এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অভিষেককে চরম তৈলমর্দন! পদ টেকাতে মরিয়া চেষ্টা মমতা ঘনিষ্ঠ ববির!

অভিষেককে চরম তৈলমর্দন! পদ টেকাতে মরিয়া চেষ্টা মমতা ঘনিষ্ঠ ববির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এ তেল না সেই তেল! একেবারে যেন তেলের কৌটো নিয়ে হাজির। এমন চিত্রই দেখা গেল রাজ্য রাজনীতিতে। আজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইডির মুখোমুখি হয়েছেন। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রীতিমতো “বাঘের বাচ্চা” বলে সম্বোধিত করে বসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী কলকাতা পৌরসভার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। যা দেখে অনেকে কটাক্ষ করে বলছেন, তেলা মাথায় যত পারছেন, তেল দিয়ে যাচ্ছেন হাকিম সাহেব। কিন্তু কেন এই ধরনের কথা বলা হচ্ছে! তার দলের সর্বভারতীয় নেতা ইডির মুখোমুখি হয়েছেন, সেখানে তিনি মন্তব্য করবেন, এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু কেন তার মন্তব্য নিয়ে এই ধরনের কটাক্ষ করছে সমালোচক মহল!

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, তৃণমূলের এক ওপর তলার শীর্ষ নেতার সঙ্গে এই ফিরহাদ হাকিমের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। যে নেতা তৃণমূলের নীতি নির্ধারণ করেন, সেই নেতার চোখে খুব একটা গুডবুকে নেই কলকাতা পৌরসভার মহানাগরিক। শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণে তিনি মন্ত্রী এবং কলকাতা পৌরসভার মেয়র পদে রয়েছেন। তা না হলে তাকে যে কোনোদিন সেখান থেকে বাদ দিয়ে দিতেন সেই তৃণমূলের একদম ওপর তলার তরুণ তুর্কি যুব নেতা। আর এই খবর নাকি সেই ফিরহাদ হাকিমের কাছেও রয়েছে। তাই তিনি দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে খুশি রাখতে যত পারছেন, যতটা ভালো কথা বলা যায়, তার থেকেও বেশি ভালো কথা বলার চেষ্টা করছেন। তৃণমূলের একটা অংশের পক্ষ থেকে অবশ্য এইরকমই খবর আসছে।

সমালোচক মহলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তৃণমূলে এখন দুটো ভাগ। একটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অপরটি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের‌। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লবিতে পুরনো অনেক তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা রয়েছেন। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে তরুণ তুর্কি বিভিন্ন জেলার ছাত্র যুব নেতৃত্বরা। ফলে তাদের দিয়েই গোটা দল পরিচালনা করতে চাইছেন তৃনমূলের যুবরাজ। কিন্তু সেখানেই বেশ কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা আসছে তাই একেবারেই পুরনোদের ছাটাই করতে পারছেন না তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা। অন্যদিকে যারা বর্ষীয়ান নেতৃত্ব, তারাও এখন সেই যুবরাজকে সন্তুষ্ট রাখতে যা যা করার, সবটাই করছেন। তাই এদিন ইডি দপ্তরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন জেরার মুখোমুখি, ঠিক তখনই “তিনি বাঘের বাচ্চার মতো সেখানে গিয়েছেন” বলে কি ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম? প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, সুযোগ পেলেই তৃণমূলের অনেক বর্ষিয়ান নেতার ডানা ছাটতে পারেন সেই শীর্ষ স্তরের যুবনেতা। হয়ত এই ভয়ে রীতিমত টেকার জন্য মরিয়া চেষ্টা শুরু হয়েছে তৃণমূলের অনেক বর্ষীয়ান নেতৃত্বদের মধ্যে। ববিবাবুও কি সেই ভয়ে ভীত হয়ে পড়েছেন? তাকে সামনে রেখে সংখ্যালঘু ভোটকে নিজেদের দখলে আনার চেষ্টা সবসময় করে তৃনমূল কংগ্রেস। কিন্তু যদি সেই বিষয়টিকেও পরোয়া না করে এই হেভিওয়েট মন্ত্রীর ডানা ছাঁটা পড়ে, তাহলে তিনি কার্যত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যেতে পারেন। তাই এত কিছু অংক কষে শেষ পর্যন্ত এমন তৈলমর্দন করতে দেখা গেল ফিরহাদ হাকিমকে, যা দেখে রীতিমত অবাক ওয়াকিবহাল মহল।‌ তবে এত কিছু করেও কি সেই শীর্ষ স্তরের যুবনেতার গুড বুকে আসতে পারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী! সেই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!