এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লজ্জাও নেই, বাংলাকেও উত্তপ্ত করার চক্রান্ত আপের? কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার নিয়ে কটাক্ষ বিজেপির!

লজ্জাও নেই, বাংলাকেও উত্তপ্ত করার চক্রান্ত আপের? কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার নিয়ে কটাক্ষ বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-সত্যিই এদের লজ্জা বলতে কিছু নেই! গ্রেপ্তার হওয়ার পরেও যেভাবে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তার দলের অভিযুক্ত নেতা-নেত্রীদের হয়ে সওয়াল করেন, ঠিক সেই একই গোত্রের বিজেপি বিরোধী আরেকটি রাজনৈতিক দল আম আদমি পার্টি। তাদের দলের প্রধান মুখ আবগারি দুর্নীতি মামলায় গতকাল গ্রেপ্তার হয়েছেন। কিন্তু তারপরেও আইনি তদন্তে সহযোগিতা না করে যে বাংলাতে আম আদমি পার্টির নাম নিশান বলতে কিছু নেই, সেখানেও তার গুটি কয়েক কর্মী রাস্তায় নেমে পড়লেন। তাদের রাস্তায় নেমে আন্দোলন করার বিষয় কি? বিষয় এটাই যে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা করে নাকি তাদের নেতা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর আশ্চর্যজনকভাবে মহম্মদ আলী পার্ক থেকে আম আদমি পার্টির কিছু কর্মী মিলে এই মিছিল শুরু করে বিজেপির মুরলিধর লেনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু মাঝেই তাদের পুলিশের পক্ষ থেকে আটকে দেওয়া হয়। তবে তাদের এই কর্মসূচি নিয়েই বাংলার মাটিতে রাজনৈতিক মহলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে আম আদমি পার্টির এই কর্মসূচির আদৌ কি কোনো এফেক্ট পড়বে! আদৌ কি এই দলটার কোনো গ্রহণযোগ্যতা দিল্লির মাটিতেই তো নেই, সেখানে বাংলায় তারা কি প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন! এইসব বিষয় নিয়ে উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন প্রশ্ন।

প্রসঙ্গত, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে বৃহস্পতিবার রাত্রি বেলা গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মূলত আবগারি দুর্নীতি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে গোটা বিষয়টা রয়েছে। যদি কোনো বিষয়ে আম আদমি পার্টির অভিযোগ থাকে, যদি এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হয় বলে তারা মনে করেন, তাহলে তারা আদালতে যান। আদালতে গিয়ে তারা তাদের নেতাকে ছাড়িয়ে আনুন। কিন্তু সেটা না করে যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যে করেন, তার দলের কোনো নেতা গ্রেপ্তার হলে তিনি যেভাবে রাস্তায় নেমে পড়েন, ঠিক সেই কায়দাকেই বেছে নিল আম আদমি পার্টি। আসলে দুই দলের তো একটাই এজেন্ডা, পরিবারবাদ এবং দুর্নীতিকে প্রতিষ্ঠা করা। আর সেই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শেখানো কৌশলকে ধার করে আম আদমি পার্টি পশ্চিমবঙ্গে যেখানে তাদের কিছু নেই, সেখানেও তারা আন্দোলনে নেমে পড়লো বিজেপির বিরুদ্ধে সিমপ্যাথি পাওয়ার জন্য। কিন্তু এসবে যে মানুষের মন গলবে না এবং মানুষ যে আম আদমি পার্টি তো দূরের কথা, বিজেপি বিরোধী বাংলার প্রধান দল যারা শাসন ক্ষমতায় রয়েছে, সেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিও যে বিরক্ত, এটা কেন গুটিকয়েক ব্যক্তি নিয়ে আন্দোলন করা আম আদমি পার্টির স্থানীয় নেতৃত্বরা বুঝতে পারছেন না, তা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিচ্ছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে বাংলায় এই আন্দোলন করা আম আদমি পার্টির দিকে কটাক্ষ তুলে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। তাদের দাবি, বাংলায় তো আম আদমি পার্টির অস্তিত্ব বলতে কিছু নেই। যেখানে দিল্লীতে এই ঘটনা ঘটেছে, সেখানে তারা বাংলায় এই আন্দোলন করছে কেন? আর বিজেপির বিরুদ্ধে তারা এত কথা বলার সাহস পাচ্ছে কি করে? যারা আপাদমস্তক একটা দুর্নীতিগ্রস্ত দল, তাদের এইসব কথা বলার অধিকার নেই। যদি নিজেদের নেতা এতই সৎ হবে, তাহলে আদালতে গিয়ে প্রমাণ করুক। কিন্তু তা না করে রাস্তায় নেমে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে ভোটের মুখে এইসব করে লাভের লাভ কিছুই হবে না। বাংলায় যদি তৃণমূল ভাবে যে, পেছন দিক দিয়ে আম আদমি পার্টিকে সাপোর্ট দিয়ে তারা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবে, তাহলে তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি একটি নিরপেক্ষ সংস্থা। তারা আইন অনুযায়ী চলে। যদি এই গ্রেফতারি মিথ্যে হয়, যদি এর পেছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাই থাকে, তাহলে তা যুক্তি সহকারে আদালতে গিয়ে প্রমাণ দিক আম আদমি পার্টির নেতৃত্বরা। তাহলেই বোঝা যাবে কত ধানে কত চাল! বিজেপির বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!