এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > শাসক দলের একাংশের বাধাতেই কি মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের গতিধারার গতি রুদ্ধ? উঠছে প্রশ্ন

শাসক দলের একাংশের বাধাতেই কি মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের গতিধারার গতি রুদ্ধ? উঠছে প্রশ্ন


মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প গতিধারা। যে প্রকল্পে সাহায্যে রাজ্যে স্বনির্ভর হতে শুরু করেছে অনেক বেকার যুবক। কিন্তু এবার সেই প্রকল্পের উপভোক্তাদেরকেই গাড়ি চালাতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল একাংশের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার পারমিট দিয়েছে ঠিকই। কিন্তু এই প্রকল্পের অনুমোদিত রুটে গাড়ি চালাতে পারছেন না 25 জন ম্যাক্সি ক্যাব চালক।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সাধারণের কথা চিন্তা করে দমদম ক্যান্টনমেন্ট হেলথ থেকে রাজচন্দ্রপুর পর্যন্ত নতুন একটি গতিধারার রুট অনুমোদন করে রাজ্য পরিবহন দপ্তর। চলতি বছরের মার্চ মাসে এই রুটে গাড়ি চলাচলের জন্য দপ্তরের কাছ থেকে অনুমতি ও পান আবেদনকারীরা। কিন্তু তারপরেও বাধা কাটছেনা কিছুতেই। কিন্তু ঠিক কোথায় সমস্যা রয়েছে? আর কারাই বা সরকারের এই গতিধারা প্রকল্প দিচ্ছে বাধা?

সূত্রের খবর,গত 30 শে জুন এই ক্যান্টনমেন্ট থেকে নতুন রুটের উদ্বোধনের সময় হঠাৎই হেলথ এর মাঠ প্রমোদনগর রুটের অটোচালকেরা ক্যাব চালকদের ওপর চড়াও হয়। ম্যাক্সি ক্যাব চালু হলে তাদের বাজার মন্দা হবে। এই অভিযোগে এই রুটে ক্যাব চলাচল বন্ধের পক্ষে সওয়াল করেন অটোচালকেরা। কিন্তু এরপরও থেমে থাকেননি ক্যাব চালকেরা। জানা যায়, অগাস্ট মাসে ফের এই রুটে ক্যাব চালানোর চেষ্টা করলে প্রমোদনগর নোয়াপাড়ার অটোচালকদের ক্ষোভের মুখে পড়েন তারা। আর এইখানেই একাংশের প্রশ্ন, সরকারের অনুমোদন থাকা সত্ত্বেও কেন এই ম্যাক্সি ক্যাব চালাতে গিয়ে প্রতিনিয়ত হেনস্তার শিকার হতে হবে ক্যাব চালকদের?

কোনরকমে উপার্জন করে আড়াই লক্ষ টাকা দিয়ে ডাউনপেমেন্ট করিয়ে পাঁচ বছরের জন্য সহজ কিস্তিতে গাড়িগুলো নিয়েও যদি ক্যাব চালকরা চালাতেই না পারেন তাহলে তাদের সংসার চলবেই বা কি করে? এদিন এই প্রশ্নের উত্তরে পরিবহণ দফতরের এক কর্তা বলেন, “স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের মদতেই অটোচালকদের এই বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে। তারাই ক্যাব চালকদের আটকাচ্ছে।” অপরদিকে এই ব্যাপারে শাসকদলের স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছে জিজ্ঞাসা করলেও তারা অবশ্য সহযোগিতার কথাই বলছেন। কেনো এরকমটা হচ্ছে?

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো  করুন এই লিঙ্কেখবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক

এই প্রশ্নের উত্তরে ক্যান্টনমেন্ট হেলথের অটো ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রক তথা তৃণমূল কাউন্সিলর ধনঞ্জয় মজুমদার এ দিন বলেন; “আমাদের এখানে নয়। বরাহনগর এলাকায় সব থেকে বেশি সমস্যা।” অন্যদিকে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ক্যাব চালকদের ক্যাব চালাতে সাহায্য করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রমদ নগরের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা দক্ষিন দমদম পুরসভার সিআইসি প্রদীপ মজুমদার। তবে সমস্যা যে রয়েছে তা কিছুটা হলেও মানছেন বরাহনগর পুরসভার 17 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অঞ্জন পাল। অন্যদিকে ক্যাব চালকদের এই গাড়ি না চালানোর পেছনে যে কজনের বাধা রয়েছে তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন উত্তর 24 পরগনার আঞ্চলিক পরিবহন অধিকর্তা সিদ্ধার্থ রায়। সব মিলিয়ে প্রশাসন বনাম শাসকদলের এই দড়ি টানাটানিতে ক্যাব চালকদের সমস্যা ঠিক কবে নিরসন হবে সে দিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!