কোনো কারণ না দর্শিয়েই প্রশাসন অনুমতি দিল না আন্দোলনের! ক্ষোভে ফুটছেন সরকারি কর্মাচারীরা কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য September 11, 2019 কিছুদিন আগেই রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ঘোষণা করেছিলেন, আগামী ১৩ ই সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক বৃহত্তর সম্মেলন করে পে-কমিশন ঘোষণা করবেন। কিন্তু, বর্তমান রাজ্য সরকার কর্মী-দরদী নয় বলে মনে করছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। আর তাই, মুখ্যমন্ত্রীর সেই ঘোষণার একদিন আগেই, অর্থাৎ ১২ ই সেপ্টেম্বর নিজেদের বঞ্চনার কথা তুলে ধরতে ও ন্যায্য অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার দাবিতে – মোট পাঁচ দফা দাবি পেশ করে রাজ্য জুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ঝড় তোলার পরিকল্পনায় ছিলেন তাঁরা। গত ৩ রা সেপ্টেম্বর, কলকাতার প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক বৈঠক থেকে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের দুই যুগ্ম-আহ্বায়ক ফটিক দে ও দেবাশীষ শীল ঘোষণা করেন, ১২ ই সেপ্টেম্বর মোট ৫ দফা দাবিতে গোটা রাজ্য জুড়ে আন্দোলনের পাশাপাশি, সকাল ৯ টা থেকে কলকাতা পুরসভার সামনে অনশণ অবস্থান করা হবে। তাঁদের দাবির মধ্যে ছিল – ১ লা জানুয়ারী থেকে বকেয়া সহ সংশোধিত বেতন কাঠামো অবিলম্বে চালু করা, প্রাপ্য়দিন থেকে কেন্দ্রীয়হারে ডিএ, ‘বদলি সন্ত্রাস’ বন্ধ, বেকারদের স্থায়ী নিয়োগ, সমকাজে সমবেতনের দাবিতে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সহ সমস্ত অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নিয়মিতকরণ। ১৩ টি সংগঠনের হাত ধরে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের প্রতিটি দাবিই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কাছে জ্বলন্ত সমস্যা বলে মনে করছেন এক বৃহদংশ। ফলে, ফটিকবাবু বা দেবাশীষবাবুদের ডাকা এই বিক্ষোভ আন্দোলনে রীতিমত ভিড় উপচে পর্বে বলেই মনে করা হচ্ছিল বিভিন্ন সূত্র থেকে। কিন্তু আন্দোলনের মাত্র দুদিন আগেই কোনো কারণ না দর্শিয়েই প্রশাসন থেকে অনুমতি দেওয়া হল না। যা নিয়ে রীতিমত ক্ষোভে ফুঁসছেন আয়োজকরা। যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের তরফে অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক দেবাশীষ শীল গত ৬ তারিখ, পুলিশের জয়েন্ট কমিশনারকে আগাম আবেদন করেছিলেন। কিন্তু, ৯ তারিখ পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার কোনো কারণ না দর্শিয়েই অনুমতি বাতিল করে দেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ ও ১০ তারিখ দেবাশীষবাবু পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করলেও প্রশাসনের তরফে এখনও চিঁড়ে ভেজে নি বলেই সূত্রের খবর। আর এর ফলে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের দুই যুগ্ম আহ্বায়ক ফটিক দে ও দেবাশীষ শীল এক যৌথ প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মহোদয়ার আগামী ১৩ ই সেপ্টেম্বর কর্মচারী সভায় গালভরা কিছু বুলি আওড়ানো, প্রতিবাদী সংগঠনগুলোর উদ্দেশ্যে গালমন্দ করা আর দু এক টূকরো মাংস ছুঁড়ে দেবার জলসা দেখতে পাব সবাই। তাই আগের দিন হলেও আমাদের ন্যায্য দাবী দাওয়ার সমর্থনে কর্মসূচি নির্ধারিত ছিল – এটা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, কিন্ত মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এতটাই অসহিষ্ণু, যে পুলিশকে দিয়ে আমাদের কর্মসূচি বন্ধ করে দিচ্ছেন। যদিও আমরা সবদিক বিবেচনা করে অনশনের রাস্তা থেকে সরে এসে, বিক্ষোভ অবস্থানে সীমাবদ্ধ রাখার আবেদন করেছি। যাই হোক না কেন, আমরা ১২ই সেপ্টেম্বর কলকাতা পুরসভার সামনে জড়ো হবোই। যদি লাঠি চালায়, যদি গ্রেফতার করে – ‘কুছ পরোয়া নেই’। এর দায় মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকেই নিতে হবে। নিরীহ কর্মচারী, শিক্ষকদের গায়ে হাত দিয়ে যে সভাই করুন না কেন – শিক্ষক কর্মচারীদের চোখে তিনি কলঙ্কিত থাকবেন। প্রশাসনের অনুমতি না মেলার পরেও, যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের হাত ধরে কালকে কি ধরনের আন্দোলন হয় কলকাতা পুরসভার সামনে আর তাতে প্রশাসন ঠিক কি ভূমিকা নেয় – এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -