এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সিএএ প্রতিবাদ জোরালো করতে আসরে তৃণমূল মন্ত্রী, পাল্টা পথে নেমে সঠিক তথ্য দিতে মরিয়া বিজেপি

সিএএ প্রতিবাদ জোরালো করতে আসরে তৃণমূল মন্ত্রী, পাল্টা পথে নেমে সঠিক তথ্য দিতে মরিয়া বিজেপি

 

গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পরই আইনে রূপান্তরিত হয়েছে সংশোধিত নাগরিক বিল। কিন্তু এই আইন নিয়ে ভারতবর্ষে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির পাশাপাশি রীতিমতো প্রতিবাদের ঝড় নেমে এসেছে পশ্চিমবাংলায়। বস্তুত, এই আইনের বিরোধিতা করে পরপর রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

দলীয়ভাবেও বাংলার প্রত্যেকটা জেলায় ব্লকে, ব্লকে সংশোধিত নাগরিক আইনের বিরুদ্ধে দলীয় কর্মী-সমর্থকদেরকে লাগাতার কর্মসূচি গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কিন্তু একদিকে যখন সংশোধিত নাগরিক আইনের বিরোধিতায় রাস্তায় নামতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেতা থেকে শুরু করে মন্ত্রীরা, অন্যদিকে তেমনই সংশোধিত নাগরিক আইনের স্বপক্ষে রাস্তায় নামার জোরালো প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্যের বিরোধী দল তথা কেন্দ্রের শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টি। নদীয়া জেলার ক্ষেত্রেও এরকমই দৃশ্য প্রত্যক্ষ হল।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত শনিবার বিকেলে সংশোধিত নাগরিক আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বিরুদ্ধে কালীনারায়নপুর এলাকার পাহাড়পুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। এই মিছিল কালীনারায়নপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে বের হয়ে রাধানগর বাজার এলাকায় সমাপ্ত হয়। উক্ত মিছিলে উপস্থিত ছিলেন 1 নম্বর রানাঘাট তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি তাপস ঘোষ এবং বিভিন্ন অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।

পাশাপাশি এনআরসি ও সিএএ বিরোধিতা করে আগামী সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার উদ্যোগে একটি বিশাল মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, এই মিছিলে দলীয় কর্মী সমর্থক এবং নেতৃত্বদের পাশাপাশি রাজ্যের মন্ত্রী তথা নদীয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও অংশগ্রহণ করবেন। সোমবারের এই মিছিল রানাঘাটের একটি সভাগৃহ থেকে শুরু হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে সমাপ্ত হবে। পরে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হবে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই মিছিলে রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শংকর সিং এবং পৌরসভার নেতৃত্ব, পঞ্চায়েত নেতৃত্ব সহ জেলার সর্বস্তরের তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব উপস্থিত হবে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে। সোমবার দিনের এই মিছিল সম্পর্কে রানাঘাট শহর তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম নেতা অসিত দত্ত এবং পিন্টু দত্ত সরকার বলেন, “প্রতিবাদ মিছিলে হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।”

তবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জী বিরোধিতা করে তৃণমূল কংগ্রেস জেলায় মিছিল করলেও, ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকেও শনিবার দিন সকালবেলা নবরদ্বীপ ধাম রেল স্টেশন লাগোয়া রেলওয়ে রেক্রিয়েশন ক্লাবের মাঠ থেকে পদযাত্রা করা হয়। ওই পদযাত্রা পোড়ামাতলা এলাকায় শেষ হয়।

জানা গেছে, ভারতীয় জনতা পার্টির এই পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন নদীয়া জেলার উত্তরের সভাপতি আশুতোষ পাল, শহর দক্ষিণ মন্ডলের প্রাক্তন সভাপতি শশধর নন্দী, ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় শিল্পী সংসদের সভাপতি সিদ্ধার্থ দাস ছাড়াও অন্যান্য নেতৃত্বরা। এদিনের পদযাত্রা থেকে পোড়ামাতলা মন্দিরে পুজো দিয়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হওয়ার প্রার্থনা করেন ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্ব। নিজেদের কর্মসূচি সম্পর্কে নদীয়া জেলার উত্তর সভাপতি আশুতোষ পাল বলেন, “সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এমন একটি আইন, যেটা চালু করে হিন্দু ছাড়া মুসলমানরাও নাগরিকত্ব পাবেন। অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করার জন্যই এই আইন।”

অন্যদিকে আগামী 23 ডিসেম্বর সংশোধিত নাগরিক আইনের সমর্থনে কলকাতায় ভারতীয় জনতা পার্টির যে মেগা মিছিল হতে চলেছে, তার সমর্থনে রানাঘাটের কালীনারায়নপুর এলাকায় মিছিল এবং রানাঘাটে পথসভা করে ভারতীয় জনতা পার্টি। রাধানগর বাজার এলাকা থেকে শুরু করে কালীনারায়নপুর বাজার এলাকা পর্যন্ত একটি মিছিল সংগঠিত করা হয়। যে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির অঞ্চল কার্যকারী সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ বিশ্বাস, বিধানসভার আহ্বায়ক অরিজিৎ চক্রবর্তী থেকে শুরু করে অন্যান্য নেতৃত্ব।

একইদিনে এলাকার 13 নম্বর ওয়ার্ডে ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষে একটি পথসভা আয়োজন করা হয়। সেই পথসভায় উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট শহরের ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় প্রামানিক থেকে শুরু করে ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যান্য নেতৃত্ব। সব কিছু মিলিয়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের স্বপক্ষে রাজ্যের বিরোধী দল তথা কেন্দ্রের শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টি এবং বিরুদ্ধে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। আর এরকম অবস্থায় আগামী দিনে এই আইনের ভবিষ্যৎ কি হয়! সেদিকেই তাকিয়ে থাকবে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!