এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দিল্লির পর বাংলাতেও অ্যাকশন শুরু ইডির, সাত সকালে চাপে পড়লেন হেভিওয়েট মন্ত্রী!

দিল্লির পর বাংলাতেও অ্যাকশন শুরু ইডির, সাত সকালে চাপে পড়লেন হেভিওয়েট মন্ত্রী!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-দেশের প্রত্যেকটি রাজ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বেশ হাত খুলেই খেলছে। দিল্লিতেও দুর্নীতি যারা করেছে, তারা গ্রেফতার হয়েছে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজিরওয়াল গ্রেপ্তার হওয়ার পর বাংলাতেও এর অন্য প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বাংলায় যারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, তারা এখন দাবি করছেন যে, এই রাজ্যে কবে মূল মাথা গ্রেফতার হবে? যারা এতদিন দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছেন, তাদের কেন ছেড়ে রাখা হচ্ছে! তবে এই সমস্ত প্রশ্নের মাঝেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পরের দিনেই বাংলাতেও যে বড় কিছু হতে চলেছে, তার আভাস পাওয়া গেল কেন্দ্রীয় এজেন্সির একটি পদক্ষেপের মধ্যে দিয়েই। আজকে একেবারে সাত সকালে রাজ্যের এক হেভিওয়েট মন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছে গেল ইডি আধিকারিকরা। যেখানে পুরো বাড়ি ঘিরে ফেলা হলো কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে‌। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে, এবার কি বাংলাতেও এতদিন ধরে যে গ্রেপ্তারি হয়েছে, এবার সেই চুনোপুটিদের এবং মাঝারি রাঘব বোয়ালদের গ্রেফতার করার পর বড় রাঘব বোয়ালদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি?

সূত্রের খবর, আজ একেবারে সাত সকালে রাজ্যের ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্প দপ্তরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বোলপুরের বাড়িতে পৌঁছে যান ইডি আধিকারিকরা। যেখানে একেবারে তিনটি গাড়ি করে ইডি অফিসাররা এলাকায় পৌছে তার বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন। পাশাপাশি গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। এখনও পর্যন্ত যা খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে চাকরির সুপারিশ করেছিলেন রাজ্যের এই মন্ত্রী। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই তাকে জেরা করে বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে চাইছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তবে এই ঘটনা সামনে আসার পরেই অনেকে বলছেন, এবার বাংলার ক্ষেত্রেও হয়ত বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরেই বাংলার মানুষরা দেখতে চাইছেন, মূল রাঘব বোয়ালরা জেলে যাক। দিল্লির ঘটনার পর হয়ত এবার বাংলার দিকে নজর দিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তাই এখন তারা মন্ত্রীর বাড়ি পৌছে গিয়ে জেরার মধ্যে দিয়ে আবার নতুন করে তদন্ত শুরু করছে। তবে দিনের শেষে তারা খালি হাতে বেরোবে, নাকি বড় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, তা নিয়ে চর্চার শেষ নেই বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলায় শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে যে বিপুল দুর্নীতি হয়েছে, তা তো স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই এখন আর জেরা বা তথ্য সংগ্রহের দিকে না হেঁটে সরাসরি এই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। দিল্লিতে যেমনটা হয়েছে, বাংলাতেও সেটা দেখতে চায় সাধারণ মানুষ। তা না হলে কেন্দ্রীয় এজেন্সির প্রতি কারওর বিশ্বাস ফিরবে না। তবে এতদিন ধরে আসল রাঘব বোয়ালদের কেন ধরা হচ্ছে না, তা নিয়ে মানুষের মধ্যে একটা প্রশ্ন ছিলই। কিন্তু দিল্লির ঘটনার পর সকলের মধ্যেই একটা বিশ্বাস তৈরি হয়েছে যে, না, কেন্দ্রীয় এজেন্সি যে পদক্ষেপ নেয়, তা অত্যন্ত পার্মানেন্ট। তাই তাদের পদক্ষেপ নিতে একটু সময় লাগে। কারণ তারা তথ্য সংগ্রহের দিকে ব্যস্ত থাকে। তাই বাংলার ক্ষেত্রেও হয়ত সেই কাজ চলছে। কিন্তু দিল্লির ঘটনার পরের দিনেই যেভাবে রাজ্যের এক হেভিওয়েট মন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছে গেল কেন্দ্রীয় এজেন্সি, তাতে বড় কিছু ঘটতে পারে বলেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে অনেকের মধ্যে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!