ভোটের আগেই সিএএ, আজই বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের! নজর গোটা দেশবাসীর! জাতীয় March 11, 2024March 11, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিজেপি দেশের ক্ষমতায় আসার আগে যে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তার সিংহভাগ তারা পূরণ করে দিয়েছেন। শুধু একমাত্র বাকি রয়েছে, সিএএ লাগু করা। কিন্তু বেশ কিছুদিন থেকেই কেন্দ্রীয় সরকার থেকে শুরু করে বিজেপি নেতারা দাবি করছেন যে, ভোটের আগেই তারা সিএএ করবেন। অনেক বিরোধী দল এর বিরোধিতা করছেন ঠিকই। কিন্তু সেই সমস্ত কিছুকে যে বিজেপি একেবারেই পাত্তা দিতে নারাজ, তা বোঝাই গিয়েছিল। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আজ রাতেই নেওয়া হতে পারে বড় সিদ্ধান্ত। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই মুহূর্তের সব থেকে বড় খবর যে, আজকেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে লাগু করা হতে পারে সিএএ। সূত্রের খবর, আজ রাত দশটায় সিএএ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তারপর থেকেই দেশে লাগু হয়ে যেতে পারে এই আইন। অর্থাৎ এতদিন ধরে যে জল্পনা চলছিল, এবার তা বাস্তব হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকার কিন্তু সিএএ লাগু করতে চলেছে লোকসভা নির্বাচনের আগেই। বলা বাহুল্য, ব্রিগেড সমাবেশের মঞ্চ থেকেও এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু তিনি যত যত বার এর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, ততবারই বিজেপির পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, দেশের মানুষের স্বার্থে তারা এই সিএএ লাগু করবেন। অবশেষে আজ বিজ্ঞপ্তি জারি করে যে পদক্ষেপ কেন্দ্র নিতে চলেছে, তা নির্বাচনের আগে রীতিমত মাস্টারস্ট্রোক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পর্যবেক্ষকদের মতে বিজেপির এটা অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল। অনেকেই বিজেপি কবে এই প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে, তার দিকে তাকিয়ে ছিলেন। এমনকি বিজেপির মধ্যে থেকেও এই ব্যাপারে আওয়াজ উঠছিল। তবে এবার কেন্দ্রীয় সরকার লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই সেই পথে হাঁটতে চলেছে। আজ রাতেই একটা বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের পক্ষ থেকে। তাই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে খুশি গোটা দেশবাসী। তারা সকলেই তাকিয়ে আছেন এই গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণের দিকে। তবে যারা ভোটের রাজনীতি করেন, যারা সুবিধাবাদী রাজনীতিতে বিশ্বাসী, সেই সমস্ত বিরোধী দল অবশ্য কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের পর এটা নিয়েও বিরোধিতা করবেন, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাতে কারওর কিছু এসে যায় না। কেন্দ্র সিএএ নিয়ে যে পদক্ষেপ নেবে, তার ফলে খুশি হতে বাধ্য গোটা দেশ। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -