে এখনও পৌঁছতে পারেনি কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তাই সেই জায়গায় তাদের প্রবেশ করলেই বাংলার মানুষের যে দাবি, যে প্রত্যাশা, সেটা হয়ত পূরণ হবে। দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় এজেন্সির একের পর এক তদন্ত চললেও, কোনো ফয়সালা না হওয়ায় সাধারণ মানুষ হতাশ হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু দিল্লির ঘটনার পর সকলেই বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন যে, এজেন্সি যখন হাতে দায়িত্ব নিয়েছে, তখন কিছু একটা হবেই। যারা চুরি করেছে, তারা কেউ রেহাই পাবে না। যার ফলে বাংলাতেও কি এবার দিল্লির মতো ঘটনা ঘটতে চলেছে? মাফলার ম্যানের পর কি বাংলার হাওয়াই চটির দিকে আসতে চলেছে বড়সড় বিপদ? সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!