শিক্ষাকর্মীদের দাবিদাওয়া নিয়ে চাপ বাড়াচ্ছে সরকারি কর্মচারী পরিষদ বিশেষ খবর রাজ্য January 5, 2018 গত ২০ ডিসেম্বর বিজেপি প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশীষ শীলের হাত ধরে এবং বিজেপির অন্যতম দুই শীর্ষ নেতা মুকুল রায় ও সায়ন্তন বসুর উপস্থিতিতে শাসকদল প্রভাবিত সংগঠন ছেড়ে সংগঠনে যোগ দেন এক ঝাঁক তারকা মুখ। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলে তৃণমূলের কোর কমিটির প্রাক্তন সদস্য লতিকা মন্ডল ও সমীর ভট্টাচার্য, তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত শিক্ষাবন্ধু সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুবল শীল ও মন্মথ বিশ্বাস, রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের সুশান্ত মজুমদার, তুহিন গাঙ্গুলী প্রমুখ। ওই একইদিনে বিজেপি প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী পরিষদের সহযোগী সংগঠন হিসাবে মন্মথ বিশ্বাসের নেতৃত্ত্বে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী পরিষদ নামে একটি শাখা সংগঠনের পথ চলা শুরু হয়। আর গতকাল মন্মথ বিশ্বাস ও দীপাঞ্জন রায়চৌধুরীর নেতৃত্ত্বে ও দেবাশীষ শীলের তত্ত্বাবধানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী পরিষদ এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকর্মীদের একগুচ্ছ দাবি দাওয়া নিয়ে প্রথমে একটি গেট মিটিং করেন ও পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে একটি ডেপুটেশন জমা দেন। দেবাশীষবাবু, মন্মথবাবুদের দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম হল ১. অন্তর্বর্তীকালীন ‘রিলিফ’ ও ‘কমপ্যাশনেট’ ভিত্তিতে এপয়েন্টমেন্ট দিতে হবে ২. ষষ্ঠ পে কমিশনের সুপারিশ দ্রুত প্রকাশ করতে হবে ৩. বকেয়া ডিএ প্রদান করতে হবে ৪. অশিক্ষক কর্মচারী ও মালিদের ‘রেজিস্টারে’ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে ৫. সমস্ত স্তরে দ্রুত প্রোমোশনের ব্যবস্থা করতে হবে ৬. সিপিএফ থেকে জিপিএফ-এ যাওয়ার সুযোগ দিতে হবে ৭. শূন্যপদে লোক নিয়োগ করতে হবে পরবর্তীকালে নিজেদের প্রতিক্রিয়ায় সরকারি কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশীষ শীল ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী পরিষদের দুই শীর্ষ নেতা মন্মথ বিশ্বাস ও দীপাঞ্জন রায়চৌধুরী জানান, উপরোক্ত দাবিগুলির ভিত্তিতে বহুদিন ধরেই শিক্ষাকর্মীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। বিশেষ করে অন্তর্বর্তীকালীন ‘রিলিফ’-এর ক্ষেত্রে অন্যান্য সরকারি কর্মচারীরা ১০% করে সুবিধা পেলেও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সহ পশ্চিমবঙ্গের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকর্মীরা সেই সুবিধা পাচ্ছেন না। উপাচার্যকে ডেপুটেশন দেওয়ার পর, উনি গুরুত্ত্বের সঙ্গে বিষয়গুলি বিবেচনার কথা জানিয়েছেন। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারী মুখ্যমন্ত্রীর সম্মানে সমাবর্তন উৎসব অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, তা মিটে গেলেই উপরোক্ত দাবি-দাওয়া নিয়ে উপাচার্য আলোচনায় বসবেন বলে কথা দিয়েছেন। আপনার মতামত জানান -