এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘মুকুল-আতঙ্কে’ কাঁপছে শাসকদল? পার্থ চ্যাটার্জীর কথায় জল্পনা

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘মুকুল-আতঙ্কে’ কাঁপছে শাসকদল? পার্থ চ্যাটার্জীর কথায় জল্পনা


কৃষ্ণনগরের এভি স্কুলে এক তৃণমূল আয়োজিত সম্মেলনে তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্যে সতর্ক বার্তা দিলেন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আত্মতুষ্টিতে ভোগার কারণ নেই, ফিরিয়ে আনুন পুরনো কর্মীদের। পঞ্চায়েত প্রধানদের সব থেকে বেশি সুযোগ আছে মানুষের সঙ্গে মেশার, পাশে থাকার। কিন্তু অনেক জায়গাতেই দেখছি, পাশে না থেকে অন্য কাজ করছে। কে এলাকায় নেতা হবেন, তা নিয়ে গণ্ডগোলে পুরনোরা বসে যাবেন, এটা হতে পারে না। ত্রিপুরার ভোটে জিতে হনুমানের মতো লম্ফঝম্প করার কী আছে? হনুমানের যেমন লেজে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পরে সব পুড়িয়েছিল, এরাও তেমন পোড়াতে চাইছে। পদ্মফুল পদ্মফুল বলে যতই চিত্‍কার করো, এ রাজ্যে পদ্মফুল ফুটবে না। ত্রিপুরায় বহু অর্থ ব্যয় করেছে বিজেপি।

এতদিন তিনি যতই মুখে বলে থাকুন মুকুল রায় দল ছাড়াতে তৃণমূল কংগ্রেস চিন্তিত নয়, কিন্তু এদিন তাঁর কথাটা স্পষ্ট হয়ে যায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে মুকুল রায়ের ‘সৌজন্যে’ দলের অন্দরেই তিনি অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা করছেন। তিনি বলেন, আপনাদের অনেকেই তাঁর হাত ধরে এসেছেন, তাঁরা থাকুন, আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু দলে ঘুণ ধরানোর চেষ্টা করবেন না। যে চলে গিয়েছে এটা তার ফর্মুলা ছিল। দু’তিনটে গ্রুপ তৈরি করে দাও। যে জিতবে তাকে নিয়ে গিয়ে বলা যে – দিদি জিতিয়ে আনলাম। মনে রাখবেন বিবাদ নয়, একতা। গোষ্ঠী নয়, পতাকা। নেত্রী আমাদের মমতা। মুখে নাম নিলেও তাঁর নিশানায় ছিলেন মুকুল রায়ই। বিভিন্ন এলাকার গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব না মেটালে দল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে জানান তিনি। সম্মেলনে মহাসচিবকে সমর্থন করে মুকুল রায়ের দিকে আক্রমণাত্মক শব্দ ছুড়ে দেন জেলা সভাপতি গৌরী শংকর দত্তও। তিনি বলেন, তাঁকে যারা প্রশ্রয় দেবেন, তাঁদের সামাজিক ভাবে বয়কট করা হবে। বেঁচে থাকি বা না থাকি, আপনারা সাম্প্রদায়িক শক্তি বিজেপিকে জেলায় এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বেন না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!