এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ফের চুরির অভিযোগ, নতুন করে উতপ্ত সন্দেশখালি! লজ্জায় মুখ ঢাকছে তৃণমূল!

ফের চুরির অভিযোগ, নতুন করে উতপ্ত সন্দেশখালি! লজ্জায় মুখ ঢাকছে তৃণমূল!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সন্দেশখালির ঘটনায় তৃণমূল যে পরিমাণ ব্যাকফুটে, সেটা নেতারা ইচ্ছা করলেও বলতে পারছেন না। যে অত্যাচার এতদিন সন্দেশখালিতে হয়েছে এবং যেভাবে শেখ শাহজাহান এবং তার বাহিনীরা মিলে মানুষের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে, তাতে তৃণমূলের এখন সারা রাজ্যে ভোট চাইতে গেলেই লজ্জার মুখে পড়তে হচ্ছে। বাইরে এই দলের নেতারা মুখে যে কথাই বলুন না কেন, সন্দেশখালির ঘটনার পর এই রাজ্যের শাসক দল বুঝতে পেরেছে যে, এবারের লোকসভা নির্বাচনে মহিলা ভোট থেকে শুরু করে সংখ্যালঘু এবং সাধারণ মানুষদের ভোট পাওয়া অত্যন্ত চাপের। এমনিতেই বেকারত্ব ইস্যু থেকে শুরু করে দুর্নীতি ছিলই। আর তার মধ্যে সন্দেশখালির ঘটনা প্রমাণ করে দিয়েছে যে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ কোন জায়গায় পৌঁছেছে! ইতিমধ্যেই এই সন্দেশখালির ঘটনায় একের পর এক নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন। কিন্তু সিবিআই পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরেও, তৃণমূল নেতাদের সত্যিই কি লজ্জা বলতে কিছু নেই? কেন এই প্রশ্ন উঠছে! আজকে আবার সাধারণ মানুষদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সন্দেশখালি। আর মানুষ যখন পথে নেমেছে, তখন বুঝতে হবে যে, আবার কোনো একটা ঘটনা ঘটেছে এই এলাকায়। কিন্তু নতুন করে আবার কি হলো এই সন্দেশখালিতে? এদিন যে বিষয়ে বিক্ষোভ হয়েছে, তা শুনলে হয়ত অনেকেই চমকে উঠবেন। অনেকেই হয়ত বলবেন যে, কেন এখনও এই রাজ্যের শাসক দল শিক্ষা নিচ্ছে না?

সূত্রের খবর, এদিন সন্দেশখালিতে নতুন করে অশান্তি ছড়িয়েছে। যেখানে সাধারন মানুষরা রাস্তায় নেমেছেন। কিন্তু কেন আবার তারা নতুন করে রাস্তায় নামলেন? অভিযোগ, একটি সরকারি প্রকল্পের জন্য যে ইট রাখা ছিল, সেই ইট চুরি করার অভিযোগ উঠেছে অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতির বিরুদ্ধে। আর সেই বিষয় নিয়েই প্রতিবাদ করতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষজন। প্রসঙ্গত, এতদিন এই সন্দেশখালিতে শাহাজাহান এবং তার বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি চুরি থেকে শুরু করে মহিলাদের মান, সম্মান নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছিল। যার ফলে সাধারণ মানুষদের বিক্ষোভ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল রাজ্যের মাটিতে‌। একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই, আন্দোলন করতে কেউ ভয় পায় না। আর এই সন্দেশখালি কাঁটা এতটাই প্রকট হয়ে বিঁধছে তৃণমূলের গলায় যে, এখনও পর্যন্ত তারা বিরোধীদের প্রধান আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। এমনকি তৃণমূল নেতারাও লজ্জায় অনেক জায়গায় এই ইস্যুর কারণে ভোট চাইতে পর্যন্ত ভয় পাচ্ছেন। কারণ মানুষের কাছে তারা ঠিক মত জবাব দিতে পারবেন না। আর তার মধ্যেই সন্দেশখালিতে আবার এক ধরনের চুরি নিয়ে মানুষের পক্ষ থেকে যে বিক্ষোভ শুরু হলো, তাতে লোকসভা ভোটের মুখে চরম চাপে পড়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেস বলেই মনে করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, অবিলম্বে তৃণমূলের এই ঘটনার পর নিজেদের হাতে রাশ নিয়ে নেওয়া উচিত। কারণ এর আগে সন্দেশখালিতে যে ঘটনা ঘটেছিল এবং যেভাবে তা প্রকাশ্যে এসেছিল, তাতে কিন্তু তৃণমূল এখনও পর্যন্ত নিজেদের জায়গা মেরামত করতে পারেনি। আর তার মধ্যেই আবার সেই সন্দেশখালিতে সরকারি প্রকল্পের ইট চুরির যে অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে উঠলো, তার ফলে মানুষের বিক্ষোভ এখন থেকেই সামাল দেওয়ার জন্য সেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তৃণমূলের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তা না হলে এমনিতেই তো গোটা রাজ্য জুড়ে বিরোধীরা তৃণমূলকে চোর, চোর বলে আক্রমণ করছে। আর তার মধ্যে মানুষের এই সমবেত প্রতিবাদ তৃণমূলকে আরও জেরবার করে তুলবে। লোকসভা ভোটের মুখে এই সন্দেশখালি ইস্যু একাই তৃণমূলকে শূন্য করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!