লোকসভায় বিজেপির টিকিট প্রত্যাশীদের জন্য বড় ঘোষণা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র, টিকিট পাচ্ছেন না এই হেভিওয়েটরা! কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য December 20, 2018 ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনই সম্ভবত এই রাজ্যের ইতিহাসে প্রথম নির্বাচন যেখানে ভারতীয় জনতা পার্টি দ্বিতীয় বা তৃতীয় হওয়ার জন্য বা শুধুমাত্র সম্মানজনক ফল করার জন্য ভোটের ময়দানে নামছে না। ভোটের ফলাফল কি হবে – সে তো ইভিএম খুললে বোঝা যাবে, কিন্তু বিজেপি নেতাদের স্পষ্ট বক্তব্য – এই নির্বাচনে বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নামবে প্রথম হওয়ার জন্য। কিভাবে বা কোনপথে তা সম্ভব, তা নিয়ে হাজারো প্রশ্ন আছে। প্রশ্ন আছে সত্যিই এই ফল করার ক্ষমতা এই রাজ্যে বিজেপির আদৌ আছে কিনা। শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস তো স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে ২২ টি লোকসভা দূরের কথা, বাংলায় বিজেপি নাকি ২২ টি বিধানসভা জেতার জায়গাতেও নেই! এমনকি ২০১৪ এর জেতা দুটো আসনও নাকি ধরে রাখতে পারবে না গেরুয়া শিবির। কিন্তু – মানতে একেবারেই নারাজ বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। আর তাই তো ইতিমধ্যেই ৬, মুরলীধর সেন লেনে ইতিমধ্যেই লোকসভা টিকিটের প্রত্যাশায় আবেদনের পাহাড় জমে গেছে। রাজ্যের প্রতিটা লোকসভার জন্য গড়ে ১২-১৩ টি আবেদন জমা পড়েছে এবং স্বাভাবিকভাবেই সেখানে আছেন বহু পদাধিকারী। সূত্রের খবর, রাজ্য হেড কোয়ার্টারে শুধু আবেদন পত্র পাঠিয়েই তাঁরা ক্ষান্ত নন! ইতিমধ্যেই, বিভিন্ন শীর্ষনেতাকে ধরে একেবারে দিল্লি পর্যন্ত ‘লবি’ করা শুরু হয়ে গেছে! আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কারণটা, সহজেই বোধগম্য। যেহেতু বিজেপি একটি সর্বভারতীয় পার্টি, তাই রাজ্য যে নামই পাঠক না কেন – কোন কেন্দ্রে কে টিকিট পাবেন সেখানে সিলমোহর দেবেন স্বয়ং অমিত শাহের নেতৃত্ত্বাধীন কমিটি। কিন্তু, এতদিন ধরে পার্টির যেসব পদাধিকারী লোকসভার টিকিটের জন্য এত মেহনত করলেন – তাঁদের সেই মেহনত এবার জলে যেতে বসেছে। আর, এর কারণ কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র এক বিস্ফোরক ঘোষণা। আজ কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে বিজেপির কার্যকারিণী সভায় কার্যত বড়সড় বিস্ফোরণ ঘটালেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, আসন্ন লোকসভা ভোটে টিকিট পাবেন না দলের পদাধিকারীরা। এমনকি দলের জেলা সভাপতিরাও লোকসভায় টিকিট পাবেন না। ভাল ফল করলে ২০২১ সালে বিধানসভায় তাঁদের প্রার্থী করা হবে। এমনিতেই গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে কান পাতলে তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা শোনা যায়। ইতিমধ্যেই, বেশ কিছু জেলায় স্বয়ং জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে, স্লোগান উঠেছে – এমনকি কুশপুতুলও দাহ করা হয়েছে! আর তার মাঝেই কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র এই বিস্ফোরক ঘোষণা। এতে কি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও তীব্র হবে? গেরুয়া শিবিরের এক পদ না পাওয়া নেতার মুচকি হেসে বক্তব্য, দেখতে থাকুন! এখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব করলে বিধানসভাটাও হাত থেকে যাবে কিন্তু! আপনার মতামত জানান -