কমিশন “ঠুঁটো জগন্নাথ”, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব সিদ্দিকুল্লা! তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য April 18, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিজেপির যোগ রয়েছে, এই অভিযোগ তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রায়শই করতে দেখা যাচ্ছে। চতুর্থ দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষ থেকে গুলি চালানোর ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে 4 জন ব্যক্তির। আর তারপর থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে আরও বেশি করে সরব হতে দেখা গেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। তবে পঞ্চম দফাতেও বেশ কিছু ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। যেখানে শনিবার পঞ্চম দফার নির্বাচনে বর্ধমানের মন্তেশ্বরে বেশকিছু তৃণমূল এজেন্টদের উপর বিরোধীদের পক্ষ থেকে হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার নির্বাচন কমিশনকে “ঠুঁটো জগন্নাথ” বলে অভিহিত করলেন তৃণমূল প্রার্থী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। বস্তুত, শনিবার পঞ্চম দফার নির্বাচনে মন্তেশ্বরের 119 এবং 121 নম্বর বুথে তৃণমূলের এজেন্টদের উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। যেখানে তৃণমূল এজেন্টের ভাইও রক্ষা পাননি। আর এই ঘটনার পর থেকেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। আর এবার গোটা ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হলেন তৃণমূল প্রার্থী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। এদিন তিনি বলেন, “এই কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপি প্রভাবিত। মাঝখানে নামকে ওয়াস্তা বসে আছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই। হাতে চুড়ি পড়ে বসে আছে।” স্বাভাবিক ভাবেই কমিশনের উদ্দেশ্যে এই ধরনের আক্রমণ সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী করায় এখন গোটা পরিস্থিতি অন্য আকার ধারণ করতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - একাংশ বলতে শুরু করেছেন, অতীতে এই কমিশনের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে পশ্চিমবঙ্গের বহু হেভিওয়েট রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে দিলীপ ঘোষ, প্ররোচনামূলক মন্তব্য করবার জন্য প্রচার প্রক্রিয়া থেকে 24 ঘন্টা বাদ রাখা হয়েছিল। এমনকি নির্বাচন কমিশনকে ধৃতরাষ্ট্রের সঙ্গে তুলনা করার কারণে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। আর এবার তৃণমূল প্রার্থী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী নির্বাচন কমিশনকে “ঠুঁটো জগন্নাথ” বলে অভিহিত করায় তার বিরুদ্ধেও কমিশন বড় পদক্ষেপ নিতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -