এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সিএএ নিয়ে মিথ্যাচার, ফের জনতার সামনে ওপেন চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর! ঘুম উড়লো মমতার!

সিএএ নিয়ে মিথ্যাচার, ফের জনতার সামনে ওপেন চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর! ঘুম উড়লো মমতার!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন যা পারেন তখন তাই মানুষকে ভুল বুঝিয়ে যান। সামনে লোকসভা ভোট। তাই এবার কেন্দ্র বিরোধী একটি কথা বলে আবার মানুষের মাথায় একটি টুপি পড়ানোর চেষ্টা করছেন তিনি। বিরোধীদের অভিযোগ তেমনটাই। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এবার যতই চালাকি করে মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করুক না কেন, তার এই চালাকি কিন্তু সকলেই ধরে ফেলেছেন। এতদিন সিএএ নিয়ে তিনি মানুষকে যা ইচ্ছে, তাই বুঝিয়ে এসেছেন। যার ফলে সংখ্যালঘু সমাজের একটি অংশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই পাতা ফাঁদে পা দিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে, তৃণমূলকে সমর্থন করেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জারি করা সিএএর বিজ্ঞপ্তি ফলে একজনেরও নাগরিকত্ব গিয়েছে, তার প্রমাণ এই রাজ্যের শাসক দল এবং তাদের মুখ্যমন্ত্রী দিতে পারবেন না। কিন্তু তারপরেও তাদের এই কেন্দ্র বিরোধীতা নিয়ে বক্তব্যের শেষ নেই। তাই এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীকে একেবারে জনসমক্ষে ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বাজিমাত করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এমন এক কথা বললেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে, যার ফলে রীতিমতো রাতের ঘুম উড়ে গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু কি এমন বললেন শুভেন্দু অধিকারী?

প্রসঙ্গত, এদিন একটি সভায় উপস্থিত হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই সিএএ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মানুষকে যেভাবে ভুল বোঝাচ্ছেন এবং এর বিরোধিতা করছেন, তার বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন তিনি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “যদি একজনেরও নাগরিকত্ব চলে যায় এই সিএএর ফলে, তাহলে আমি আমার পদ থেকে ইস্তফা দেব। কিন্তু একজনেরও যদি নাগরিকত্ব না যায়, তাহলে আপনি আপনার পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন তো?” একাংশ বলছেন, এর আগেও শুভেন্দু অধিকারী এই চ্যালেঞ্জ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুব ভালো করেই জানেন যে, রাজ্যের যে বর্তমান পরিস্থিতি তার দল এবং তার সরকার করে রেখেছে, তাতে সকলেই তৃণমূলের ওপর বিরক্ত। আর এটা তো পঞ্চায়েত বা পৌরসভা ভোট নয় যে, পুলিশকে দিয়ে মানুষকে ভয় দেখিয়ে সব ভোট তৃণমূলে দেওয়ানো যাবে। আর এটা বুঝতে পেরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন ভোটের বাক্সে কিছু করতে পারবেন না, কারচুপি করতে পারবেন না জেনে কেন্দ্র বিরোধী কথা বলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সমস্ত ভোট নিজেদের দিকে আনতে চাইছেন। কিন্তু সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী যে চ্যালেঞ্জ মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে ছুড়ে দিলেন, তাতে যদি ক্ষমতা থাকে, যদি সৎ সাহস থাকে, তাহলে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা উচিত। কিন্তু তিনি তা পারবেন না, এটা তিনি নিজেও জানেন। কারণ তিনি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই সিএএ নিয়ে যা বলছেন, তার সবটাই বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা বলেই দাবি করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে সবথেকে বড় রাজনীতিবিদ মনে করেন। তিনি মনে করেন, তার মত চালাক এবং তার মত সঠিক রাজনীতিবিদ এই ভারতবর্ষে আর কেউ নেই। কিন্তু মানুষকে ভুল বোঝানোর একটা শেষ আছে। আর সেটাই এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘোল খাইয়ে দিচ্ছে। এতদিন তার বিরোধিতা করার মত সঠিক নেতা ছিলেন না। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এখন বিরোধী দলনেতা হিসেবে মানুষের কাছে এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে সত্যি কথা তুলে ধরছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাই শুভেন্দুবাবুর কিন্তু যদি একজনেরও নাগরিকত্ব যায়, তাহলে পদ থেকে সরে দাঁড়াতে কোনো দ্বিধা নেই। কারণ তিনি নিজেও জানেন যে, এই কেন্দ্রের জারি করা আইনে কারও নাগরিকত্ব যাবে না। বরঞ্চ সবাইকে নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্যেই এই আইন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর বিরোধিতা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে চালাকির রাজনীতি করছেন, তাতে তার উদ্দেশ্যে এই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে সেটা গ্রহণ করার মত ক্ষমতা এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আছে কিনা! সেই প্রশ্নই তুলে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। যার ফলে রাজনীতি করার জন্য হয়ত বিরোধীতা করে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নাগরিকত্ব আইনের। কিন্তু বাস্তবে শুভেন্দু অধিকারী দেওয়া এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার মত মুরোদ হবে না তার। আর এটাতেই প্রমাণ হয়ে যাবে যে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিএএ নিয়ে মিথ্যে কথা বলছেন। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!