এবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় বিজেপির বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার পাশাপাশি বিজেপিকে আরও চাপে ফেলে দিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গেছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আগুন জ্বলতে শুরু করে। যার ফলস্বরুপ গত 19 ডিসেম্বর এই আইনের বিরোধিতা করে বেঙ্গালুরুতে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় দুই ব্যক্তির।

প্রাথমিকভাবে কর্নাটকের বিজেপি সরকার মৃতদের 10 লক্ষ টাকা করে সরকারি সাহায্যের ঘোষণা করলেও, পরবর্তীতে তা থেকে পিছিয়ে আসে তারা। যা নিয়ে বিজেপির কর্নাটকের সরকারের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সম্প্রতি এনআরসি বিরোধী পদযাত্রা থেকে এই বিষয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে কর্নাটকের সরকার। তৃণমূল গরিব দল হলেও মানুষের সঙ্গে থাকে, মানবিকতার পাশে থাকে।”

আর এরপরই নিজের রাজনৈতিক বিস্তৃতি ঘটাতে কর্নাটকের এই ঘটনায় নিহতদের পাশে থেকে বিজেপিকে চাপে রাখবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে মনে করেছিল বিশেষজ্ঞরা। আর যেমনটা আঁচ করা হয়েছিল, ঠিক তেমনটাই হল। সূত্রের খবর, তৃণমূল প্রতিনিধি দলের দীনেশ ত্রিবেদী এবং নাদিমুল হক সেই মেঙ্গালুরুতে গিয়ে নিহতদের পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন।

পাশাপাশি ইউনিটি হাসপাতালে গিয়ে বিক্ষোভের সময় আহতদের সঙ্গে দেখাও করেন তৃণমূলের এই নেতারা। আর বিজেপি পরিচালিত কর্নাটকে গিয়ে তৃণমূল নেতারা নিহতদের সাহায্য দিয়ে আদতে বিজেপিকেই ব্যাকফুটে ফেলে দিলেন বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। একাংশ বলছেন, এর ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করলেন।

একদিকে যেমন এনআরসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে যাওয়া মানুষদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন তিনি, ঠিক তেমনই বিজেপি পরিচালিত কর্ণাটক সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে সেখানকার মানুষদের আর্থিক সাহায্য করে নিজের রাজনৈতিক বিস্তার ঘটালেন তৃণমূল নেত্রী বলে মত বিশ্লেষকদের।