এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূল কাউন্সিলরদের বড়সড় দুর্নীতি? গার্ডেনরিচ কান্ডের পরেই ভয়ংকর তথ্য ফাঁস!

তৃণমূল কাউন্সিলরদের বড়সড় দুর্নীতি? গার্ডেনরিচ কান্ডের পরেই ভয়ংকর তথ্য ফাঁস!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় বর্তমানে উত্তাল শহর কলকাতা। প্রত্যেকটি টেলিভিশন মিডিয়ার নজর রয়েছে সেই দিকেই। সকাল থেকেই সেখানে রয়েছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আক্রান্তদের দেখতে হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। তবে এই গার্ডেনরিচের ঘটনা ঘটার পর থেকেই শাসক দলের পক্ষ থেকে ব্যর্থতার দায় বিগত বাম সরকারের দিকে চাপানোর চেষ্টা হচ্ছে। তবে বিরোধীরা আবার অভিযোগ করছে, শাসক দলের কাউন্সিলরদের দুর্নীতি এত পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে যে, তারা এই বহুতল বেআইনিভাবে নির্মাণ হলেও, কোনো প্রতিবাদ করার মত জায়গায় নেই। তাদের মেরুদন্ড বিক্রি হয়ে গিয়েছে প্রোমোটারদের কাছে। যার ফলে প্রত্যেকদিন মানুষের প্রাণ প্রশ্নের মুখে পড়ছে। গার্ডেনরিচের ঘটনার পর বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে প্রশ্ন করতেই তিনি যে কথা বললেন, তারপর তৃণমূলের কাউন্সিলরদের ভূমিকা নিয়েও নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। কিন্তু কি বললেন সুকান্ত মজুমদার?

প্রসঙ্গত, এদিন এই ব্যাপারে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে একটি প্রশ্ন করা হয়। গার্ডেনরিচের ঘটনা নিয়ে তার মতামত জানতে চান সাংবাদিকরা। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তৃণমূলের কাউন্সিলরদের দৌরাত্ম্য সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “তৃণমূল কাউন্সিলররা প্রত্যেক স্কোয়ার ফিটের জন্য টাকা নিচ্ছে। তাদের স্কোয়ার ফিট কাউন্সিলর বলা হয়। কাজেই তারা প্রতিবাদ করবেন কোথা থেকে? প্রত্যেকটি কাজে তারা টাকা নিচ্ছেন।” অনেকে বলছেন, তৃণমূল আমলে যে পরিমাণ দুর্নীতি সর্বত্র ছেয়ে গিয়েছে, তাতে কি নতুন সংযোজন হচ্ছে কাউন্সিলরদের ভূমিকা? বেকারদের চাকরি বিক্রি থেকে শুরু করে সন্দেশখালির মত ঘটনায় এমনিতেই ব্যাকফুটে রয়েছে এই রাজ্যের সরকার। আর তার মধ্যেই ঘটে গেল গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে পড়ার মত ভয়াবহ ঘটনা। বিরোধীরা সরকারের দায়িত্ব জ্ঞানহীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। অন্যদিকে সরকার পাল্টা বিরোধীদের ঘাড়ে দায় চাপাচ্ছে। আর এসবের মাঝেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কাউন্সিলাররা যেভাবে প্রত্যেকটি কাজে টাকা নেন, সেই সম্পর্কে মারাত্মক তথ্য প্রকাশ্যে নিয়ে আসলেন। আর তার এই তথ্য যদি সঠিক হয় এবং সেই মত যদি তদন্ত হয়, তাহলে অনেক মাথা ফেঁসে যাবেন বলেই মনে করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, যখনই এই সরকারের মুখ দেখানোর মত বিষয় থাকে না, যখন তাদের ব্যর্থতা সামনে চলে আসে, তখনই তারা বিরোধীদের ঘাড়ে দায় চাপানোর চেষ্টা করে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে চক্রান্তের গন্ধ পায়। কিন্তু সময় থাকতে তারা যদি পদক্ষেপ নিত, তাহলে হয়ত এই ধরনের ঘটনা ঘটত না। তাই যে মানুষগুলো আক্রান্ত হয়েছেন, যে বহুতল ভেঙে পড়েছে এবং প্রচুর ঝুপড়ি সেখানে ছিল, সেই ঝুপড়ির মানুষগুলো নিজেদের জীবন নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন, তাদের কথা আগে ভাবা উচিত ছিল এই রাজ্যের সরকারের বলেই দাবি বিরোধীদের। কিন্তু যখন ক্ষমতা পিপাসু সরকার এবং তাদের জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকে, তখন তারা মানুষের কথা শুনবেন কি করে? যেভাবে স্কোয়ার ফিটেও টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠছে তৃণমূল কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে, তাতে বোঝাই যাচ্ছে যে, এই রাজ্যে দুর্নীতিটা কোন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। আর এভাবেই যদি চলতে থাকে, তাহলে এই রাজ্যের সর্বনাশের আর খুব বেশি দেরি নেই। সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!