এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > উলটপুরান! এবার বাংলায় তৃণমূলকে বড়সড় ধাক্কা কংগ্রেসের! শয়ে-শয়ে কর্মীরা ঘাসফুল ছেড়ে হাত শিবিরে

উলটপুরান! এবার বাংলায় তৃণমূলকে বড়সড় ধাক্কা কংগ্রেসের! শয়ে-শয়ে কর্মীরা ঘাসফুল ছেড়ে হাত শিবিরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে ইতিমধ্যেই রাজ্যে নিজেদের ঘর গোছাতে শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি। একইসাথে চলছে একে অপরের ঘরে ভাঙ্গন ধরানোর কাজ। তবে দলবদলের ছবি বেশি দেখা গেছে শাসক দল তৃণমূল এবং গেরুয়া শিবিরের ক্ষেত্রে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মত, 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে রাজ্যজুড়ে কংগ্রেস এবং বাম শিবিরের রাজনৈতিক গুরুত্ব কিছুটা হলেও হ্রাস পেয়েছে। এই অবস্থায় এবার রাজনৈতিক মহলকে অবাক করে বাঁকুড়া কংগ্রেস সমর্থ হল তৃণমূল দলে ভাঙন ধরাতে।

আর এই নিয়ে এই মুহূর্তে তীব্র আলোচনা চলছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। মূলত জঙ্গলমহলে দেখা গেছে গেরুয়া শিবিরের প্রাধান্য বেশি। এবং সেখানে লড়াই মূলত তৃণমূল ও বিজেপির। কিন্তু এবার যেভাবে তৃণমূলে ভাঙ্গন ধরিয়ে কংগ্রেস নিজেদের সংগঠন বাড়ালো বাঁকুড়াতে, তা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে। গত কয়েক মাসে তৃণমূল ছেড়ে বহু নেতাকর্মী যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। কোনোক্ষেত্রে তৃণমূলেও এই ছবি দেখা গেছে। সে জায়গায় দাঁড়িয়ে সম্পূর্ণ বিপরীত ছবি দেখা গেল এবার বাঁকুড়াতে।

বাঁকুড়া সোনামুখী এলাকায় এদিন 150 জন তৃণমূল নেতাকর্মী যোগ দিলেন কংগ্রেসে। সূত্রের খবর বাঁকুড়া জেলার কংগ্রেস সভাপতি নীলমাধব গুপ্ত তৃণমূল ছেড়ে আসা কর্মীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে তাঁদের দলে স্বাগত জানান। তবে এই ঘটনা রীতিমতো অবাক করার মত বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ বিগত কয়েক মাসে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যাবার কোন ঘটনা চোখে পড়েনি। সেখানে বিজেপির ঘাঁটি বাঁকুড়াতে এরকম ঘটনা খুব স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক কর্তা-ব্যক্তিদের অবাক করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে জানা গেছে, এদিন বাঁকুড়া জেলার সোনামুখীর বেহারবাড়া, নিমতলা, ধান সিমলা সহ পাঁচটি এলাকা থেকে দেড়শো জন তৃণমূল কর্মী কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। দলবদলকারীরা ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্যই তাঁরা কংগ্রেসে যোগদান করলেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বাঁকুড়া জেলায় কংগ্রেস দলে যেভাবে শাসক দলের নেতাকর্মীরা যোগ দিলেন, তাতে কংগ্রেসের সাংগঠনিক জোর কিছুটা হলেও বাড়বে।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, বাঁকুড়া জেলার এই দলবদল স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল সরকারকে নতুন করে চাপে ফেলল। তবে এই দলবদল নিয়ে অবশ্য এখনো পর্যন্ত তৃণমূল নেতৃত্ব কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে জঙ্গলমহলে গেরুয়া শিবিরকে টেক্কা দিতে কংগ্রেস শিবির যে পিছিয়ে নেই তা বোঝাতে এইমুহুর্তে যথেষ্ট তৎপর কংগ্রেস মহল। আপাতত জঙ্গলমহলে সংগঠন জোরদার করে তুলতে তৃণমূল শিবির কি পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, এখন সেদিকেই সজাগ নজর রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!