এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তৃণমূলের! “মৌমাছি নিজেকে পাখি ভাবছে” পাল্টা সুকান্ত!

বিজেপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তৃণমূলের! “মৌমাছি নিজেকে পাখি ভাবছে” পাল্টা সুকান্ত!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তৃণমূল কংগ্রেস কি যত সময় যাচ্ছে, ততই বুঝতে পারছে যে, তাদের পক্ষে আর লোকসভা নির্বাচনে এই বাংলা থেকে বিপুল আসনে জেতা সম্ভব নয়! বরঞ্চ যত দিন যাচ্ছে, ততই তাদের আসন সংখ্যা কমতে শুরু করছে! কেননা তৃণমূল কংগ্রেস প্রত্যেকটি আসনে তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়ে যে সময় তাদের প্রচার করার কথা, সেই সময় তারা বিজেপিকে আক্রমণ করছে। তাদের মাথাব্যাথার কারণ হচ্ছে, বিজেপি কেন সব আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেনি? যা দেখে আশ্চর্য রাজনৈতিক মহল। তারা বলছেন, তৃণমূল খুব ভালো করেই জানে যে, এবার বিজেপি বাংলায় মাস্টারস্ট্রোক দেবে। তারা 20 টি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। যে 20 টি আসনে তৃণমূল লড়াই দিতে গিয়ে হিমশিম খাবে। আর বাকি 22 টি আসনে বিজেপি এমন হেভিওয়েটকে প্রার্থী করবে, যেখানে তাদের লড়াইয়ের ধারে কাছেও যেতে পারবে না তৃণমূল কংগ্রেস। তাই বিজেপির তরফে এখনও পর্যন্ত বাকি আসন গুলিতে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা না হয়, তৃণমূল সেটা নিয়ে বেশি চিন্তিত। তাই তারা কটাক্ষ করে বিজেপিকে চাপে রাখতে চাইছে। তবে এখানেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সেই প্রার্থী তালিকা নিয়ে দিল্লিতে যাওয়ার আগে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন। তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে একটা বিষয় উঠে এলো যে, তৃণমূল আঞ্চলিক এবং পরিবার বাদে সম্পূর্ণ একটি দল। কাজেই সেই দলের মত আর যাই হোক, বিজেপি দল নয়।

প্রসঙ্গত, এদিন তৃণমূলের তরফে বিজেপির এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা না করা নিয়ে কটাক্ষ করা হয়। আর সেই ব্যাপারে সুকান্ত মজুমদারকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। যে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “তৃণমূলের মত আঞ্চলিক দল বিজেপি নয়। পিসি এবং ভাইপো মিলেই সবটা বসে ঠিক করে নিল, আর সেই অনুযায়ী প্রার্থী ঠিক হয়ে গেল, এমনটা বিজেপি নয়। বিজেপিতে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার একটা নিয়ম আছে। সবাই মিলে বৈঠক করে পার্লামেন্টারি বোর্ড বসে প্রার্থী তালিকা ঠিক করে। আসলে মৌমাছি কখনও কখনও নিজেকে পাখি ভেবে ফেলে, আর সেটাতেই সমস্যা হয়।” অর্থাৎ মৌমাছি বলে তৃণমূলের মত আঞ্চলিক দলকেই বোঝাতে চাইলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে একটা বিষয় উঠে এলো যে, তৃণমূলের মত আঞ্চলিক দলের কাছ থেকে অন্তত বিজেপিকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা শিখতে হবে না। বরঞ্চ তৃণমূল ভয় পাচ্ছে যে, বিজেপি কোনো চমক দিতে পারে। আর সেই কারণেই তারা এখন বিজেপি কেন প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করছে না, সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে বেশি প্রশ্ন তুলছে। কিন্তু তৃণমূলের এখন এই প্রশ্ন না তুলে নিজেদের গড় রক্ষার দিকে বেশি মনোযোগী হওয়া উচিত। বিজেপি ঠিক সময় মতই তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে। আর তৃণমূলের এই ধরনের প্রশ্ন প্রমাণ করে দিচ্ছে যে, তারা বিজেপির সঙ্গে লড়াই নিয়ে কতটা আতঙ্কিত। অন্তত তেমনটাই মনে করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল কংগ্রেস খুব ভালো মত জানে যে, ভারতীয় জনতা পার্টি এবার বাংলাকে পাখির চোখ করে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলার যা পরিস্থিতি, তাতে মানুষের পালস দেখেও তৃণমূল বুঝতে পারছে যে, এবার তাদের খেলা শেষের মুখে। তাই যে করেই হোক, বিজেপিকে তো খাটো করতে হবে! তাই এক্ষেত্রে বিজেপির যে প্রার্থীগুলো ঘোষণা হয়নি, সেগুলো নিয়ে বিজেপি প্রার্থী পাচ্ছে না বলে একটা হাওয়া তৃণমূল বাজারে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু মানুষ বুঝতে পারছে যে, তৃণমূলের মত আঞ্চলিক দল বিজেপি নয়। বিজেপির একটা বড় কমিটি রয়েছে। তারা বসে কোথায় কাকে প্রার্থী করলে ঠিক হবে, তা নিয়ে আলোচনা করার পরেই সিদ্ধান্ত নেবে। আর সেই জন্যেই দিল্লি গিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারী। তবে দিল্লি যাওয়ার আগে তৃণমূলের এই অপপ্রচারের জবাবটা বেশ ভালো মতই দিয়ে গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!