ভয় পেয়েছেন মমতা?কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারির পরেই ভয়ংকর পোস্ট মুখ্যমন্ত্রীর! জাতীয় তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য March 22, 2024March 22, 2024 Mamata mamataপ্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এমনটাই আশা করা গিয়েছিল। আর প্রত্যাশা মতই অরবিন্দ কেজরিয়াল গ্রেপ্তার হওয়ার পর নিজের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি তার পোস্ট করে এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন। কিন্তু এই পোষ্টের পেছনেও অন্যরকম গন্ধ পাচ্ছেন একাংশ। তারা বলছেন, এই পোস্ট বলে দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচন্ড ভয়ের মধ্যে রয়েছে। যেভাবে একের পর এক দুর্নীতির ঘটনায় তার দলের নেতা-মন্ত্রীরা জেলে যাচ্ছেন এবং অনেকে জেলে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন, তাতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মত ব্যক্তির গ্রেপ্তার তার মনেও প্রবল ভয়ের সঞ্চার করছে। বিজেপি তরফে কিন্তু তেমনটাই দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু কি এমন পোস্ট করেছেন তিনি? সূত্রের খবর, এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের প্রতিবাদ জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তার একটি বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। তিনি অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং তার পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেই পোস্টে উল্লেখ করেছেন। যেখানে তার দাবি, ভোটের আগে বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের টার্গেট করা হচ্ছে। বলা বাহুল্য, এর আগেও ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন গ্রেপ্তার হয়েছেন। আর গতকাল গ্রেপ্তার হলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাই এই পরিস্থিতিতে অনেকে বলছেন, বাংলার যা পরিস্থিতি, তাতে বাংলাতেও কিন্তু এইরকম কিছু ঘটে যেতে পারে। ইতিমধ্যেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার একটি ভয়াবহ ইঙ্গিত দিয়েছেন। যেভাবে একের পর এক দুর্নীতির তথ্য ফাঁস হচ্ছে, চাকরি নিয়োগ থেকে শুরু করে রেশন কেলেঙ্কারি, তাতে অনেক ব্যক্তি গ্রেপ্তার হয়েছেন। কিন্তু ওপর তলার ইন্ধন না থাকলে যে এত বড় দুর্নীতি হতে পারে না, তা সকলের কাছেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই এখন ঝাড়খন্ড, দিল্লির পর বাংলার দিকেও বড়সড় কোনো বিপদ আসতে পারে। আর এটা হয়ত বুঝতে পেরেছেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। সেই কারণেই তিনি প্রতিবাদ হয়ত করেছেন, কিন্তু সেই প্রতিবাদের মধ্যেও একটা সুপ্ত আশঙ্কা এবং ভয় কাজ করছে বলেই দাবি করছেন একাংশ। পর্যবেক্ষকদের মতে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের সঙ্গে বেশ ভালোই সখ্যতা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে এদের দল যে দুই রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে, সেখানেই প্রচুর দুর্নীতির অভিযোগ আসছে। পশ্চিমবঙ্গেও একের পর এক নেতা, মন্ত্রী গ্রেফতার হয়েছেন, জেলের ভিতরে রয়েছেন। যারা এতদিন বড় বড় আওয়াজ দিতেন, তাদের এখন রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। অনেককেই দিন কাটাতে হচ্ছে তিহারে। তাই সতীর্থ মুখ্যমন্ত্রী গ্রেপ্তার হওয়ার পর এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মনেও যে একটা আশঙ্কা কাজ করছে, সেই সম্পর্কে দ্বিমত নেই বিজেপির মধ্যে। তাই প্রতিবাদ হয়ত চলবে, বিজেপির বিরুদ্ধে হয়ত আওয়াজ দেবেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান, সেটা তার গণতান্ত্রিক অধিকার, রাজনৈতিক অধিকার। তিনি তা করতেই পারেন বা বলতেই পারেন। কিন্তু দিনের শেষে যে দুর্নীতি এই পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে হয়েছে, তার বিরুদ্ধে দিল্লির পর যদি অ্যাকশন নিতে শুরু করে কেন্দ্রীয় সংস্থা, তাহলে বড়সড় বিপদে পড়ে যেতে পারেন এই রাজ্যের প্রধান মাথা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -