সন্ত্রাসের সমস্ত তথ্য সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া হবে: দিলীপ ঘোষ জাতীয় রাজ্য May 31, 2018 ২০১৮ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার রাজনীতি চালানোর অভিযোগে বারবার সরব হতে দেখা গেছে রাজ্যবিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকে শাসকদলের বিরুদ্ধে। এদিনও তাঁর ব্যতিক্রম হল না। এদিন চুঁচুড়ায় ছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফের একবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ওগরালেন দিলীপ বাবু। জানালেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্বে শাসকদলের দলের সন্ত্রাসের সমস্ত তথ্য বিজেপি তুলে ধরবেন সুপ্রিম কোর্টের সামনে। পদ্মশিবির আশা করছেন শাসকদলের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ পেয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়া আসন গুলোতে ফের নির্বাচনের নির্দেশ দেবে সুপ্রিম কোর্টে। আর একবার যদি সুপ্রিম কোর্টের থেকে সবুজ সংকেত পাওয়া যায় তাহলেই জঙ্গলমহলের মতো তৃনমূল সরকারকে আরো একবার নাকানি চোবানি খাওয়াবে রাজ্যের বিজেপিমহল। তিনি আরো তোপ দেগে বলেন যে, মা মাটি মানুষের সরকার ভেবেছিলো দুটাকার চাল আর বিনা মূল্যের সাইকেল দিয়ে মানুষকে পকেটস্থ করা যায়। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে কিন্তু তেমনটা হল না। তাঁর প্রমাণ দিয়েছে জঙ্গলমহলের মানুষই। তৃণমূলের প্রাণকেন্দ্র জঙ্গলমহলেই মুখ থুবড়ে পড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি জানান যে, প্রায় ৬ হাজার গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে বিজেপির। সঠিক পদ্ধতিতে ভোট হলে আরো সমসংখ্যক আসনে জিততো বিজেপি। এরপর তিনি হুঁসিয়ারী মন্তব্যে গর্জে উঠে বলেন যে, মহেশতলা উপনির্বাচনে কেন্দ্রীয়বাহিনী নজরদারিতে ভোট হয়েছে তাই আর ‘ভাই’রা ‘দাদাগিরি’ করার সাহস পায়নি। আসন্ন ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখরেখেই হবে কাজেই সেখানেও রাজ্যসরকারের জোরজবরদস্তি চলবে না পঞ্চায়েত ভোটের মতো। মানুষকে ভোট দিতে না দেওয়ার যোগ্য জবাব মানুষই দেবে। অবশেষে বিজেপির এই হেভিওয়েট নেতা দাবী করেন যে সুষ্ঠুভাবে ভোট হলে মানুষের রায়ে বিজেপি কমপক্ষে ৩২ টি আসনে জিতে তৃণমূল কংগ্রেসকে বোল্ড আউট করবে। রাজ্য বিজেপি সভাপতির রাজনীতিতে প্রবেশের দিন থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বারবার গর্জে উঠেছেন। তাঁর এই ধরনের মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিকমহলে চাঞ্চল্য শুরু হয়ে যায়। আপনার মতামত জানান -