সন্দেশখালি নিয়ে আরও চাপে রাজ্য, সুপ্রিম নির্দেশে মহা বিপাকে মমতা সরকার! কলকাতা তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য March 11, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গে না হয় আইন শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। কিন্তু গোটা দেশে তো সেটা রয়েছে। আর পশ্চিমবঙ্গে আইন না থাকলেও, আদালতে নিয়ম-কানুন বলে কিছু একটা আছে। তাই বিরোধীদের বাধাদান থেকে শুরু করে গায়ের জোরে সব কিছু দখল করা, সব জায়গাতেই একের পর এক থাপ্পড় খাচ্ছে এই রাজ্যের ফ্যাসিস্ট সরকার। কিন্তু তারপরেও তাদের লজ্জা হচ্ছে না। সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনার পর যে তিনটি মামলা হয়েছিল, সেখানে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু আদালতের এই নির্দেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য। আজ দেশের শীর্ষ আদালত ফের একটা নির্দেশ দিয়ে এই রাজ্যের সরকারকে বুঝিয়ে দিল যে, তাদের গা জোয়ারি সব জায়গায় কার্যকর হবে না। তারা যা খুশি তাই করবেন, এটা অন্তত দেশের আইন ব্যবস্থা মেনে নেবে না। কিন্তু কি এমন নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট! যার ফলে এমন কথা বলা হচ্ছে! আজ দেশের শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে কার্যত এই রাজ্যের সরকারকে সবক শেখানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের এত বড় সাহস যে, তদন্ত করতে আসা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের ওপর নাকি তার নির্দেশে হামলা হয়! অথচ সেই বাঘ এখন ভেজা বেড়াল হয়ে গিয়েছেন। তবে তৃণমূল সবসময় চেয়েছে, তাদের এই আড়ালের ঘরের দুলালকে রক্ষা করতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআইয়ের হেফাজতে থাকার জন্য শাহজাহানকে আর রক্ষা করতে পারছে না তৃণমূল কংগ্রেস। তাই তাদের ছটফটানি শুরু হয়েছে। ফেঁসে যেতে পারেন এমন একটা ভয় কাজ করছে এই সিবিআই তদন্তের জন্য। তাই তার বিরোধিতা করে আদালতে গিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু সেখানেও তারা সপাটে থাপ্পড় খেলো। সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে এই সন্দেশখালির ঘটনায় যে তিনটি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তা বহাল রাখা হলো। অর্থাৎ এই রাজ্যের ফ্যাসিস্ট সরকার কোনো কিছুকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সিবিআই তদন্তের বিরুদ্ধে দেশের শীর্ষ আদালতে কথা বললেও, শেষ পর্যন্ত তাদের সেই চালাকি খাটল না। পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব বুঝতে পেরেছে যে, সিবিআই হেফাজতে গিয়ে শাহজাহান কেন এত ভেঙে পড়ছেন! তাকে যে সমস্ত প্রশ্ন করা হচ্ছে, তার ফলে তিনি বড় কোনো তথ্য ফাঁস করে দিতে পারেন। আর তার সেই তথ্যের চরম বিড়ম্বনায় পড়তে পারেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। কারণ তাকে এই সন্দেশখালীর বেতাজ বাদশা হিসেবে পরিণত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই যারা তার মাথার ওপর আশীর্বাদের হাতটা রেখেছিল, আর যাদের আশীর্বাদের হাত মাথায় ছিল বলেই এই শাহজাহান মা-বোনেদের ওপর অত্যাচার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর তার নির্দেশে হামলা হয়েছে, তাদের তথ্য তো জানতে হবে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। তাই তারা চেষ্টা করছেন। আর তাকে আটকানোর জন্যই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে এই রাজ্য যে ধাক্কাটা খেলো, তারপর তাদের লজ্জা থাকলে এবং মেরুদণ্ড থাকলে তারা আর আদালতের নির্দেশ নিয়ে বিরোধিতা করবে না। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -