এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > গ্রেপ্তারির পরেই বড় পদক্ষেপ, সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও পিছিয়ে এলেন কেজরিওয়াল!‌

গ্রেপ্তারির পরেই বড় পদক্ষেপ, সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও পিছিয়ে এলেন কেজরিওয়াল!‌


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে বারবার প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে বিরোধীরা নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে সেই অভিযোগ আরও বাড়তে শুরু করেছে। কিন্তু এতে যে কারওর কিছু এসে যায় না, কেউ যে দুর্নীতিগ্রস্ত বিরোধী নেতাদের এই বক্তব্য নিয়ে বিচলিত নয়, তা বারবার প্রমাণ হয়েছে। বরঞ্চ গোটা দেশজুড়ে আওয়াজ উঠছে যে, দেশের প্রধানমন্ত্রী যেভাবে দুর্নীতি দমন করার জন্য চেষ্টা করছেন, তাতে সকলেই খুশি। তাই বিরোধীরা যারা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বড় বড় গলায় আওয়াজ তুলছে, তাদের মধ্যেই সব থেকে বেশি চোর রয়েছে। আর এসবের মধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। দেশজুড়ে যে সমস্ত বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ছিল, তাদের মুখ কিছুটা হলেও শুকিয়ে যায়। তারা ভেবে পায় না যে, এবার কি হবে! এদিকে আম আদমি পার্টিও রীতিমত দিশেহারা হয়ে পড়ে। তবে যদি কেউ নিজের বিষয়ে এতই সৎ থাকে, যদি কেউ এই গ্রেফতারিকে ভয় না পায়, তাহলে সে তো আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। কিন্তু সেটা করেও শেষ পর্যন্ত যেভাবে অরবিন্দ কেজরিওয়াল পিছিয়ে এলেন, তা নিয়ে তাকে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে কটাক্ষ করা হচ্ছে। কিন্তু এর পেছনেও একটা বড় কারণ রয়েছে। কি সেই কারণ?‌

সূত্রের খবর, এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়। আর তারপরেই দেশ জুড়ে হৈ চৈ পড়ে যায়। বিরোধীদের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কাজ করছে বলে দাবি করা হয়। তবে এসব নিয়ে বিজেপি মোটেই বিচলিত নয়। তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, যারা অন্যায় করেছে, তারা সাজা পাবে। আর এমত পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির এই গ্রেপ্তারির পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তবে শেষ পর্যন্ত সেই আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিনি। আর এই বিষয়টি সামনে আসতেই নানা মহলে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। যদিও বা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পক্ষে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি জানিয়ে দিয়েছেন, নিম্ন আদালতে এই মামলার শুনানি হওয়ার জন্যই সেই আবেদন প্রত্যাহার করা হয়েছে। একাংশের মতে, কোথায় কে আবেদন করবে, সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই এই আবগারি মামলায় নাম জড়িয়েছে দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে বর্তমানে গ্রেপ্তার হওয়া দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। কিন্তু তারপরেও এদের লজ্জা বলতে কিছু নেই। তারা এত বড় বড় গলায় কি করে কথা বলছে! সেটাই তো সবথেকে বড় প্রশ্ন।

পর্যবেক্ষকদের মতে, লোকসভা নির্বাচনের সময়ও কেন্দ্রীয় এজেন্সির এত বড় পদক্ষেপ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। যে সমস্ত বিরোধীরা বিজেপির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছে, যারা এক ছাতার তলায় আসার চেষ্টা করেছিল। তাদের রাতের ঘুম কিন্তু উড়ে গেল। আসলে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে গেলে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে লড়তে গেলে নিজেকে তো আগে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে। কিন্তু যারা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে, সেই সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীরা কোনো না কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। পশ্চিমবঙ্গ থেকে শুরু করে দিল্লি, সব জায়গাতেই শাসকদলের নেতা-নেত্রীরা জেলের মধ্যে রয়েছেন। ভবিষ্যতে আরও অনেকে জেলে যাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। আর এসবের মধ্যেই অরবিন্দ কেজরিওয়াল গ্রেপ্তার হওয়ার পর একটা বড় পদক্ষেপ নিয়েও, শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে এলেন। তবে তা নিম্ন আদালতে আইনি প্রক্রিয়ার কারণে, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে, তা সময় বলবে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!