এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > হায়দ্রাবাদ থেকে টাকা ঢুকছে বাংলায়? সৌজন্যে বিজেপির ‘দালাল’? বিস্ফোরক খোদ মুখ‍্যমন্ত্রী

হায়দ্রাবাদ থেকে টাকা ঢুকছে বাংলায়? সৌজন্যে বিজেপির ‘দালাল’? বিস্ফোরক খোদ মুখ‍্যমন্ত্রী

লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের দুই যুযুধান রাজনৈতিক শিবির তৃণমূল ও বিজেপির মহাযুদ্ধ দেখে চলেছে রাজনৈতিক মহল। এই রাজনৈতিক যুদ্ধ চালাতে গিয়ে প্রায়শই অভিযোগ, প্রতি অভিযোগের আঙুল ওঠে। এবার সেরকমই একটি অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন আসাউদ্দিন ওয়েইসির বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মুসলিম সংগঠনটিকে বিজেপির দালাল বলে চিহ্নিত করেন। এদিন তিনি অভিযোগ করেন হায়দ্রাবাদ থেকে টাকার থলি নিয়ে বাংলায় পা দিয়েছে উল্লেখ্য মুসলিম সংগঠনটি।

এদিকে বিজেপি যে ইস‍্যুকে প্রথম থেকে আঁকড়েছিল, সেই ইস্যুই এবার পরিকল্পনা মাফিক রূপায়িত হবার অপেক্ষায়। এদিন সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘দেশজুড়েই এনআরসি হবে। এখানে ধর্মের ভিত্তিতে ভেদাভেদের কোন জায়গা নেই। সকল নাগরিকের নামই তালিকায় থাকবে। এটা মাথায় রাখতে হবে যে, নাগরিকপঞ্জি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। এদের গুলিয়ে ফেললে হবে না।’ এনআরসির সূচনা ইতিমধ্যে আসামে হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই গর্জে উঠেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাগরদিঘিতে গিয়ে এনআরসি নিয়ে সাধারণ মানুষকে আশ্বাসবাণী দিয়ে বলেছেন, ‘হায়দ্রাবাদ থেকে এসে একজন বলছে, তোমাদের পাশে আমরা রয়েছি। তোমাদের জন্য লড়ব। কি করে তুমি লড়বে, তোমরাই বিজেপির সবচেয়ে বড় দালাল। যা করার আমরাই করব, বাইরের নেতাদের প্ররোচনায় পা দেবেননা। আমরাই আপনাদের জন্য লড়ব, আপনাদের পাশে যেমন ছিলাম, তেমনই থাকব। আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন, বাংলায় এনআরসি হতে দেব না।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কোণঠাসা হয়ে পড়ে পশ্চিমবঙ্গে। রাজ্যের 42 টি লোকসভার মধ্যে তৃণমূল পায় 22 টি এবং 18 টি পায় বিজেপি। এই প্রসঙ্গে সম্প্রতি শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে ওয়েইসি বলেছিলেন, ‘বাংলায় মুসলমানরা সুরক্ষিত নয়। দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের ঠকিয়ে আসছে তৃণমূল। বাংলায় বিজেপি কি করে 42 টির মধ্যে আঠারোটি লোকসভা আসন পেল, সেই জবাব দিন মুখ্যমন্ত্রী।’ ইতিমধ্যে ওয়েইসি দলের মুখপাত্র আসিফ ওয়াকার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁরা 294 টি আসনেই প্রার্থী দেবে। অর্থাৎ তারা ভোটে লড়বেন। সংবাদমাধ্যমে ওয়াকার জানিয়েছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি গ্রামে আমাদের উপস্থিতি রয়েছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমবারের জন্য সব আসনেই আমরা প্রার্থী দেবো।’

এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওয়েইসিকে আক্রমণ করেছেন উত্তরবঙ্গ সফরে কোচবিহার থেকে। তিনি জানিয়েছিলেন, অন্য রাজ্যের একটি দল পশ্চিমবঙ্গে এসে বিভেদের রাজনীতি চালানোর চেষ্টা করছে। পশ্চিমবঙ্গের একতাকে নষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছে। বাইরে থেকে যদি কোন নেতা এসে রাজ্যে কোন কথা বলে তাহলে তা বিশ্বাস না করার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী এদিন সাগরদিঘি পৌঁছে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য আরও 1000 কোটি টাকা বরাদ্দ করেন। সেখান থেকেই তিনি পৌঁছে যান বাহালনগরে। যেখানে জম্মু-কাশ্মীরের গ্রামে নিহত শ্রমিকদের বাড়িতে তিনি যান। সেখানে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের হাতে তিনি 50000 টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে তুলে দেন।

আপাতত রাজ্যের দুই যুযুধান রাজনৈতিক শিবির মনোনিবেশ করেছে আগামী দিনের নির্বাচনী যুদ্ধে। আর সেই নির্বাচনী যুদ্ধের কারণেই একে অপরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যুতে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছে। অন্যদিকে, এনআরসি নিয়ে যেমন বিজেপি তাঁদের চিন্তাভাবনাকে রূপায়ণ করার অপেক্ষায়, তেমনি তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গবাসীকে ক্রমাগত আশ্বাসবাণী দিয়ে চলেছেন, যে এ রাজ্যে এনআরসি হবে না। অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার যদি কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাহলে তা মানতে বাধ্য রাজ্য। আপাতত সমগ্র পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!