মালদহে নৃশংসভাবে খুন তৃণমূলকর্মী,অভিযোগের তীর কংগ্রেসের দিকে রাজ্য June 9, 2018 তৃণমূল কর্মীকে প্রকাশ্য রাস্তায় কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল এক কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধে । এই ঘটনার জেরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি আপাতত মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মাঁলিওর তিওরপাড়া এলাকায়। অভিযোগে এলাকার জোড়াফুল শিবির জানিয়েছেন যে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটে দাঁড়ানো তৃণমূল পার্থীর প্রচারকার্যে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করার জন্য ৫৫ বছরের আলাউদ্দিন শেখকে কুপিয়ে মেরেছে কংগ্রেসের কর্মীরা।ঘটনাটি বিস্তারে জানা গেছে মৃত তৃণমূলকর্মীর পরিবারের সূত্র থেকে। দাবীতে তাঁরা জানালেন, ওই এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েতে এবার ভোটে তৃণমূলের হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন রেহেনা পারভিন। তাঁরই প্রচারের দায়িত্ব নিয়েছিলেন আলাউদ্দিন। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে কিন্তু ফলাফল প্রকাশ্যে আসায় দেখা গেলো এলাকায় কংগ্রেস জিতেছে। তারপর থেকেই নাকি স্থানীয় তৃণমূলের দলীয় কর্মী এবং সমর্থকদের মারধোর এবং খুনের হুমকি আসছিলো। তারপর এদিন এলাকার কংগ্রেসের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতি সাইদুর আলি তার দলবল নিয়ে পথেই আটক করে বাজারফিরতি আলাউদ্দিনকে। সেখানেই তার উপর হামলা করে। চলে বেধরক মারধোর। শেষে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় তাকে। এমনটাই অভিযোগে জানা জানা গেছে। তথ্য উঠে এসেছে পুলিশি তদন্তের মারফত।হামলাকারীরা রক্তাক্ত অবস্থায় আলাউদ্দিনকেফেলে পালায়। এরপর স্থানীয়দের তৎপরতায় আক্রান্তকে ভর্তি করা হয় স্থানীয় প্রাথমিক চিকিৎসালয়ে। অবস্থার অবনতি দেখে তাকে পাঠানো হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। ওখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এদিকে তাঁর মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পড়শিরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। কয়েকজন গিয়ে সাইদুর ও তাঁর দলবলের নামে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় ডায়েরি করে আসে। তারপরই শুরু হয় পুলিশি তদন্ত। তৃণমূলের দলীয় যুব সভাপতি অম্লান ভাদুড়ী এই ঘটনার প্রতিবাদে বলেন,”কংগ্রেস এ ধরনের নোংরা রাজনীতি করছে। আমাদের কর্মী খুন করছে। আমরা পুলিশকে বলবো অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। তবে এই অভিযোগ সম্পূর্ণই ভিত্তিহীন বলে দাবী করেছেন কংগ্রসের আমলার। জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি বলেন যে সন্ত্রাসের রাজনীতি করে রাজ্যের শাসকদল। আর তা করেই তাঁরা পঞ্চায়েত ভোটে জিতেছে। এ ধরনের রাজনীতি কংগ্রেস করে না। তৃণমূলের নিজস্ব গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই প্রাণ গেছে ওই তৃণমূলকর্মীর। এমনটাই দাবী তবে। কিন্তু প্রকৃত দোষীর এখনো হদিশ মেলেনি। তবুও অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগের জেরে উত্তপ্ত অবস্থায় রয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকা। এমনটাই জানা যাচ্ছে। আপনার মতামত জানান -