তৃণমূলের প্রচারেও ব্ল্যাক মানি? ভয়ংকর অভিযোগ শুভেন্দুর! উত্তাল রাজ্য! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য March 20, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা এমন কিছু কথা বলেন, যা পরবর্তীতে একেবারে হুবহু সত্যি হয়ে দাঁড়ায়। তিনি তৃণমূলের সঙ্গে সংযোগ না রেখেও নিজের মত করে লড়াই করছেন। কিন্তু তারপরেও তৃণমূলের ভেতরে কি হচ্ছে, তার সব খবর চলে আসছে সেই শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। আসলে তৃণমূলে যারা আছে, তারা কেউ এই দলটাকে সহ্য করতে পারছে না। তাই সকলেই চাইছে যে, এই দলটা বিদায় নিক। আর সেই কারণেই দলের ভেতরে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা এবং তার খবর দলের ভেতরে থাকা অনেকেই শুভেন্দুবাবুর কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। বিভিন্ন সময় এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শাসক দল সম্পর্কে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। পরবর্তীতে দেখা দিয়েছে সেটাই সত্যি হয়েছে। আর এবার তিনি আরও এমন এক মন্তব্য করলেন ভোটের মুখে, যা নিয়ে রীতিমত উত্তাল গোটা রাজ্য। অনেকের মনেই প্রশ্ন যে, এই খবরও কি তৃণমূলের ভেতর থেকেই পেয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা? বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত একটি দল। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে যখন ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে টানাটানি চলছে, যখন গোটা বিষয়টি নিয়ে একে অপরের ঘাড়ে দায় চাপাতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই এই রাজ্যের শাসক দল আদর্শ আচরনবিধি লাগু হওয়ার আগে কি করেছে, তার পর্দাফাঁস করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, এদিন একটি কর্মী সভা শেষে শুভেন্দু অধিকারীকে সাংবাদিকরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করেন। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে রাজ্যের শাসক দলের আরও এক কুকীর্তির তথ্য ফাঁস করে দেন বিরোধী দলনেতা। কথায় কথায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের নেতারা বিভিন্ন সময় বলেন যে, তারা নাকি সততার প্রতীক। তাদের নাকি টাকা, পয়সা কিছুই নেই। কিন্তু সেই দল তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচনের এমসিসি লাগু হওয়ার আগেই কি করেছে, তা শুনলে শুভেন্দু অধিকারী বক্তব্যের পর অনেকেই চমকে উঠবেন। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “তৃণমূল 294 টি কেন্দ্রে ব্ল্যাকমানি পাঠিয়ে দিয়েছে। 35 লক্ষ টাকা করে এমসিসি ঘোষণার আগেই পাঠিয়ে দিয়েছে।” এখন শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক হতে পারে, কাটাছেঁড়া হতে পারে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে পাল্টা আক্রমণ করে হতে পারে। এই সমস্ত কিছু অত্যন্ত স্বাভাবিক। কিন্তু রাজনীতিতে কোনো নেতা বা কোনো হেভিওয়েটের বক্তব্য নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়। সেদিক থেকে শুভেন্দু অধিকারীর বিভিন্ন ক্ষেত্রে করা আগেকার বক্তব্য শুনলেই মনে হবে, তিনি কিন্তু রাজনীতিতে খুব একটা ফালতু কথা বলেন না। দেখা গিয়েছে, এর আগে তিনি যে সমস্ত কথা বলেছেন এই রাজ্যে শাসক দলের বিরুদ্ধে, পরবর্তীতে সেটাই প্রমাণিত হয়েছে। তাই এক্ষেত্রেও শুভেন্দু অধিকারী ব্ল্যাকমানি নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লোকসভা নির্বাচনের মুখে যে ভয়ংকর তথ্য দিলেন, তা যদি সত্যি হয়, তাহলে এই রাজ্যের শাসক দলের আরও একটা অস্বস্তি বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করছেন একাংশ। পর্যবেক্ষকদের মতে, যেখানে দুর্নীতি, সেখানেই নাম জড়াচ্ছে এই রাজ্যের শাসক দলের। সমস্ত অবৈধ কাজে এই দলের নেতা-নেত্রীরা জড়িয়ে পড়ছেন। সেদিক থেকে তৃণমূলকে যারা অনেক ভরসা করে রাজ্যের ক্ষমতায় বসিয়েছিল, সেই সমস্ত সাধারণ মানুষেরাও কিন্তু এখন তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। তাদের বিশ্বাসের ভরকেন্দ্রে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাই শুভেন্দুবাবুর কথা শোনার জন্য যখন মানুষ মুখিয়ে রয়েছে, তখন তার এই বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতেই হবে। এর সত্যতা বা মিথ্যা ভবিষ্যতে প্রমাণ হবে। তৃণমূল এর পরিপ্রেক্ষিতে কি বলছে, তার দিকে অবশ্যই আমাদের নজর থাকবে। কিন্তু ভোটের সময় আসলেই যেভাবে মানি পাওয়ার, মাসেল পাওয়ারের বাড়বাড়ন্ত হয়, সেদিক থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে করা শুভেন্দু অধিকারীর এই ভয়ংকর মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। যদি এসব নিয়ে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে সঠিক অভিযোগ তথ্য প্রমান সহ দাখিল করতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি, তাহলে বড়সড় বিপদে পারতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -