এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাই সার! টাকা ঢুকছে না বাংলা আবাস যোজনার অ্যাকাউন্টে! বাড়ছে জল্পনা

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাই সার! টাকা ঢুকছে না বাংলা আবাস যোজনার অ্যাকাউন্টে! বাড়ছে জল্পনা


সরকারের কাছে মানুষের তিনটি প্রধান চাওয়ার বিষয়। যার মধ্যে রয়েছে, অন্ন, বস্ত্র বাসস্থান। যে সরকার এই তিনটি বিষয়ে জনসাধারণকে নিশ্চিত করতে পারে, তাদের আর ফিরে তাকাতে হবে না বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। সেদিক থেকে প্রায় প্রতিটি সরকার জনসাধারণকে খুশি রাখতে নানা প্রকল্পের সূচনা করে। কিন্তু প্রকল্পের মাঝপথে গিয়ে যদি জনসাধারণ তাদের এই তিনটি বিষয়ের সঙ্গে সংযুক্ত কোনো বিষয়ে সঠিক সুবিধা না পায়, তাহলে তৈরি হয় ক্ষোভ। যার ফলে চাপে পড়ে প্রশাসন।

আর এবার ঠিক এমনটাই হল পশ্চিমবঙ্গে। সূত্রের খবর, নতুন আর্থিক বছর শুরু হয়ে গেলেও বিগত আর্থিক বছরের বাংলা আবাস যোজনার টাকা বহু বাসিন্দার অ্যাকাউন্টে এখনও পর্যন্ত ঢোকেনি। যার ফলে জনসাধারণের মনে ক্ষোভের সঞ্চার তৈরি হয়েছে। বস্তুত, 2019-20 আর্থিক বর্ষে আলিপুরদুয়ার জেলায় বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে মোট 10 হাজার 245 জন উপভোক্তাকে ঘর দেওয়ার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছিল। আর সেই ঘরের জন্য তিন কিস্তিতে মোট এক লাখ কুড়ি হাজার টাকা করে একজন প্রবক্তার জন্য ধার্য ছিল।

জানা যায়, প্রথমে উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তিতে 60,000 টাকা ঢোকে। পরবর্তীতে ইঞ্জিনিয়াররা কাজ পরিদর্শন করার পর দ্বিতীয় কিস্তিতে 40,000 টাকা দেওয়া হয়। এরপর তৃতীয় কিস্তিতে বাকি কুড়ি হাজার টাকা দেওয়া হয়‌। তবে বিগত আর্থিক বছরে আলিপুরদুয়ার জেলার প্রায় 9 হাজার 45 জন উপভোক্তা তাদের সাহায্য পেলেও, 1,200 উপভোক্তা এখনও পর্যন্ত কোনো টাকা পাননি। ফলে নতুন বছর শুরু হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও কেন তারা তাদের বরাদ্দ ঘরের টাকা পাচ্ছেন না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন আলিপুরদুয়ার জেলার প্রশাসনিক ভবনে একটি ভিডিও কনফারেন্স’ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের কাজকর্ম কেমন চলছে, তা নিয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতির কাছে কাছে জানতে চান রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। আর সেই বৈঠকেই এই সমস্যার কথা তুলে ধরেন আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সভাধিপতি শীলা দাস সরকার। এদিন মন্ত্রীকে তিনি বলেন, “বিগত আর্থিক বছরে বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে জেলার 1200 উপভোক্তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এই প্রকল্পের তিন কিস্তির মধ্যে এক কিস্তিরও টাকা ঢোকেনি।”

তবে এই ব্যাপারে পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ঠিক কিআশ্বাস দিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে? এদিন এই প্রসঙ্গে বৈঠকের পর শীলা দাস সরকার বলেন, “আমরা আশাবাদী, মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলায় দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।” তবে বিগত আর্থিক বছরের টাকা কেন এখনি পর্যন্ত উপভোক্তালের অ্যাকাউন্টে ঢুকল না, তা নিয়ে এখন তৈরি হয়েছে বড়সড় প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত সাধের প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে এই বাংলার আবাস যোজনা প্রকল্প।

গরিব মানুষদের ঘর দিয়ে নিজেদের জনমোহিনী ভাবমূর্তিকে তুলে ধরেছে মা মাটি মানুষের সরকার। কিন্তু সেখানেও যেভাবে সঠিকমাত্রায় বিগত বছরের টাকা এখনও পর্যন্ত ঢোকেনি বলে অভিযোগ উঠল, তাতে রীতিমত সরকারের অস্বস্তি বাড়ছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতিতে আপাতত যেন থমকে আছে সবকিছুই। আর তাই নিয়ে সম্প্রতি এক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নিজে জানান বাংলা অবস্ যোজনার কাজে গতি আনতে হবে। আর এসবের পরিপ্রেক্ষিতে এখন কবে আলিপুরদুয়ার জেলায় উপভোক্তার ব্যাংক একাউন্টে টাকা ঢোকে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!