এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > শাসকদলের ঘুম ওড়াতে এবার মুকুল-দিলীপের সঙ্গে জুড়তে চলেছেন ত্রিপুরার ‘ম্যাজিশিয়ান’

শাসকদলের ঘুম ওড়াতে এবার মুকুল-দিলীপের সঙ্গে জুড়তে চলেছেন ত্রিপুরার ‘ম্যাজিশিয়ান’


ত্রিপুরার ২৫ বছরের বাম শাসনকে হঠিয়ে সেখানে প্রতিষ্ঠিত গেরুয়া-সরকার, আর এবার ত্রিপুরার দেখানোর পথেই বাংলা থেকে শাসকদল তৃণমূলকে হঠানোর কাজ শুরু করে দিতে মরিয়া বিজেপি শিবির। যদি অতীতে তাকানো যায়, বঙ্গভূমিতে সেভাবে কোনোদিন নির্বাচনী ময়দানে দাগ কাটতে পারেনি তারা, কিন্তু ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগেই রাজ্য সভাপতি হিসাবে দিলীপ ঘোষকে এনেই রাজ্য বিধানসভায় তিন-তিনটি আসন ছিনিয়ে নেয় তারা। অন্যদিকে তৃণমূলে কোনঠাসা হয়ে পড়া অথচ সুদক্ষ সংগঠক হিসাবে পরিচিত মুকুল রায়কে দলে নিতে ভুল করেনি বিজেপি শিবির। আর এবার এই দুই জোড়া ফলের সঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃত্ত্ব জুড়ে দিতে চলেছেন ত্রিপুরার ‘ম্যাজিশিয়ানকে’ বলে বিজেপি সূত্রের খবর। ত্রিপুরাতে মাটি কামড়ে পরে থেকে ২৫ বছরের বাম জামানার মিথ ভাঙার পর বিজেপির অন্দরে সুনীল দেওধরকে বর্তমানে এই নামেই ডাকছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। আর তাই পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল উৎখাতের জন্য এবার প্রয়োজন সুনীল দেওধরের ম্যাজিক, কান পাতলে এমনটাই শোনা যাচ্ছে বিজেপির অন্দরমহল থেকে।

ত্রিপুরায় প্রায় শুন্য থেকে শিখরে ওঠার সব কৃতিত্বই সুনীল দেওধরকে দিচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা। বাংলার কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্ত্বে বাংলায় দলের শ্রীবৃদ্ধি ঘটলেও, আসন্ন মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা ভোটের কারণে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র পক্ষে এই মুহূর্তে বাংলাকে সময় দেওয়া সম্ভবপর নয় বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বিজেপি যুব মোর্চার সদস্য কৌশিক ঘোষ জানিয়েছেন, সুনীল দেওধরজি আমাদের এখানেও আসবেন, এখনকার নেতাদের সঙ্গে উনিও যোগ দিয়ে দিদিকে উত্‍খাত করে ছাড়বেন। সূত্রের খবর, ত্রিপুরা জয়ের পর পরই পাঞ্জাব এবং কর্ণাটকের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের বার্তা পান তিনি। এই প্রসঙ্গে সুনীল দেওধর নিজে জানিয়েছেন, দল অন্য কোনও রাজ্যে দায়িত্ব দিলে তা পালন করব। অন্যদিকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, আমরাই এক এক জন সুনীল দেওধর, আমরাই তৃণমূল সরকারকে উত্‍খাত করব।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!